আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছাত্রলীগের গৌরবময় ইতিহাস (1996-2001)

গর্জে ওঠার এইতো সময়.... তিতাস বাচাও, দেশ বাচাও ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সন্ত্রাস রাহাজানি নতুন কোন বিষয় নয়। মুজিববাদী ছাত্রলীগ শুধু বিরোধী রাজনৈতিক দল সমর্থিত ছাত্রসংগঠনের উপর হামলা-খুন-সন্ত্রাস করে থেমে থাকেনা-নিজেরা নিজেদের মধ্যে প্রায় প্রতিদিনেই আত্মকলহ ও সন্ত্রাসের উৎসবে মেতে থাকা একটা সংগঠন। বলা চলে সন্ত্রাসনির্ভর ছাত্ররাজনীতিই ছাত্রলীগের মূলনীতি। মুজিববাদী ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠালগ্নের কথা বাদ দিয়ে যদি শুধু স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর তাদের সন্ত্রাস, রাহাজানি, খুন, ধর্ষণ ছিনতাইয়ের অধ্যায় উল্টানো হয় তবে তাও একটি বিশাল কালো ইতিহাস হিসাবে লক্ষ্য করা যায়। স্বাধীন বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ব্রাশ ফায়ারে “সেভেন মার্ডার” ঘটনা দিয়ে ছাত্রলীগের খুনের রাজনীতির যাত্রা শুরু।

এই হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে যেমন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের ছাত্র হত্যার রাজনীতিতে অনুপ্রবেশ তেমনি ছাত্ররাজনীতিতে এখনও তা ‘কালো অধ্যায়’ বলে বিবেচিত। সন্ত্রাস নির্ভন ছাত্রলীগ এরপর আর পিছনের দিকে তাকায়নি- শুধু সন্ত্রাস, ধর্ষণ, রাহাজানি-ছিনতাই- চাঁদাবাজি, দখল, টেন্ডারবাজি ও খুনের মধ্য দিয়ে সামনেই অগ্রসর হয়েছে। তারা যে শুধু প্রতিপক্ষকে হামলা করে ক্ষান্ত হয়েছে তা-না, একসাথে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা ও ভাগ-বাটোয়ারা বিরোধের জের ধরে নিজ দলের লোককে যখন-তখন খুন করেছে। ছাত্রলীগের এই নৃশংস কর্মকান্ড আওয়ামী লীগের ক্ষমতা গ্রহণের পর আরো বেপরোয়া গতি লাভ করে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণের পর সশস্ত্র ছাত্রলীগ যত বিরোধী নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে- তার থেকে বেশী নিজ দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা করেছে।

সংবাদপত্রের ভাষ্য মতে, গত ৫ বছরে (১৯৯৬-২০০১) ৬ শতাধিক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী নিহত হয়েছে- যার মধ্যে ৫ শতাধিক নিজ দলের প্রতিপক্ষের হাতে নিহতের ঘটনা ঘটেছে। বাকী অংশের বেশীর ভাগই সন্ত্রাস, ছিনতাই, টেন্ডারবাজি ও ধর্ষণের ঘটনায় জনতার হাতে প্রহৃত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ২১ বছর পর আ’লীগ ক্ষমতায় আসার পর ছাত্রলীগের নৃশংসতা অতীতের যে কোন মাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে। এই সশস্ত্র ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রতিটি ক্যাম্পাসকে এক একটি মিনি ক্যান্টনমেন্টে পরিণত করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বুকসেল্ফগুলো এখন বইয়ের বদলে অস্ত্রের গুদাম হিসাবে ব্যবহৃত হয়। বিরোধী ছাত্রসংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের আবাসিক হল ছাড়তে বাধ্য করা হয়।

শেখ হাসিনা যাদের ‘সোনার ছেলে’ হিসাবে আখ্যা দিয়ে থাকেন- সেই সোনার ছেলেরা (!) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী ধর্ষণের সেঞ্চুরী উৎসব পালন করে ন্যাক্কারজনক অধ্যায়ের সূুচনা করে। ইংরেজী নববর্ষের অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মডেল কন্যা বাধনকে বিবস্ত্র করে ফেলার ঘটনা ছাত্রলীগের হাতে ঘটে। রাজধানীতে “ফাইভ স্টার” “সেভেন স্টার” গ্রুপ নামে নানা উপদলে বিভক্ত হয়ে কোটি কোটি টাকার টেন্ডার ছিনতায়ের নেতৃত্বে থাকে এই ছাত্রলীগ- যুবলীগের সন্ত্রাসীরা। শুধু তাই নয়, এদের হাতে পবিত্র কোরআন-হাদীস গ্রন্থ ছিড়ে ছুড়ে ফেলার কালো অধ্যায়ও রয়েছে। আমরা এখানে এসব তথাকথিত সোনার ছেলেদের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দখল, খুন ও হত্যা প্রচেষ্টা, ধর্ষণ ও অপহরণ এবং আভ্যন্তরীণ কোন্দলের কিছু সারসংক্ষেপ দেশের জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিক থেকে সম্পাদিত করে তুলে ধরেছি।

যার মাধ্যমে মুজিববাদী হায়েনাদের অপকর্মের একটা সার-সংক্ষেপ পাঠকরা পাবেন বলে আমাদের বিশ্বাস। খুন ও হত্যা প্রচেষ্টা ০১। ১৭ সেপ্টেম্বর’ ৯৬ পাইন্দং গইন্যাটিলা এলাকা থেকে ছাত্রলীগের (শা-পা) সশস্ত্র ক্যাডাররা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী ও বিশিষ্ট সমাজসেবক নজরুল ইসলাম চৌধুরীকে অপহরণ করে ধুরং খালের চরে নিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে নির্মমভাবে খুন করে। (২৭ সেপ্টেম্বর’৯৬, ইত্তেফাক)। ০২।

২৭ ডিসেম্বর ’৯৬ যশোরের শার্শা থানার উত্তর বুরুজবাগানে আ’লীগের সশস্ত্র কর্মীদের হামলায় নুরুল ইসলাম ফকির নামে একজন জামায়াত কর্মী খুন হয়। (২৮ ডিসেম্বর ’৯৬, ইনকিলাব)। ০৩। ৬ মার্চ ’৯৭ চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের গুলিতে শিবিরকর্মী আব্দুল মান্নান নিহত হন। মান্নান ছিল ফটিকছড়ি কলেজের এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থী।

তাকে ছাত্রলীগের গুন্ডারা অপহরণ করে ও পরে গুলি করে হত্যা করে। (৭ মার্চ ’৯৭, ইনকিলাব/ সংগ্রাম)। ০৪। ২৯ মার্চ ’ ৯৭ ফেনীতে বিএনপি আহুত হরতাল চলাকালে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গুলিতে স্থানীয় যুবদল নেতা শরীফউদ্দিন নাসির (২৭) খুন হয়। (৩০ মার্চ ’৯৭ ইত্তেফাক)।

০৫। ১২ এপ্রিল ’৯৭ নববর্ষ উদ্যাপনের নামে চট্টগ্রামের রাউজানের রাণীপাড়ার ছাত্রলীগের কর্মীরা স্থানীয় এক ব্যক্তির বাঁশ জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল নেতা বাবুলকে খুন করে সন্ত্রাসীরা (১৩ এপ্রিল ’৯৭, দিনকাল)। ০৬। ৭ নভেম্বর ’৯৭ রাজধানীর খিলগাঁও তিলপাপাড়া এলাকার যুবদল নেতা ওয়ালিউল ইসলাম স্বপনকে স্থানীয় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা জবাই করে হত্যা করে। সে ২৭ নং ওয়ার্ডের যুবদল সভাপতি ছিল।

(৮ নভেম্বর’৯৭, ইনকিলাব/ দিনকাল)। ০৭। ৯ নভেম্বর’৯৭ সাভার থানা যুবদল সভাপতি ও পৌর কমিশনার মোকসেদ আলী মোল্লা নান্নুকে থানা থেকে চল্লিশ গজ দূরে ছাত্রলীগের শান্তা, মঞ্জুরুল আলম ও রাজীব গংদের নেতৃত্বে খুন করা হয। (১০ নভেম্বর ’৯৭, দিনকাল)। ০৮।

৩ সেপ্টেম্বর ’৯৭ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মুজিববাদী ছাত্রলীগের অতর্কিত হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আমিনুল ইসলাম বকুল নিহত হয় এবং ৩৫ জন ছাত্র-ছাত্রী মারাত্মকভাবে আহত হয়। (৪সেপ্টেম্বর ’৯৭, ইত্তেফাক)। ০৯। ৭ সেপ্টেম্বর ’৯৭ রাজধানীর ডেমরায় ছাত্রলীগের দূবৃত্তরা আহসানুলাহ (৪০) নামে এক ব্যক্তির দু’হাত দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। তাতে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লে দূবৃত্তরা খন্ডিত ঐ দুই হাত নিয়ে উল্লাস করে।

(৮ সেপ্টেম্বর ’৯৭, ইত্তেফাক)। ১০। ১৯ নভেম্বর ’৯৭ চট্টগ্রামের পার্বত্য কালো চুক্তির প্রতিবাদে বিরোধীদলের মহাসমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামী-ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলায় পুলিশসহ ৭ জন নিহত হয়। মহাসমাবেশে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ঐক্যজোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। (২০ নভেম্বর ’৯৭, অবজারভার)।

১১। ২ ফেব্রুয়ারী ’৯৮ জাতীয়তাবাদী যুবদলের একজন স্থানীয় নেতা রাতে যশোর শহরের রেল রোডে ছুরিকাহত হয়ে নিহত হয়। যুবদলের দাবী মতে, এ হত্যাকান্ড ছাত্র ও যুবলীগের ছেলেরা ঘটিয়েছে। (৩ ফেব্রুয়ারী ’৯৮, ইনকিলাব)। ১২।

১২ ফেব্রুয়ারী ’৯৮ ঝিনাইদহে ছাত্রলীগের অস্ত্রধারীদের গুলিতে বিএনপি নেতা জামাত আলী খুন হন। (১৩ ফেব্রুয়ারী ’৯৮, ইনকিলাব)। ১৩। ১৩ ফেব্রুয়ারী চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানার বড় বিলে পুলিশ ও মুজিববাদী ছাত্রলীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের যৌথ হামলায় জামায়াতের কর্মী মোঃ লোকমান হোসেন (২৩) খুন হন। (১৩ ফেব্রুয়ারী ’৯৮, সংগ্রাম)।

১৪। ১৪ ফেব্রুয়ারী ’৯৮ চট্টগ্রামের ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা রেয়াজুদ্দীন বাজারে ছাত্রলীগের সশস্ত্র চাঁদাবাজরা গুলি করে ব্যবসায়ীপুত্র ছাত্রদল নেতা গফুরকে হত্যা করে। দাবীকৃত চাঁদা না পেয়ে তারা হত্যাকান্ড চালায় বলে জানা যায়। (১৪ ফেব্রুয়ারী ’৯৮, সংবাদ/ দিনকাল)। ১৫।

৪ মার্চ ’৯৮ গাজীপুরের টঙ্গী সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে জাতীয় ছাত্র সমাজের মিছিলে সশস্ত্র মুজিববাদী ছাত্রলীগের বন্দুক হামলায় ১ যুবক নিহত ও অপর ১৫ জন আহত হয়। (৫ মার্চ ’৯৮, ইত্তেফাক/ জনতা)। ১৬। ২৫ সেপ্টেম্বর রংপুর জেলার মিঠাপুকুরে আওয়ামী-যুব ও ছাত্রলীগের দূবৃত্তরা শিবির নেতা তৌহিদকে ঘাড় ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। সন্ত্রাসীরা নিহতের মাথার মগজও বের করে ফেলে।

(৫ মার্চ ’৯৮, ইত্তেফাক / জনতা)। ১৭। ১৪ ডিসেম্বর ২০০০ শেখ মুজিবর রহমান হত্যা মামলায় হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চের ২ জন বিচারকের ভিন্ন ভিন্ন রায় মনো:পুত না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ ক্যাডাররা শত শত গাড়ী ভাংচুর করে এবং নীলক্ষেতের মোড়ে ছাত্রলীগের ক্যাডার হেমায়েত প্রকাশ্যে পিস্তল উচিয়ে গুলি করে একজন টেম্পু চালককে হত্যা করে। (১৫ ডিসেম্বর ২০০০, প্রথমআলো/ ইত্তেফাক)। ১৮।

৯ ফেব্রুয়ারী ’৯৯ রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরীর মোড়ে ছাত্রদলের হরতালের সমর্থনে মিছিলের উপর স্থানীয় এমপি মকবুল হোসেনের নেতৃত্বে আ’লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের গুলিতে ছাত্রদল নেতা সজল খুন হয়। (১০ ফেব্রুয়ারী ’৯৯, ডেইলী ষ্টার/ ইত্তেফাক/ দিনকাল/ সংবাদ/ সংগ্রাম)। ধর্ষণ ও অপহরণ ০১। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতা, দুর্ধর্ষ ক্যাডার ও খুনী জসীম উদ্দীন মানিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ ছাত্রীকে ধর্ষণের উল্লাসে “সেঞ্চুরী উৎসব” পালন করে। এ ঘটনা প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে জাবিসহ দেশের সর্বমহলে নিন্দা ও ধিক্কারের ঝড় উঠে।

পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মানিককে বহিস্কার করে এবং গণরোষ থেকে বাঁচার জন্য সে সরকারের আঁতাতে বিদেশ পাড়ি জমায়। (সেপ্টেম্বর, আগষ্ট’৯৮, ইত্তেফাক/মানবজমিন/ডেইল স্টার)। ০২। ২৯ মে ’৯৮ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে শহীদ হাবিবুর রহমান হলে ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম কর্তৃক ভর্তিচ্ছু লিটন ধর্ষিত। ক্যাম্পাসে তোলপাড়।

(৩০ মে ’৯৮, দিনকাল)। ০৩। ২৩ সেপ্টেম্বর ’৯৭ শহীদ হাবিবুর রহমান হলের ১৯২ নং কক্ষে মুন্নুজান হলের ছাত্রী সেলিনা আকতার ছাত্রলীগ নেতা সাইদুর রহমান পান্না কর্তৃক ধর্ষিত হয় ও পরে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনার ৫ দিন পর্যন্ত ধর্ষিত ছাত্রীর কোন খোঁজ না পেয়ে সাধারণ ছাত্রীরা হল অফিস ভাংচুর করে। (২৪ মে ’৯৭, ইত্তেফাক)।

০৪। ১৫ জানুয়ারী ’৯৭ বরিশালের গৌরনদী থানার সুন্দরদী গ্রামে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ডালিয়াকে ছাত্রলীগের একদল সশস্ত্র কর্মী যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে অপহরণ করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পবিত্র রমজান মাসে এ অমানবিক ঘটনাটি ঘটে। (১৮ জানুয়ারী ’৯৭, ইনকিলাব)। ০৫।

২২ ফেব্রুয়ারী ’৯৭ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের সাবেক জিএস ছাত্রলীগ নেতা কালুর নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগ দূবৃত্ত নববিবাহিতা নাজনীন নামে এক গৃহবধুকে ধর্ষণ করে। (৩মার্চ ’৯৭, দিনকাল)। ০৬। ১ মে ’৯৮ নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার পূর্ব একলাশপুর গ্রামে ৮ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা জাহের হোসেন (৩০) ওরফে জাইয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করে। (৩ মে ’৯৮, ইনিকিলাব) ০৭।

৩১ আগষ্ট ’৯৮ ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খানশামাপুর ইউনিট যুবলীগ সভাপতি নাজমুল হাসান বেপারী (লিটন) ও তার দু’সহযোগী কর্তৃক জনৈকা মহিলা দর্জি শ্রমিককে ধর্ষণ করে। পরে মহিলার চিৎকারে জনগণ এসে যুবলীগ সভাপতি লিটনকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। (১ সেপ্টেম্বর ’৯৮, ইনকিলাব)। ০৮। ৩১ ডিসেম্বর ’৯৯ বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টি.এস.সিতে ছাত্রলীগ নেতা রাসেল, মামুন কর্তৃক মডেল কন্যা বাঁধনকে বিবস্ত্র ও ধর্ষণের চেষ্টা।

সারাদেশে ধিক্কার ও নিন্দা। (১ জানুয়ারী ২০০০, ইনকিলাব/ মানবজমিন/ প্রথমআলো/ সংগ্রাম)। ০৯। ২১ ফেব্রুয়ারী ’৯৯ একুশের প্রথম প্রহরে ফুল দিতে আসা ইডেন কলেজের ছাত্রীদের ওড়না ধরে টানাটানি করে ২০/২৫ জনকে লাঞ্চিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগকর্মীরা। (২৩ ফেব্রুয়ারী ’৯৯, বাংলাবাজার পত্রিকা)।

১০। ৫ অক্টোবর ’৯৯ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগকর্মী কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈক ছাত্রীকে অপহরণ করে বিয়ের চেষ্টা। তদন্ত কমিটি গঠন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা। (৬ অক্টোবর ’৯৯, সংবাদ) ১১। ৭ ফেব্রুয়ারী ২০০০ বরিশাল বিএম কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের বহিরাগত এক কর্মী কলেজের জনৈকা ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা।

তদন্ত কমিটি গঠন। (৮ফেব্রুয়ারী ২০০১, ভোরের কাগজ) ১২। ১৮ জানুয়ারী, ২০০০ দৈনিক প্রথম আলোর এক বিশেষ রিপোর্টে বলা হয়, বর্ষবরণের রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত তরুণী লাঞ্ছিত ঘটনায় সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী জড়িত থাকার বিষয় নিয়ে ছাত্রলীগ বিপাকে পড়ে। (১৮ জানুয়ারী,২০০০, প্রথম আলো) ১৩। ৯ এপ্রিল, ২০০০ চট্টগ্রামে গার্মেন্টস শিল্পে কর্মরত ৩ তরুণীকে ছাত্রলীগের সশস্ত্র একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের ৩ ক্যাডার বাসা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে।

পাঁচলাইশ থানা এলাকায় এ ঘটনায় জনগণের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। (১২ এপ্রিল, ২০০০, মানবজমিন) ১৪। ২৮ জুন, ২০০০ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বর এলাকায় এক তরুণীকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে ধর্ষন করে সূর্যসেন হলের ৪ ছাত্রলীগ ক্যাডার। (৩০ জুন, ২০০০, প্রথম আলো/ সংবাদ) ১৫। ৩ আগষ্ট ’৯৮ নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী-ছাত্রলীগ ক্যাডার শাহ আলম কর্তৃক জেলার মহিলা কলেজের ছাত্রী রিমাকে অপহরণ।

(৬ আগষ্ট’৯৮, সংগ্রাম) ১৬। ২৫ জুলাই, ২০০০ ফেনীতে ছাত্রলীগ কর্মী কর্তৃক প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষিকা অপহৃত। স্কুল- কলেজ শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক মহল আতঙ্ক। (২৭ জুলাই, ২০০০, ইনকিলাব) ১৭। ৫ জুলাই, ২০০০ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলের এক ছাত্রলীগ ক্যাডারের কক্ষ হতে জন্ম নিরোধক বাড়ি, ওড়না, লিপষ্টিক, পারফিউম ও লেডিস ঘড়ি উদ্ধার।

জানা গেছে, জনৈকা বান্ধবী নিয়ে ছাত্রলীগ ক্যাডার এমদাদ তার কক্ষে অপকর্ম চালাত। (৬ জুলাই, ২০০০, ইনকিলাব) অভ্যন্তরীণ কোন্দল ০১। ২৮ আগষ্ট ’৯৬ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ৩ জন আহত হয়। দলীয় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শ্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। (২৯ আগষ্ট’৯৬, ইত্তেফাক) ০২।

২৮ আগষ্ট ’৯৬ গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের (শা-পা) বিবদমান দু’টি গ্রুপের মধ্যে প্রচন্ড গুলি বিনিময় হয়। এতে ৩ জন কর্মী আহত হয়, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক। (৩০ আগষ্ট ’৯৬, ইত্তেফাক/সংগ্রাম) ০৩। ২১ আগষ্ট ’৯৬ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলে অবস্থানকারী ছাত্রলীগের একটি বহিরাগত গ্রুপ অছাত্র শাহীন কানের নেতৃত্বে অপর গ্রুপের (শামীম) দখলে থাকা জগন্নাথ হলে আক্রমন চালায়। জানা যায়, এই সময় শামীম ও তার গ্রুপ মহসীন হল দখলে ব্যস্ত ছিল।

(২২ আগষ্ট ’৯৬, ইত্তেফাক/ ইনকিলাব) ০৪। ১৮ অক্টোবর ’৯৬ চট্টগ্রামের নন্দনকানন এলাকায় দু’দল সশস্ত্র ছাত্রলীগকর্মীদের মধ্যে কয়েক দফায় ধাওয়া, গোলাগুলি ও বোমাবাজির ঘটনায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়ে। সংঘর্ষকালে পথচারীসহ ১০ জন আহত হয়। (১৯ অক্টোবর ’৯৬, ইনকিলাব/ সংবাদ) ০৫। ২০ এপ্রিল ’৯৭ চট্টগ্রামের চকবাজার সিনেমা হলের সামনে দলীয় প্রতিপক্ষের গুলিতে ছাত্রলীগ নেতা মামুন ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

দীর্ঘদিনের বিরোধের জের ধরে মামুনকে খুন করা হয় বলে জানা যায়। (২১ এপ্রিল ’৯৭, ইনকিলাব/ ইত্তেফাক) ০৬। ১৪ মে ’৯৭ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মধুর ক্যান্টিন এলাকায় ছাত্রলীগের মাদারীপুর-শরীয়তপুর গ্রুপের সাথে দলীয় প্রতিপক্ষ বহুজাতিক গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগের দু’জনসহ ৫ জন আহত। (১৫ মে ’ ৯৭, ইনকিলাব/ সংবাদ) ০৭। ৬ জুন ’৯৭ চট্টগ্রামে আভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে দলীয় প্রতিপক্ষের গুলিতে সিটি কলেজের ছাত্রলীগ নেতা ও ছাত্র সংসদের সদস্য আসিফ আহমদ নৃশংসভাবে খুন হয়।

(৭ জুন ’৯৭, সংগ্রাম) ০৮। ৯ মার্চ ’৯৭ রাজধানীর জুরাইন এলাকায় ছাত্র ও যুবলীগের দু’টি গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে ২ জন নিহত ও ২০ জন গুলিবিদ্ধ হয়। নিহতরা ছিলেন সম্পর্কে দাদী ও নাতনি। তাদের নাম যথাক্রমে কানন বিবি (৬০) ও মিনা খাতুন (১৬)। (১০ মার্চ ’৯৯, ইত্তেফাক/ সংগ্রাম) ০৯।

দৈনিক ইনকিলাবের এক বিশেষ রিপোর্টে বলা হয়, ১৯৭৪ সালের ৪ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের মাঠে সাতজন দলীয় কর্মীকে খুনের মধ্যে দিয়ে ছাত্রলীগের অন্তঃ কোন্দলের শুভ (?) সূচনা হয়। ১৯৭৮-এ লিয়াকত হোসেন, ৮২তে সলিমুল্লাহ হলে অজ্ঞাত পরিচয় দু’জন, ৮৩তে মুহসীন হলে ১জন, সেলিম ও দেলোয়ার ৮৫তে; রাউফুন বসুনিয়া ৮৬তে; আসলাম ৮৭তে; বাবলু মইনুদ্দিন, নুর মোহাম্মদ, ওয়াদুদ, হালিম, মুন্না, আঃ রহিম, ৮৮তে; পাগলা শহীদ ৯০তে; চুন্নু, নিমাই ও ডাঃ মিলন ৯১তে; লিটন, মাহবুবুর রহমান, গালিব, লিটন ও মিজান ৯২তে; বাদল, লাক্কু, রাজু ও মামুন মাহমুদ ৯৪তে; জাকির ৯৫তে; জয়দীপ, ফরিদ দেওয়ানসহ একাশি জন শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০ জন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ জন, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ জন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪জনসহ শিক্ষাঙ্গনগুলোতে প্রায় ৫ শতাধিক ছাত্র খুন হয়েছে- যার অধিকাংশ ঘটনার সাথে ছাত্রলীগের সোনার (!) ছেলেরা জড়িত ছিল। (এপ্রিল, ২০০১, ইনকিলাব) ১০। ১৯ আগষ্ট ’৯৭ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আদায়কৃত চাঁদাবাজির অর্থ ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া এবং প্রচন্ড গুলি বিনিময়। ক্যাম্পাস রণক্ষেত্র, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক।

(২০ আগষ্ট ’৯৭, সংবাদ/ সংগ্রাম) ১১। ২৫ আগষ্ট ’৯৭ যশোর সরকারী সিটি কলেজে মুজিববাদী ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে ঘন্টাব্যাপী বন্দুক যুদ্ধে পুলিশের উপস্থিতিতে ২০ জন আহত হয়। ক্যাম্পাসে কতৃত্ব প্রতিষ্ঠা ও চাঁদাবাজির আধিপত্যকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। (২৬ আগষ্ট ’৯৭, বাংলাবাজার পত্রিকা/ সংগ্রাম) ১২। ২ অক্টোবর ’৯৭ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়।

হল দখলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাবু গ্রুপ ও মহীউদ্দীন গ্রুপের কোন্দলে ক্যাম্পাসে বার বার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি (৩ অক্টোবর’৯৭, ভোরের কাগজ/ দিনকাল) ১৩। ১৮ অক্টোবর ’৯৭ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চাঁদার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে ১ জন গুলিবিদ্ধ হয়। (১৯ অক্টোবর ’৯৭, ইত্তেফাক) ১৪। ১ নভেম্বর ’৯৭ নোয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ছাত্রলীগের বিবদমান দু’গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৭জন আহত হয়। (২ নভেম্বর ’৯৭, দিনকাল) ১৫।

২৫ মে ’৯৮ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতার কাছে বাকি খাওয়ার পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে দোকানদার প্রহৃত হয়। এ নিয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় গোটা ক্যাম্পাস রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। (২৬মে ’৯৮, ইত্তেফাক/আজকের কাগজ)। ১৬। ৩০ মার্চ ২০০০ ফেনীর দাগনভূঁইয়ায় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘাতে ১০টি বাড়ি ও ৪টি দোকান ভাংচুর ও লুট এবং মহিলাসহ ২০জন গুলিবিদ্ধ হয়।

(৩১ মার্চ, ২০০০, আজকের কাগজ)। ১৭। ১৯ সেপ্টেম্বর ’৯৯ ফটিকছড়িতে ছাত্রলীগের তৈয়ব গ্রুপের হাতে টিপু গ্রুপের প্রধান রাশিদুল আনোয়ার খুন হয়। চট্টগ্রামে এই দু’গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। (২০ সেপ্টেম্বর ’৯৯, সংবাদ/ সংগ্রাম) ১৮।

১৬ মার্চ ২০০০ চট্টগ্রামে ঈদুল আজহার আগের দিন ছাত্রলীগের আ.জ.ম. নাসির গ্রুপ ও কাদের গ্রুপের উভয়পক্ষের ২জন খুন। নগরীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। (২০ মার্চ ২০০০, ইনকিলাব/ প্রথম আলো)। ১৯। চট্টগ্রামের পশ্চিম বাকালিয়ার ডি.সি. রোডে চাঁদাবাজির ঘটনায় ছাত্রলীগের দু’উপ-দলের কোন্দলে দলীয় ক্যাডার শহীদ খুন হয়; চট্টগ্রাম পলিটেকনিক এলাকায় ছেঁড়া আকবর ও তাহের গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত হয় দু’জন, আহত হয় অর্ধ শতাধিক।

(এপ্রিল ২০০০, সংগ্রাম/ ভোরের কাগজ)। ২০। ১১ জুলাই ২০০০ চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ছাত্রলীগের টিপু ও তৈয়ব গ্রুপের বন্দুক যুদ্ধে তৈয়ব গ্রুপের ৩জন ক্যাডার খুন হয়। (১২ জুলাই ২০০০, প্রথম আলো/ ডেইলী স্টার)। ২১।

১২ জুলাই, ২০০০ চট্টগ্রাম টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্যানেল জমা নিয়ে ছাত্রলীগের আ.জ.ম. নাসির গ্রুপ ও ছেঁড়া আকবরের নেতৃত্বাধীন অপর একটি গ্রুপের সংঘর্ষে ৮ জন খুন। জানা যায় দলীয় এ দু’গ্রুপ ছাত্র সংসদে জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। (জুলাই ২০০০, সংগ্রাম/ নিউ নেশন/ দৈনিক আজাদি)। ২২। ৮ জুলাই ২০০০ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ হলে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ।

গুলিবর্ষণ ও বোমাবাজির কবলে পড়ে সাধারণ ছাত্ররা হল থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য হয়। (৯জুলাই ২০০০, ইত্তেফাক/ অবজারভার)। ২৩। ৩০ সেপ্টেম্বর ’৯৮ রাজধানীর তেজগাঁও পলিেেটকনিকে আভ্যন্তরীণ কোন্দলে ছাত্রলীগকর্মী হাফিজুর রহমান কনক খুন। (১ অক্টোবর ’৯৮, প্রথম আলো/ সংগ্রাম)।

২৪। ২০ এপ্রিল ’৯৭ চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের আভ্যন্তরীণ কোন্দলে দলীয় প্রতিপক্ষের গুলিতে ছাত্রলীগ নেতা মামুন খুন। নগরীতে চরম উত্তেজনা। (২১ এপ্রিল ’৯৭, ইনকিলাব)। ২৫।

২১ মে ’৯৭ ছাত্রলীগ (শা-পা) অভ্যান্তরীণ কোন্দলের জের ধরে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের কাজির দেউড়ি এলাকায় দলীয়কর্মী মুন্না খুন। প্রতিপক্ষরা তাকে খুব কাছ থেকে মাথায় ও উরুতে গুলি করলে তার মৃত্যু ঘটে। (২২ মে ’৯৭, ইনকিলাব)। ২৬। ৬ জুন ’৯৭ আভ্যান্তরীণ কোন্দলের জের ধরে প্রতিপক্ষের গুলিতে চট্টগ্রাম সিটি কলেজের ছাত্রলীগ নেতা আসিফ আহমদ খুন হয়।

চাঁদাবাজির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে আসিফকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ জানায়। (৭ জুন’৯৭, সংগ্রাম/ইত্তেফাক)। ২৭। ১০ জুলাই ’৯৭ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা অছাত্র ইমাম হোসেন তনাই দলীয় প্রতিপক্ষের হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়। একাধিক সূত্র মতে, তনাই ছাত্রলীগের মহানগরী উত্তর শাখার সহপাঠাগার সম্পাদক ছিল।

অছাত্র তনাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে ২১৮ নং রুমে থাকত। (১১ জুলাই’৯৭, ইত্তেফাক/সংগ্রাম)। ২৮। ২৭ সেপ্টেম্বর ’৯৭ চট্টগ্রামের ব্যস্ততম মোমিন রোডের ঝাঁউতলায় দিনে দুপুরে ছাত্রলীগের অস্ত্রধারীরা ব্রাশফায়ার করে কাজী আসমত উল্লাহ নামে একজন দলীয় কর্মীকে খুন করে। ছাত্রলীগের আভ্যন্তরীণ কোন্দলে নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ জাভেদ ও কামাল নামক দু’জন ছাত্রলীগকর্মীকে গ্রেফতার করে।

(২৮ সেপ্টেম্বর’৯৭, ইনকিলাব/ আজকের কাগজ)। ২৯। ১২ নভেম্বর’ ৯৭ মাদারীপুর জেলার শিবচর থানায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের বিবদমান দুটি গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে ৫জন নিহত ও ৪০জন আহত হয়। নিহত ৫জন হল আব্দুর রব মাতব্বর, ঠান্ডু সরদার, রাশেদ, সাইদুর রহমান সাইদ এবং হুমায়ুন তালুকদার। (১৩ নভেম্বর ’৯৭, দি ইনডিপেন্ডডেন্ট)।

৩০। ২৯ নভেম্বর যশোর শহরের ব্যস্ততম আর এন রোড এলাকায় দু’যুবলীগ কর্মী খুন। নিহতরা হচ্ছে শহরের আর এন রোডের মৃত আব্দুস সাত্তার মিয়ার পুত্র ডাকু (২৮) ও বারান্দী মাঠপাড়ার নওয়াব আলীর পুত্র ববি (২৮)। অন্তঃকোন্দলের কারণে এ হত্যাকান্ড ঘটে বলে জানা যায় (৩০ নভেম্বর ’৯৭, জনকন্ঠ)। ৩১।

২৩ ফেব্রুয়ারী ’৯৮ চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই থানাধীন নিজামপুর কলেেেজ ছাত্রলীগের দু’টি বিবদমান গ্রুপের মধ্যকার সংঘর্ষে ১জন নিহত ও ৮জন আহত হয়। (২৪ ফেব্রুয়ারী ’৯৮, ইনকিলাব)। ৩২। ১৬ মার্চ ’৯৮ কুমিল্লা শহরের কান্দিরপাড় ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সেক্রেটারী জালাল উদ্দীন (২৩) কে গভীর রাতে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে একদল দূর্বত্ত খুন করে। ঘটনার অভিযোগে কোতয়ালী পুলিশ ছাত্রলীগের ‘মাসলম্যান’ হিসেবে পরিচিত এহছানুল হক (মীশু) ও সামাদানীকে গ্রেফতার করে।

(১৮ মার্চ ’৯৮, জনকন্ঠ/ সংগ্রাম) ৩৩। ২ এপ্রিল ’৯৭ চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে বন্দুকযুদ্ধে ১জন নিহত ও আহত হয় ১০জন। ঘটনায় গাড়ী ভাংচুরও করা হয়। (৩ এপ্রিল ’৯৭, জনকন্ঠ) ৩৪। ৩০ নভেম্বর ’৯৮ রাতে দলীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে কলেজ কমিটির সহ-সভাপতি প্রার্থী ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল করিম ডাবু খুন হয়।

(২ডিসেম্বর ’৯৮, ভোরের কাগজ) ৩৫। ২৮ জুন ২০০০ কুমিল্লা জেলা চৌদ্দগ্রামে আভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের হিসেবে আলমগীর নামে এক ছাত্রলীগের নেতা নিহত হয়। (২৯ জুন ২০০০, আজকের কাগজ) ৩৬। ১৬ জুলাই ৯৯ টাঙ্গাইলে ছাত্রলীগের দু গ্রুপে অন্তর্দ্বন্দ্বের জের ধরে ইমাম হোসেন নিকছন নামে এক ছাত্রলীগকর্মী খুন হয়। (১৭ জুলাই ’৯৯, আজকের কাগজ/ সংগ্রাম) ৩৭।

২০ মে ’৯৯ বগুড়ায় অভ্যান্তরীণ কোন্দলের জের ধরে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ২জন নৃশংসভাবে খুন হয়। ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা এ সময় ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। (২১ মে ’৯৯, দিনকাল) ৩৮। ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০০০ বরিশালে বোমা বানাতে গিয়ে ছাত্রলীগকর্মী ও বিএম কলেজের ছাত্র জাহিদ হাসান নোমান নিহত হয়। জানা গেছে, শহরের নিজ দলের প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতেই সে বোমা বানাচ্ছিল।

(৫ ফেব্রুয়ারী ২০০০, সংবাদ) ৩৯। ২০ মে ’৯৯ বগুড়ার সুলতানগঞ্জ পাড়াহাকির মোড়ের জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে নিজ দলের প্রতিপক্ষের হামলায় শহর ছাত্রলীগ সভাপতি তানভীর হাসান ও ছাত্রলীগকর্মী ফরহাদ খুন হয়। (২১ মে ’৯৯, ইত্তেফাক) ৪০। ১৪ জানুয়ারী ’৯৯ বগুড়া শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক মামুন খুন। পুলিশ বলেছে, অস্ত্রবাজি, ছিনতাইসহ একাধিক মামলার আসামী ছিল মামুন।

সূত্রমতে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি টেন্ডারের কাজের বিরোধ ধরে দলের প্রতিপক্ষ গ্রুপ তাকে জবাই করে খুন করে। (১৫ জানুয়ারী ’৯৯, ভোরের কাগজ) ৪১। ১২ ফেব্রুয়ারী ’৯৯ চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে ৬ঘন্টা বন্দুকযুদ্ধে ২৫জন গুলিবিদ্ধ। (১৪ ফেব্রুয়ারী ’৯৯ সংবাদ) ৪২। ২৬ মার্চ ’৯৯ সিরাজগঞ্জ পৌরসভার সরাধানভাড়া গ্রামের খা পাড়ায় বৌ-মেলার জুয়ার টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের বিবদমান দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ কর্মী মিল্টন নিহত হয়্ আহত হয় ১০জন।

উল্লেখ্য যে, প্রতিবছর ছাত্রলীগকর্মীরা এখানে বৌ-মেলার নাম করে মদ, জুয়া, হাউজীসহ নানা রকম অশ্লীলতার আসর বসায়। (২৮ মার্চ ’৯৯, সংগ্রাম) ৪৩। ১০ মার্চ ’৯৯ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজির ভাগবাটোয়ার বিরোধের জের ধরে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময় ও ভাংচুরের ঘটনায় আহত হয় ৫জন। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী লাঞ্চিত। ৬ ছাত্রলীগকর্মী গ্রেফতার।

(১১ মার্চ’৯৯, ইত্তেফাক/প্রথম আলো/ সংগ্রাম) ৪৪। ২৪ এপ্রিল ’৯৯ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের অভ্যান্তরীণ কোন্দলের জের ধরে দলের প্রতিপক্ষ গ্রুপের নেতা মুন্সি সেলিমকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ৭জন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীকে বহিস্কার করে। (২৫ এপ্রিল ’৯৯, ইনকিলাব/ প্রথম আলো/ অবজারভার) ৪৫। ৮ মে ’৯৯ চট্টগ্রামের নিউমার্কেট এলাকায় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে এক রিক্সাচালক নিহত ও অপর ২জন গুলিবিদ্ধ হয়।

পুলিশ জানায়, উত্তর জেলা ও দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ( ৯ মে ’৯৯, ভোরের কাগজ) ৪৬। ১ মে’ ৯৯ চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানায় মন্ত্রী মোশাররফ হোসেনের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের থানা সম্মেলনে দলের দু’গ্রুপে বৃষ্টির মত গুলিবিনিময়ের সময় শতাধিক আহত। উল্লেখ্য, সম্মেলনে সংসদ সদস্য আবুল কাশেম মাস্টার ও ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক অজয় কর খোকনও উপস্থিত ছিলেন। (২ মে ’৯৯, আজকের কাগজ) ৪৭।

৬ মে ’৯৯ মুহুর্মুহু বোমা বিস্ফোরণ আর গুলির মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের নিজ দলের প্রতিপক্ষকে বের করে দখল করে ছাত্রলীগের নেতা টোকাই শামীম। নিক্ষিপ্ত বোমা, গুলি ও কাদানে গ্যাসে হলটি ছাত্রশূন্য হয়ে পড়ে। উল্লেখ্য যে, টোকাই শামীম ৪ বছর আগে এই হলের কেন্টিন বয় ছিল। (৭ মে ’৯৯, বাংলবাজার পত্রিকা) ৪৮। ১২ জুলাই ’৯৯ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে ৪পুলিশ কনষ্টেবল, ২কর্মচারীসহ ৫০জন গুলিবিদ্ধ হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা, ছাত্র-ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ, গ্রেফতার ৪। (১৩ আগষ্ট ’৯৯, সংবাদ) ৪৯। ১০ মে ২০০০ ফেনী শহরের কেন্দ্রস্থলে ছাত্রলীগের আভ্যন্তরীণ কোন্দলে একজন কর্মী খুন ও আরেকজন পঙ্গু হয়ে যায়। সূত্রমতে, জয়নাল হাজারীর সন্ত্রাসী স্টিয়ারিং বাহিনীর সদস্যদের হাতে এ ঘটনা ঘটে। (১১ মে ২০০০, আজকের কাগজ) ৫০।

আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের দলীয় কোন্দলে গত ১মাসে ১৬জন খুন হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে ৯০জন, আহত ২০০জন এবং ৫০টি গাড়ী ভাংচুর ও লুটপাট হয়। (১৮ জুলাই ২০০০, সংগ্রাম) ৫১। ৭ ফেব্রুয়ারী ’৯৮ ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ১জন কর্মী খুন হয়েছে, আহত হয়েছে ১৫জন। (৯ ফেব্রুয়ারী’৯৮, ইত্তেফাক/ ইনকিলাব/ প্রথম আলো/ সংগ্রাম) ৫২।

১ সেপ্টেম্বর, ২০০০ কুমিল্লায় ছাত্রলীগের আভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে স্থানীয় দু’গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে সম্মেলন পন্ড। অস্ত্র প্রদর্শন, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন। (২ সেপ্টেম্বর ২০০০, আজকের কাগজ) ৫৩। ৯ নভেম্বর, ২০০০ রাজধানীর বাড্ডা ক্লাবের আধিপত্য, চাঁদাবাজির প্রভাব ও তিতুমীর কলেজে ভর্তির কোটা নিয়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের সাথে বিরোধে ছাত্রলীগ নেতা আঁখি খুন হয়। (১১ সেপ্টেম্বর ২০০০, আজকের কাগজ/ ইত্তেফাক) সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখল ০১।

১৯ জুন ’৯৬ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীলক্ষেত ও পলাশীতে ছিনতাই করার সময় পুলিশ ছাত্রলীগ নেতাসহ তিনজনকে রিভলভারসহ গ্রেফতার করে। (২০ জুন’৯৬, ইনকিলাব/জনতা) ০২। ৫ নভেম্বর ’৯৬ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুহসীন হলের ছাত্রলীগ ক্যাডাররা ইমরুল হাসান বাবুল নামের একজন অতিথিকে লাঞ্চিত করে তার স্বর্ণের চেইন ও নগদ সাড়ে ১১শ টাকা ছিনিয়ে নেয়। (৬ নভেম্বর’৯৬, ইত্তেফাক) ০৩। ৩১ ডিসেম্বর ’৯৬ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের খুলনাস্থ বি এল কলেজ শাখা বছরের শেষ দিনটি সেলিব্রেট করেছে বন্দুক মিছিল এবং গুলি বর্ষণের মাধ্যমে।

দুপুর বারোটার দিকে ছাত্রলীগের বি.এল. কলেজ শাখা কলেজের প্রধান গেটে বহিরাগত লুঙ্গিপরা শ্রমিক দিয়ে এক ছাত্র সমাবেশেরও আয়োজন করে। (১ জানুয়ারী ’৯৭, ইনকিলাব) ০৪। ৮ জানুয়ারী ’৯৭ দলীয় কেন্দ্রীয় সভাপতির উপস্থিতিতে ছাত্রলীগ (শা-পা) হল দখলের অভিপ্রায়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত ভাড়াটিয়া সশস্ত্র বাহিনীর সহযোগীতায় ইসলামী ছাত্রশিবির, এলাকাবাসী এবং পুলিশের উপর দীর্ঘ তিনঘন্টা হামলা, গুলিবর্ষণ ও বোমা ফাটিয়ে ক্যাম্পাস ও পাশ্ববর্তী এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত করে। (৯ জানুয়ারী ’৯৭, সংগ্রাম/ ইনকিলাব) ০৫। চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানায় শিলপাড়া গ্রামের একটি হিন্দু বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ পুলিশ স্থানীয় যুবলীগের ৫জন নেতাকে গ্রেফতার করে।

(৯জানুয়ারী ’৯৭, সংগ্রাম) ০৬। ১৭ জুলাই ’৯৭ খুলনা নগরীর নতুন বাজার এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের গুদাম থেকে কয়েক লাখ টাকার মাল চুরি করে ট্রাক ভর্তি করে নিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা এবং মহানগরী শাখার সাবেক সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে পুলিশ আটক করে। (১৮ জুলাই ’৯৭, বাংলার বাণী) ০৭। ২৯ জুলাই ’৯৭ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের গুনবতীতে পুলিশের ছত্রছায়ায় আওয়ামী- ছাত্রলীগের সশস্ত্র কর্মীরা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ, ১টি মাদ্রাসা, ৪টি বাড়ী ও ৬০টি দোকানে লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ ৩ ঘন্টাব্যাপী নারকীয় তান্ডব চালায়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.