মো. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, লালমনিরহাট থেকে : লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দিঘলটারী গ্রামে ছুটিতে এসে এক রিকশচালকের স্ত্রীকে (২৫) জোরপূর্বক ধর্ষণ করতে গিয়ে গত রোববার রাতে জনতার হাতে আটক হয়েছে খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ লাইনের পুলিশ সদস্য মোস্তাফিজার রহমান। আটক পুলিশ সদস্যকে গণধোলাই দেয় জনতা। পুলিশ সদস্যর মামা বিচারের কথা বলে জনতার হাত থেকে ছেড়ে নিয়েও বিচার না করায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। গ্রামবাসী ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, আদিতমারী উপজেলার দিঘলটারী গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেন এর পুত্র মোস্তাফিজার রহমান (২৫) খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ লইনে পুলিশের চাকরি করেন। গত রোববার ২ দিনের ছুটিতে নিজবাড়ীতে আসেন মোস্তাফিজার রহমান।

একই গ্রামের ওই রিকশাচালক পেশাগত কাজে চট্টগ্রামে থাকে। পুলিশ সদস্য ছুটিতে এসেই রোববার রাতে রিকশাচালকের স্ত্রীকে বাড়িতে একা পেয়ে তার ঘরে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। তার চিৎকারে তার দেবরের স্ত্রী টের পায়। পরে পুলিশ সদস্যকে আটক করে। খবর পেয়ে গ্রামবাসী এসে ঘিরে ফেলে লম্পট মোস্তাফিজার রহমানকে।

জনতা তাকে আটক করে রশি দিয়ে বেঁধে জুতা দিয়ে পিটিয়ে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে লম্পট পুলিশ সদস্যের মামা আব্দুল কাদের তাকে গণধোলাই হাত থেকে উদ্ধার করে। বিচার করার আশ্বাস দিয়ে জনতার হাত থেকে রক্ষা করে। বিচারের আশ্বাস দিয়ে ৪ দিন ধরে বিচার না করে আব্দুল কাদের ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে রিকশাচালক অভিযোগ করে। অভিযোগ পাওয়া পেছে একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য থানায় মামলা না করার জন্য হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

ওদিকে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য মেস্তাফিজারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমি খাগড়াছড়ি পুলিশ লাইনে পুলিশ সদস্য হিসেবে কর্মরত আছি। ২ দিনের ছুটিতে বাড়িতে এসে রোববার রাতে বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় পূর্ব শত্র“তার জের ধরে আমাকে জোর করে ধরে নিয়ে ঘরে ঢোকায় এবং বেঁধে ফেলে। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়, তা সাজানো। ।