কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে মারার পর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে ঝলসে দেওয়া হয়েছে। গতকাল রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাষা ইউনিয়নের হাজী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ ও গৃহবধূর ভাই ইয়াকুব চৌধুরী জানান, হাজী গ্রামের বতু মিয়ার ছেলে শহিদুল্লার স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে (৩০) তার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, দেবর ননদ মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে তাকে বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়।
এতে তার হাটু থেকে শরীরের উপরের অংশ ঝলসে যায়। জেসমিন নাঙ্গলকোট উপজেলার বাগরা গ্রামের আব্দুল গফুরের মেয়ে। তার ৬ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
২০০৪ সালে শহিদুল্লার সাথে জেসমিনের বিয়ে হওয়ার পর থেকে জেসমিনকে যৌতুকের জন্য স্বামীর পরিবার থেকে চাপ দেয়া হচ্ছিল। গতকালও এ নিয়ে তাকে মারধর করা হয়।
এ ঘটনায় গৃহবধূর বড় ভাই ইয়াকুব চৌধুরী বাদী হয়ে জেসমিনের স্বামী শহিদুল্লার, শ্বশুর বতু মিয়া, শ্বাশুড়ি রজবের নেছা, দেবর সুমন, ননদ ডলি ও মামা শ্বশুড় সালেহ আহমদকে আসামি করে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। এব্যাপারে ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান জানান, ঘটনাটি শ্বাসরুদ্ধ করে মারার পর গায়ে কেরোসিন ঢেলে পোড়ানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়না তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।