অপ্রিয় এবং অবাঞ্ছিত... দিনের শুরু হইছিল স্বপনের ভিতর স্বপ্ন দেইখা, Inception'এর মত। ফ্রেশ হইতে বাথরুমে গেলাম, আয়নায় নিজের চক্ষু-আধাবোজা আবলু-থাবলু চেহারা দেইখাই নিজেরে লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও মুনে হইতেছিল। কিন্তু ইয়াদ নাই, কি জানি স্বপ্নটা দেখছিলাম! সকালে বাসা থেকে বাইর হওয়ার সময়ও মনে আছিল, কিন্তু বাসায় ফেরার পর আর মনে নাই। ফেবুতে শেয়ারাইতেই এক মামু জিগাইলোঃ স্বপ্নে নায়িকা কিডা আছিল? আমি একটুও বিলম্ব না কইরে কইলামঃ এলিশা কাথবার্ট!! যাই হোক, এই পুস্টের নায়িকা হইল আমার ভার্সিটির সিনিয়র আফা। উপলক্ষ্য হইল আফার হ্যাপি বার্থডে।

এইখানে আমি কইত্তে আইলাম, কেন আইলাম, কেন উনি আমারে ইশপিশাল ট্রিট দিবেন, এইগুলা চাইপ্যা গেলাম। দুইডা+দুইডা=চাইরডা কেলাসের মাঝখানে দুই ঘন্টা বেরেক। আফু ফুন দিয়া কইলঃ হাউজ বিল্ডিং চইলা আসো। গলা থিকা টাই খুইল্ল্যা যত্ন কইরা ব্যাগের ভিতরে রাইখা মাঞ্জা মাইরা হাউজ বিল্ডিং আইলাম। নর্থ টাওয়ারের সামনে খাড়াইয়া ভাবতেছি শার্ট ইন থাকপে, না ইন ছাইড়া দিমু, এমন সময় দেখলাম আফু আইতাচে।

পুরাই নীলাঞ্জনা সাজ... মাশকারা থিকা শুরু কইরা ড্রেসআপ তক নীল... নীলাফা আমার দিকে চাইয়া ভূবন ভুলাইন্ন্যা হাসি দিলেন, মুনে হইল ন্যান্সি আজরাম, হাইফা ওয়েহবে, সিরিন আব্দ আল নূর ইহার কাছে ফেইলড! সিদ্ধান্ত হইল আমরা বিএফসিতে যামু। অতঃপর রিকশা। ইশ... মুনে হইতেছিল গার্লফ্রেন্ড নিয়া হাওয়া খাইতে বাইরাইছি। নীলাফা বকবক কইরা যাইতেছিলেন, যেমনটা বয়ফ্রেন্ডের লগে রিকশায় হাওয়া খাওনের সময় গার্লফ্রেন্ডরা করে। আর যাইতেছিলামও উত্তরা আন্ডারগ্রাউন্ড দিয়া, জনতা তু আমগো কপোত-কপোতী ঠাওরাইবোই।

এইডা ভাইবাই পুলকিত হইলাম। একুশটা বসন্ত পার হইলেও এইরাম চুইট রিকশা ভ্রমণ কপালে জুটে নাই, সো খ্রাফ কি! মুনের ভিতরে চলতাছে কুক্কুরুক্কুক-হুক্কা হুয়া... আইলাম বিফসি'তে। দুই-একজন বাদে সবটি কাপল। জায়গা বাইচ্ছা টুকুর-টুকুর কইরা গল্প শুরু হইল আমগো... মুরগীর সিনা-ভাজা আর কোক আইয়া পড়লো। এট্টু শরম শরম লাগল।

আমি আমার দুই বদমাইশ দোস্ত ছাড়া কখনও এইখানে আসিনাই। আর এখন আমি আসছি এক সুন্দরীর লগে। জীবনে পরথম একলা কুনু সুন্দরীর লগে রেস্টুরেটে আইলাম, তাও সুন্দরীর বিল পে করছে! গলা শুকাইয়া গেল। কোকের গ্লাসে চুমুক দিলাম। চিমটি দিয়া তুইল্লা খাইতে লাগলাম।

নীলাফা কইলঃ মোরগের মত ঠোকর দিয়া খাচ্ছ কেন? কামড় দিয়া শান্তি করে খাও। সাহস পেয়ে দিলাম উপরের পাটি-নিচের পাটি দাঁত এক কইরা কামড়। নীলফা দেখি হাসে। আমি চিবাইতে চিবাইতে তার হাসি দেখি। দ্বি-পাক্ষিক আলুচনা হইল।

আমি চামে স্টার্ক কুম্পানীর একখানা রকেট ছাড়ার চেষ্টা করলামঃ "এইডারে আমি কিন্তুক ডেট হিসাবে লইলাম। ..." নীলাফা দেখি রাজি। সুতরাং ডেটিঙে যা হয়, তা-ই করবার চাইলাম। চোখে চোখে কথা হয়... (কেয়া লিপজেলের কথা মনে পইড়া গেলু? )... মিষ্টি মিষ্টি কথা হয়... এমনকি ডুয়েট ফডুকও তুলা হইল... এবং দিন শেষে ফেবুতে পোকা-পোকি, ইনবক্সিংও হইল... নাহ, ফেবুতে আমগো ডুয়েট ফডুক আপ্লোডাই নাই। থাকুক জমা আমার ফিউচার জেনারেশনের লিগা... নাতিনাতনিদের কাছে পার্ট লমু - দেখ, তোগো থিকা আই কম ইশমাট আছিলাম না! ভার্সিটির সিনিয়র হইলেও উনি বয়সে আমার থিকা দুই বচ্ছরের ছুডো।

তয় আমনেরা ভাইবেন না আমি আদু ভাই বা ফেল্টু মার্কা ইশটুডেন... কেলাছ ওয়ান থিকা ইশটাট কইরা আমার কুনু ইয়ার গ্যাপ নাই... রোল নাম্বার ১ থিকা ১০এর মাঝে আছিল অল টাইম... চামে আরেকডা সিক্রেট কইঃ নামে কাইল্যা হিমু হইলেও আমার গাত্র এক্কেরে সোনার বরণ... শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, নীলাফা আমার লাইগ্যা মুভি ডাউনলোডাইতেছেন। আগামি দিন ক্লাসে পেনড্রাইভ দিয়া আমাকে হ্যান্ডওভার করা হইবেক। ... উনি এই ডেটিংএর আগে বা পরে In A Relationship ছিলেন বা হলেন কীনা সেটা রহস্য থাউক। ...  ।