আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাবার ইমামদের নিয়ে রিপোর্ট, ঐ সময়েই প্রতিবেদকের সাথে আমার কথা।

ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত.. আমরা আনিব রাঙ্গা প্রভাত... তাকে জিগাইলাম.... সে বললঃ ফাইল ফটো. জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখের কথা , ফেসবুকে প্রতিবেদকের নাম আবুল কালাম আজাদ আমার দেশ-এর ‘প্রবাস জীবন’ শীর্ষক একটি সাপ্তাহিক পাতা প্রকাশিত হয় মূলত প্রবাসীদের পাঠানো লেখা, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও চিঠিপত্র নিয়ে। গত ৬ জানুয়ারি প্রকাশিত প্রবাস জীবন পাতায় ‘আলেমদের নির্যাতনের প্রতিবাদে কা’বার ইমামদের মানববন্ধন’ শিরোনামে একটি সচিত্র চিঠি প্রকাশিত হয়। আবুল কালাম আজাদ নামে যিনি ই-মেইলযোগে ওই ছবি ও লেখা পাঠিয়েছেন, তিনি আমার দেশ ও নয়া দিগন্ত পত্রিকায় নিয়মিত লেখেন। মূলত তিনি বেসরকারি টেলিভিশন বাংলাভিশন-এর প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত। মিসর ও মধ্যপ্রাচ্যের বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট এবং প্রবাসীদের তত্পরতা নিয়ে লেখালেখি করেন তিনি।

সম্প্রতি বাংলাদেশে থাকাকালে প্রায় দু’মাস তিনি বাংলাভিশনে কাজ করেছেন। বাংলাভিশনের একটি অনুষ্ঠানে আজাদ অংশগ্রহণও করেন। আমার দেশ-এর প্রবাস জীবন পাতায় চিঠিটি তার নামেই প্রকাশিত হয়েছে। আরও দুটি জাতীয় দৈনিকে একই সূত্রের বরাতে একই ছবিসহ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। চিঠির লেখক আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রেরিত লেখার তথ্যগুলো পুরোপুরি সত্য ও তথ্যনির্ভর।

তিনি জানান, প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে মক্কা প্রবাসী কিছু সাঈদীভক্ত আলেম ৪ জানুয়ারি জুমার নামাজ শেষে কাবাঘরের কাছে সাঈদীর পক্ষে কর্মসূচি পালন করেন। ওই কর্মসূচির আয়োজনের সঙ্গে মক্কাপ্রবাসী মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতাও জড়িত ছিলেন। এ সময় আল্লামা সাঈদীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় মসজিদুল হারামের খতিব প্রখ্যাত কারী শাইখ আবদুর রহমান আল সুদাইসিকে তারা অনুরোধ করেন সাঈদী সম্পর্কে বক্তব্য রাখার জন্য। খতিব সুদাইসি আল্লামা সাঈদীর সঙ্গে তার ব্যক্তিগত পরিচয় ও সম্পর্ক নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক যে বক্তব্য দেন—তা অবিকৃতভাবে লেখা হয়েছে। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে কুবা মসজিদের খতিব শাইখ আহমদ ইবনে আলী আল হুজায়ফিসহ বিভিন্ন মসজিদের খতিব ও সাধারণ মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন।

ওই কর্মসূচির খবর মিসরসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে বলেও জানান আজাদ। লেখার সঙ্গে আবদুর রহমান আল সুদাইসিকে চেনানোর জন্য ইন্টারনেট থেকে ফাইল ছবি পাঠানো হয়েছে বলে জানান আবুল কালাম আজাদ। লেখা ও সংবাদের সঙ্গে ফাইল ছবি ব্যবহার গণমাধ্যমের বহুল প্রচলিত রীতি। সে হিসেবেই ছবিটি পাঠান আজাদ। আমার দেশ-এ প্রকাশিত ছবিতে কোনো ক্যাপশন দেয়া হয়নি।

লেখা হয়নি যে, ছবিটি কাবার ইমামদের মানববন্ধনের। এদিকে ছবি নিয়ে বিতর্কের শুরুতেই প্রকাশের দিন ৬ জানুয়ারি সকালে আমার দেশ কর্তৃপক্ষ তাত্ক্ষণিকভাবে অনলাইন থেকে সেটি প্রত্যাহার করে নেয়। তা সত্ত্বেও প্রকাশের তিন মাস পর বিষয়টি নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৩৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.