আমার চোখে ঠোটে গালে তুমি লেগে আছো !! বাইরে প্রচন্ড গরম । একটু যে বের হব তার উপায় নাই । এতো গরমের ভিতর মানুষ টিকে কিভাবে ? আমি গরমে অতিষ্ট তখন ফারহানের ফোন পেলাম । এই সাতদিন ধরে বেটার কোন খোজ খবর নাই । এখন কি চায় ?
-শান্ত একখুনি রেডি হ ।
তোকে নিতে আসতেছি ।
আমাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই ফারহান ফোনটা কেটে দিল । বাধ্য হয়েই তৈরি হয়ে নিচে নেমে এলাম । ফারহান এসে পড়লো পাঁচ মিনিটের ভিতরেই ফারহান এসে হাজির ওর এফ জেড ফাইভ নিয়ে ।
-কি কোথায় ছিল এই কয়দিন ? কয় বার ফোন দিছি ?
সব বলতেছি আগে বাইকে ওঠ ।
-কোথায় যাবি ?
-স্পেশ গার্ডেন ।
আমি জানতাম ফারহান এই কথাই বলবে । নিশ্চই প্রোফেসর আশরাফির জরুরী তলব । ফারহানের গায়েব থাকার পেছনেও নিশ্চই প্রোফেসর আশরাফির কোন হাত আছে । প্রায়ই প্রোফেসর আমাদের কে এমন কাজ দেন ।
আমি ঠিক বুঝি না দুজনকে একসাথে দিলে কি সমস্যা ?
গতমাসের ঘটনা । প্রোফেসর আমাকে একাই ডেকে পাঠালো । আমি স্পেশ গার্ডেনে পৌছে দেখি বল সাইজের পাতলা একটা ধুসর রংয়ের বাক্স নিয়ে বসে আছে । আমি ঘরে ঢুকতেই আমাকে বলল
-এই নাও । এই টা এক জায়গায় দিয়ে আসতে হবে ।
-কোন জায়গায় প্রোফেসর ?
আমার এই কথা শুনে প্রোফেসর অদ্ভুদ ভঙ্গিতে হাসল । বলল
-এটা হাতে নাও তাহলেই বুঝবে । যন্ত্রটা হাতে নিতে তেমন কিছু হল না প্রথমে । কিন্তু একটু পরেই অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম আমার মনের ভিতর একটা পরিবর্তন চলে এসেছে । আমি স্পষ্টই বুঝতে পারছি আমাকে কোথায় যেতে হবে ।
আর কেবল অবাক হয়ে প্রোফেসরের দিকে তাকালাম । তিনি তখনও মুচকি হেসে চলেছেন । আমার দিকে তাকিয়ে বললেন
-কই যাও । জলদি যাও ।
আমি রওনা হয়ে গেল ।
পরে জেনেছি ধুসর যন্ত্রতার ভিতর একটা মাইন্ড সেন্সর লাগানো ছিল । ঐ মাইন্ড সেন্সরের কন্ট্রল প্যানেলে নাকি ঠিকানা লেখা ছিল । আমি যেই না সেন্সরের স্পর্শ করেছি সেন্সরটা আমার মনকে এফেক্ট করেছে ।
প্রোফেসর যন্ত্রটার আরো উন্নতি সাধন করার চেষ্টা করছেন । প্রোফেসর বললেন যে পুরোপুরি কাজ শেষ হলে তখন আর নাকি কষ্ট করে কোন কিছু মুখস্ত করতে হবে না ।
কেবল ইবুক আকারে সেন্সরে প্রবেশ করিয়ে সরাসরি মনের ভিতর ডাউনলোড করানো হবে । আরো কিছু টেকনিক্যাল কথা অবশ্য প্রোফেসর বলেছিল আমি ঠিক মত বুঝতে পারি নি ।
যাইহোক আজকে আবার কি দরকার পড়লো যে প্রোফেসর আমাদের দুজন কে একসাথে ডাক দিল ।
ফারহান বেশ জোরেই বাইক চালাচ্ছে । একটু যেন তাড়াহুড়ার ভিতর আছে ।
আমি ফারহানের পিছনে বসে আছি । ওর কানের মুখ নিয়ে চিৎকার করে বললাম
-আমাদের পেছনে কি পুলিশ লেগেছে ?
ফারহান বলল
-কেন ?
-এতো তাড়াহুড়া কেন করছিস ?
-আরে এমন একটা খবর আছে ! প্রোফেসরকে বলতে হবে ।
-তুই কোথায় ছিলি এই কয় দিন ?
-আরে সব বলবো । আগে প্রোফেসরের বাসায় চল । ওখানে গেলেই সব জানতে পারবি !
আমি আর কিছু জানতে চাইলাম না ।
বাইকের পেছনটা একটু শক্ত করে ধরে বসলাম ।
যখন স্পেশ গার্ডেনে পৌছালাম গরমে ঘেমে নেয়ে একেবারে একাকায় । চারিদিকে এতো গরম পরেছে ! কিন্তু প্রফেসরের ঘরে ঢুকতেই একেবারে গরমটা উবে গেল । প্রথমে মনে হল যেন তাপমাত্রা যেন একেবারে কমে গেছে ।
এসির ভিতর ঢুকে পড়লাম নাকি ? এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখি সব দরজা জানালা খোলা ।
প্রোফেসর এমনিতেই এসি খুব একটা পছন্দ করেন না । বিশেষ করে তিনি ঘরের বদ্ধ পরিবেশ একদম পছন্দ করেন না ।
তাহলে ?
ড্রয়িং রুমের তাপমাত্রা একেবারে স্বাভাবিক । মনে হচ্ছে একটু আগে বৃষ্টি হয়েছে । বৃষ্টি হওয়ার পরে চারিপাশে যেমন একটা ফ্রেস আর ঠান্ডা ভাব থাকে ঠিক সেই রকম আবাহাওয়া ।
আশ্চার্য হলাম । অবশ্য প্রোফেসরের সাথে থাকলে অবাক হতে নাই । একটু পরেই নাসিরউল্লাহ এসে হাজির ।
-শান্ত ভাই অনেকদিন পরে আইলেন ।
আমি একটু হেসে বললাম
-এই একটু ব্যস্ত আর কি ! পরীক্ষা ছিল ।
আমি আরো কিছু বলতে যাবো তার আগে ফারহান বলল
-প্রোফেসর কোথায় ?
-স্যার তো ছাদে ।
আমি আটকে উঠে বললাম
-এই রোদের ভিতর ছাদে কি করে ?
-যান । গেলেই দেখবেন ।
-আয় !
ফারহান আমাকে ডাক দিয়ে ছাদের দিকে হাটা দিল । আমার যদিও এই শান্তির আবাহাওয়া ছেড়ে ছাদের গরমের ভিতর যাওয়ার কোন ইচ্ছা ছিল না তবুও ফারহানের পিছন পিছন হাটা দিলাম ।
কিন্তু ছাদেও সেই একই অবস্থা । মনেই হচ্ছে না যে এটা গরম কাল । বাইরে চল্লিশ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা । কিন্তু এখানে দেখি প্রোফেসর আপন মনে বসে চা খাচ্ছে । তানিয়া তাবাসসুমও দেখি আছে ।
আমাদের দেখে প্রোফেসর বলে হৈ হৈ করে উঠল ।
-আরে এসো এসো ।
আমরা দুজনেই গিয়ে সোফার উপর গিয়ে বসলাম । আমি বললাম
-প্রোফেসর ! তাপ …….
আমাকে শেষ করতে না দিয়ে প্রোফেসর ফারহানের দিকে তাকাল ।
-কি খবর ফারহান ?
-খবর খুব ভয়ংকর !
-মানে কি ?
-আপনার ধারনা ঠিক ।
কিছু একটা হচ্ছে এম্বাসিতে ।
-কি হচ্ছে কিছু বুঝতে পেরেছো ?
- সবটা বুঝতে পারি নাই তবে আপনি যা বলেছেন একদম সেরকম ই । প্রতিদিন রাত দুইটার দিকে আমেরিক্যান এম্বাসির পেছনের গেট থেকে কয়েকজন উদভ্রান্ত লোক বের হয় । আসে পাশে যাকে পায় তাকেই আক্রমন করে ।
-তারপর ?
-তারপর ...
ফারহান একটু ইতস্তত করতে লাগলো ।
বলবে কি বলবে না এটা ভাবছে ।
-কি হল ?
-প্রোফেসর আপনি জাম্বি দেখেছেন ?
তানিয়া তাবাসসুম এতোক্ষন চুপ করে ছিল । জাম্বির কথা শুনে বলল
-জাম্বিস ? মানে ঐ রেসিডেন্সিয়াল মুভির মত ? মৃত মানুষ গুলো কেমন করে চলাচল ঘার কাত করে হাটে !
-হুম ।
প্রোফেসর বলল
-তুমি কি বলতে চাও ? তুমি জাম্বিস দেখেছো ?
ফারহান বলল
-এম্বাসি থেকে যে উদভ্রান্ত লোক গুলো বের হয় সেগুলো আর কিছু না ।
-জাম্বীস ?
-জাম্বীস ?
আমি আর তানিয়া তাবাসসুম একসাথে চিৎকার করে উঠলাম ।
-হুম ।
হঠাৎ আমার সকাল বেলার পেপারের কথা মনে পড়লো । ঢাকায় কদিন থেকেই কত গুলো খুন হচ্ছে । আর লাশ গুলো বেশ বিকৃত অবস্থায় পাওয়া যাচ্ছে এখানে সেখানে । দেখলে মনে হয় কেউ যেন খুবলে খুবলে খেয়েছে ।
মুভিতে যেভাবে দেখা যায় ! আমার কেন জানি মনে হল ঐ সব খুনের সাথে এর একটা সম্পর্ক আছে ! আমি বললাম
-তার মানে পত্রিকা গুলো যা ছাপছে তা ঠিক ?
প্রোফেসর বলল
-তাই তো মনে হচ্ছে । কিন্তু এটা বলে ঠিক হবে না যে ওগুলো জাম্বীসের হাতেই মারা পরেছে !
তাতা খানিকটা সংকিত গলায় বলল
-হায় আল্লাহ । এতোদিন তো ভুত পেত্নী ছিল । এখন জাম্বীস ! এখন কি হবে ! এখন কি হবে ?
প্রোফেসর বলল
-আহ তানিয়া । এতো অস্থির কেন হচ্ছ ? এখনও অবস্থা অতটা খারাপ হয় নি ।
ফারহান বলল
-ঠিক বলেছেন এখনও অবস্থার অতোটা খারাপ হয় নি । প্রতিদিন হাতে গোনা দশ থেকে বারো জন বের হয় । আর এরা আশে পাশের যাকে পায় তাকেই আক্রমন করে । তবে !
-তবে ।
আমিও বললাম
-তবে !
আমার দেখাদেখি তাতাও বলল
-তবে ?
ফারহান বলল
-আমরা মুভিতে দেখি না জাম্বীসরা যাদের মারে বা কামড় দেয় তারাও কিছুক্ষন পরে জাম্বীস হয়ে যায় ?
-হুম ।
-এখানে ঐ রকম কিছু হয় না । যারা মারা গেছে তাদের কেউই জাম্বীস হয়ে উঠে নাই । আমি ঢাকা মেডিক্যালে খোজ নিয়েছি । আজ সকাল পর্যন্ত সাত জন মারা গেছে জাম্বীসদের হাতে । সাত জনই ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে আছে ।
কেউ এখনও পর্যন্ত বেঁচে উঠে নাই ।
-ভাল । এটা একটা ভাল কথা । পুলিশ কিছু করছে না ।
ফারহান বলল
-এটা একটা অবাক হওয়ার মত বিষয় ! পুলিশ একেবারে নিশ্চুপ !
প্রোফেসর বলল
-যদিও জাম্বীসের ব্যাপারে সাইন্টিফিক্যালী কোন প্রুফ নাই ।
কেবল গল্প কিংবা মুভিতেই দেখা যায় । বাস্তবে এর কোন অস্তিত্ব নাই ।
-প্রোফেসর । আর একটা মজার খবর আছে ?
-কি ?
-যে জাম্বীস গুলোর কথা বলছি সেগুলো কিন্তু আসলে জাম্বীস না । কেবল রাতের একটা নির্দিষ্ট সময়ে তারা বের হয় ।
এবং সকাল বেলা আবার মানুষে পরিনত হয়ে যায় ।
-তুমি এটা কিভাবে বলছো ?
-কাল রাতের ঘটনা । ঐ জাম্বীস গুলোর ভিতর একটা জাম্বীস একটু বেশি দুরে চলে যায় । ফিরে আসতে আসতে তখন সকালের আলো ফুটে যায় । আমি ঐটার পিছনেই ছিলাম ।
-কি দেখলে ?
-দেখলাম ভোরের আলো গায়ে লাগতেই জাম্বীটা উল্টে পড়ে গেল । পরেই রইল বেশ কিছুক্ষন । অনেক্ষন যখন দেখলাম উঠছে না আমি বাইক নিয়ে এগিয়ে গেলাম । গিয়ে দেখি একদম স্বাভাবিক মানুষ । আশ্চার্য হয়ে গেলাম ।
কিন্তু লোকটার বেশ কয়েক জায়গায় কাটা ছেড়ার দাগ ছিল ।
প্রোফেসর বলল
-তারমানে তুমি বলতে চাচ্ছ মানুষ গুলো কেবল কিছু সময়ের জন্য জাম্বীস হচ্ছে । পুরোপুরি না ?
-না ।
-কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেন ?
আমি বললাম
-রাস্তার মানুষ গুলো মারার জন্য ওরা কেন বের হবে ?
প্রোফেসর আশরাফী মাথা নাড়ল । তানিয়া বলল
-মনে হচ্ছে এর পিছনে কেউ আছে ।
কোন প্রজেক্ট আছে । কেউ একজন এটা নিয়ন্ত্রন করবে ।
প্রোফেসর আশরাফী মাথা নাড়ল ।
-ঠিক তাই । কেবল মাত্র রাস্তার মানুষ গুলোকে মারার জন্য নিশ্চই এই জাম্বীসদের মাঠে নামানো হয় নাই ?
এই প্রশ্নের জবাব আমাদের কারো কাছেই নেই আমরা কেবল প্রোফেসরে দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলাম ।
ফারহান এই সময় নিজের পকেট থেকে একটা কাচের সিসি বের করে প্রোফেসরের দিকে এগিয়ে দিল । আমি কাচের ভিতরে দেখার চেষ্টা করলাম । ভিতর কালচে জাতীয় কিছু রয়েছে । প্রোফেসর বলল
-কি এটা ?
-ঐ লোকটার রক্তের স্যাম্পল ।
প্রোফেসর এবার খুশি হয়ে উঠল ।
-ব্রেভো । কিভাবে জোগার করলে ?
-ঐ যে সকাল বেলা লোকটা যখন বেহুশ হয়ে ছিল ঐ লোকটা শরীরের কাটা ছেড়ার ছিল । বেশ কয়েক জায়গা থেকে রক্তও পড়ছিল । সেখান থেকেই নিয়েছি ।
-খুব ভাল কাজ করেছ ।
প্রোফেসরের ভিতর কেমন একটা তাড়াহুড়া দেখা গেল ।
-শোন তাহলে আজকের মত এখানেই সভা শেষ । আমি দেখি এই রক্তটা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে । তোমরা এখন আসো ।
প্রোফেসর আর দাড়ালো না ।
কাচের সিসিটা নি চলে গেল নিচে ।
প্রোফেসর চলে গেলেই আমার কথাটা মনে পড়ল । আরে এই আবাহাওয়া এতো মনোরম কেমন করে হলে জানা হল না তো !
আমরা বাইরে বের হয়ে এলাম । প্রোফেসর ল্যাবে ঢুকে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন আর আমাদেরও খুব একটা কাজ ছিল না এখানে । বসে থাকার কোন মানে নাই ।
আমরা তিনজনই স্পেশ গার্ডেনের নিচের লবিতে একটু দাড়ালাম ! বের হওয়ার আগে নাসির উল্লাহর হাতের লেবুর শরবত খেতে ভুল হল না ।
-আজ রাতে কি করবি ?
আমি ফারহানের দিকে তাকিয়ে বললাম
-কেন ? কি করার প্লান ?
-জাম্বী দেখতে যাবি ?
-জাম্বী ? আমি দেখবো ! আমি দেখবো !
তানিয়া তাবাসসুম এমন ভাবে চিৎকার করতে লাগলো যেন জাম্বী না চিড়িয়াখানায় বানর কিংবা হরিন দেখতে যাবে । অবশ্য আমার নিজের মনেও এমন একটা ইচ্ছা ছিল । সারা জীবন তো টিভিতেই জাম্বী দেখে গেলাম । এবার না হয় সরাসরিই দেখি ।
তাতা বলল
-প্রোফেসরকে জানানো দরকার ।
আমি বললাম
-আমার মনে হয় না উনি অনুমুতি দিবেন ।
তানিয়া বলল
-কেন ফারহানকে তো ঠিকই বলেছেন । আমাদের কে কেন দিবেন না ?
-ফারহানকে বলেছেন প্রয়োজনে । আর আমরা তো যাচ্ছি আনন্দ ভ্রমনে ।
বলা যায় যেচে পড়ে বিপদের ভিতর পা দিতে যাচ্ছি । যদি কোন ভাবে জাম্বীসদের হাতে পড়ে যাই তাহলে আর রক্ষা নাই ।
ফারহান বলল
-ঠিক তাই । যথেষ্ট বিপদের সম্ভাবনা ছিল বিধায় প্রোফেসর শান্তকেও বলে নাই ।
আমি বললাম
-আর আমি যতদুর জানি জাম্বীসদের শ্রবণ ক্ষমতা অত্যাধিক হয় ।
পিপড়া যেমন তিন কিলোমিটার দুর থেকে কোন কিছুর আওয়াজ শুনতে পারে জাম্বীসরাও তেমন । এজন্য বিপদের সম্ভাবনা বেশি !
-আচ্ছা তার মানে আমাকে তোমরা নিতে চাও না ।
ফারহান বলল
-আরে এই কথা আমি কখন বললাম ?
তানিয়া তাবাসসুম বলল
-দেখ ফারহান আমি ঘাস খাই না । আমি একটু বেশি কথা বলি বলে তো এমন না যে আমি চুপ করে থাকতে পারবো না ? আর তোমরা যদি আমাকে না নিতে চাও । ওকে ফাইন ।
আমি একাই যাবো । আজ রাতেই যাবো ।
তানিয়া তাবাসসুম রাগ করে চলে যাচ্ছিল । আমরা দুজন অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে ওনার রাজি করালাম । তানিয়া যে রকম মেয়ে ঠিকই একা একা হাজির হয়ে যেত জাম্বীসদের সামনে ।
ঠিক হল আমরা রাতে তানিয়া তাবাসসুমের বাসায় হাজির হব । তাতার বাসা থেকেই অমেরিকান এম্বাসিটা কাছে হবে । সেখান থেকেই আমার জাম্বীদেখার যাত্রা শুরু হবে !
রাত এগারোটার ভিতরই আমরা দুজনেই তানিয়ার বাসায় পৌছেগেলাম । আজ অনেকদিন পরে বাইক নিয়ে বের হয়েছি । মা তো আমাকে বাইক নিয়ে বেরই হতে দিতে চান না ।
কোথাও গেলে ফারহানের সাথেই যাওয়া হয় । আজকে রাতের বেলা বের হওয়া দেখে মা কিছু জিজ্ঞেস করতে যাচ্ছিলেন । প্রোফেসরের নাম বলতেই আর কিছু বললেন না ।
প্রোফেসর আশরাফি এখন দুনিয়া শুদ্ধ লোকে চেনে । তার সাথে সাথে আমার আর ফারহানের নামটাও টুকটাক চেনে ।
এই জন্য বাসা থেকে এই ব্যাপারে যথেষ্ট ছাড় পাওয়া যায় ।
রাতে হাসের মাংশ আর খিচুরী দিয়ে ডিনার সেরে নিলাম তাতার বাসায় । হাসের একটা রান খেতে ফারহান বলল
-এখন আমি এই হাসের রান খাচ্ছি । কি জানি একটু পরে বোধহয় কোন জাম্বী আমার রান খাবে ।
আমরা তিনজনেই হেসে উঠলাম ।
এম্বাসির উত্তর গেট প্রায় ৫০০ গজ দুরে আমরা একটা বেঞ্চের আড়ালে বসে আসি । বেঞ্চ দিয়েই মোটামুটি আমাদের সবার শরীর কাভার হয়ে গেছে ! আমাদের এখন কেবল অপেক্ষা করার পালা ! ঘড়িতে পকেটার কিছু বেশি বাজে ! আরো ঘন্টা খানের অপেক্ষা করতে হবে !
আমরা কেউ খুব বেশি কথা বলছি না !
আমাদের বাইক দুটো এখান থেকে আরো ১০০ গজ দুরে একটা ডাস্টবীনের আড়ালে লুকানো ! কোন রকম বিপদ দেখলেই আমরা চোখ কান বুঝে সেদিনে দৌড় দিব !
তানিয়া হঠাৎ বলল
-আর কতক্ষন ?
-ঠিক নাই ! ওরা কখন বের হয় ! সাধারনত দুইটার আশে পাশে ওরা বের হয় !
আমি ফারহানকে বললাম
-একটা ব্যাপার কি লক্ষ্য করেছিস ?
-কি ?
-আশে পাশে কিন্তু কোন সিকিউরিটি নাই ! আমি এর আগেও বেশ কয়েকবার এই এলাকায় এসেছি ! রাতের বেলাও রীতিম মত খোলা বন্দুক নিয়ে টহল দিত দেখেছি ! আর এখন একটা কাক পক্ষীও নাই !
-হুম ! এইটা আমি প্রথম দিন থেকেই দেখেছি ! প্রথম যেদিন এলাম ! আরো সামনে ছিলাম ! ঐ যে বড় গাছ টা দেখছি না ঐ খানে !
আমি আর তানিয়া দুজনেই বড় বট গাছটার দিকে তাকিয়ে দেখলাম ! ফারহান বলে চলল
-আমি ওখানেই ছিলাম ! সেদিন একটু সকাল সকালই চলে আসি ! তখনও কয়েকজন গার্ড ছিল ! একটার দিকে দেখি সব গুলো গার্ড ভিতরে চলে গেল ! একটু অবাক লেগেছিল ! তারপরই মনে কর ওরা বের হয়ে আসে !
ফরহান ওরা শব্দটাতে একটু বেশিই জোর দিল !
আমি আরো কিছু বলতে যাচ্ছিলাম তখনই তানিয়া তাবাসসুম আমাকে একটা খোচা মারলো !
-চুপ !
তারপর হাতে ইশারায় উত্তর দিকের গেটের দিকে ইশারা করলো ! আমরা দুজনেই সেদিকে তাকালাম । একটু নড়াচড়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে ! দুই মিনিট কোন কথা বের হল না কারো মুখ থেকে । আমরা তিন জনই নিঃশ্বাস বন্ধ করে অপেক্ষা করতে লাগলাম !
একটু পরেই একজজন কে দেখতে পেলাম আমরা ! আমাদের কাছে নাইট ভিশন দুরবিন ছিল ! তানিয়া আগে থেকেই সেটা দখল করে নিয়েছে ! চোখ লাগিয়ে দেখতে লাগলো ! আমি খালি চোখে দেখতে লাগলাম ! কুকুর যেমন রেগে গেলে একটু ঘড় ঘড় আওয়াজ করে তেমন একটা আওয়াজ ভেসে আসছে ! মনে হচ্ছে ঐ প্রানী গুলোই আওয়াজ গুলো করছে !
আস্তে আস্তে আরো এগারোটা জাম্বী বের হল ! সব গুলোই কেমন উভ্রান্তের মত এদিক ওদিক হাটা হাটি করছে ! আমি তানিয়ার কাছ থেকে দুরবিনটা নিয়ে নিলাম ! চোখ লাগিয়ে যা দেখলাম তার জন্য মোটেই প্রস্তত ছিলাম না ! খালি চোখে খুব এটা পরিস্কার বোঝাও যাচ্ছিল না !
দুরবিন লাগিয়ে পরিস্কার দেখা যাচ্ছিল !
প্রত্যেকটা জাম্বীর চোখ গুলো স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুন বড় ! এবং সেখান থেকে লাল রক্ত জাতীয় কিছু পড়ছে । মুখ আর নাক কোন টাই ঠিক মত নাই ! সারা মুখমন্ডল বেয়ে কেবল কেমন একটা বিজবিজে রক্ত কিংবা তরল জাতীয় কিছু বেড়িয়ে আসছে ! আমি আর দেখতে পারলাম না !
বমি বমি আসতে লাগলো ! আমি দুরবিন নামিয়ে রাখতেই দেখি তানিয়া আবাসসুম হাত দিয়ে নিজের মুখ আটকে রেখেছে ভমি আটকানোর চেষ্টা করছে !
কিন্তু শেষ রক্ষা হল না ! হরবর করে বমি করে দিল !
বমি করে দিক সমস্যা নাই ! কিন্তু আওয়াজ যাতে না হয় সেটা চাচ্ছিলাম ।
কিন্তু যা হওয়ার হয়ে গেছে ।
ওয়াক ওয়াক আওয়াজ শুনে ফেলেছে ওরা ! কয়েক মূহুর্ত কেউ কোন কথা বলল না ! তারপরই ফারহান চিৎকার করে উঠল !
-শান্ত ভাগ ! ! জলদি দৌড়া !
আমি তানিয়া আবাসসুমের হাত ধরে হেচকা টান দিলাম ! তারপর আর কিছু দেখা দেখি নাই ! দুজনেই দৌড়াতে শুরু করলাম বাইকের দিকে !
পিছনে একবার তাকিয়ে দেখি সব গুলো জাম্বী অদ্ভুদ গতিতে এগিয়ে আসছে !
কুকুর যেমন খোড়া পায়ে দৌড়ায় ! ঠিক তেমননি ভাবে !
লাফাতে লাফাতে আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে ! আমি আর পেছনে তাকানোর সুযোগ পেলাম না ! বললে ভাল হয় আর সাহস পেলাম না !
কিন্তু আমাদের বাইক কই ?
আরে ফারহান কই ?
আমি তাকিয়ে দেখি আমাদের পাশে ফারহান নাই !
আর আমাদের বাইক কই ? যেভাবে আমরা দৌড়েছি তাতে তো এতোক্ষনে বাইকের কাছে পৌছে যাবার কথা !
তাহলে কি পথ ভুল করলমা !
আমি আর কিছু ভাবতে পারছি না ! তাতা এরই ভিতর হাপিয়ে গেছে !! ওকে নিয়ে জোরে দৌড়াতে পারছে না ! আর পিছনের জাম্বী আর আমাদের দুরত্ব ক্রমেই কমে আসছে !
এ কি তাহলে শেষ ?
একটু আগে হাসের রান খেয়েছিলাম এখন জাম্বী গুলো কি আমাদের রান খাবে !
এই সবই ভাবছি হঠাৎ হোচট খেলাম ! বেশ ভাল ভাবেই ! তাতাকে দেখলাম আরো তিন হাত দুরে গিয়ে পড়তে ! আমি আর বল পেলাম না ! কারন আর মাত্র কয়েক গজের ভিতরেই একটা জাম্বী পৌছে গেছে !
মৃত নিশ্চিত ! আমার তখনই মনে হল আমি মরি অন্তত তাতাকে পালিয়ে যাবার সুযগ দিতে হবে ! যতটুকু পরি জাম্বীদের কে আটকে রাখতে হবে ! আমি মনে মনে প্রস্তুতি নিয়ে নিলাম !
চিৎকার করে তানিয়া তাবাসসুমের উদ্দেশ্যে বললাম
-আপনি থামবেন না ! দৌড় দেন ! একটুও থামবেন না !
আমি আর একবার তাতার দিকে তাকালাম ! নিয়ন আলোতে তাতার মুখে ফুটে উঠেছে একরাশ বিশ্ময় !
-যান ! দৌড়ান !
আর মাত্র কয়েক গজ । কয়েক সেকেন্ড ! সাত ! ছয় ! পাঁচ ! চার !
ঠিক তখনই একটা অবাক করা ঘটনা ঘটলো ! দেখলাম চারিদিকে ফকফকে আলো হয়ে গেল ! যেন আলোর বন্যা বয়ে চলেছে ! এতো আলো দেখে জাম্বী গুলো মুহুর্তের ভিতর কেমন একটু ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল !
কি করবে যেন ঠিক মত বুঝতে না !
আমার জন্য ঠিক এই সুযোগ টি দরকার ছিল ! আমি আবার পিছন ফিরে দৌড় দিলাম তানিয়া দিকে ! আমরা দুজন আর একটু এগিয়েছি দেখি দুটি ছায়া মুর্তি আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে !
আমরা অন্যদিকে যাবো কিনা ভাবছি ঠিক তখনই ছায়া মুর্তি দুটো আমাদের কাছে পরিস্কার হয়ে উঠল !
প্রোফেসর আশরাফি !
জীবনে প্রোফেসর কে দেখে এতো খুশি আর কোন দিন নি ! প্রোফেসর খানিকটা গম্ভীর মুখে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন !
প্রোফেসরের পাশেই ব্রিগেডিয়ার এমদাদ !
প্রোফেসর আমাদের দিকে তাকিয়ে বলল
-তোমাদের এরকম মূর্খমীকে কে করতে বলেছে ! এট লিষ্ট আমাকে জানিয়ে আসবে তো !
প্রোফেসর আরো কিছু বলতে যাচ্ছিল কিন্তু তানিয়া তাবাসসুম দেখলাম এগিয়ে গেল !
-স্যার ওদের কোন দোষ নাই ! আমিই ইনসিষ্ট করেছিলাম !
প্রোফেসর বলল
-তা তো আমি জানি ! যদি শান্তর মা নাসিরউল্লাহকে ফোন না করতো তাহলে আমি তো জানতেই পারতাম না ! তাহলে আজকে গেছিলা !
ব্রিগেডিয়ার এমদাদ বলল
-প্রোসফেসর ওগুলো কি করবেন ?
আমরা সবাই আবার ঘুরে তাকালমা ! প্রচন্ড আলোর মাঝে এগারোটা জাম্বী ইতস্তঃ ঘোরাঘুরি করছে !
প্রফেসর বলল
-এদের কে খোলা রাখা বিপদজনক ! আমি কাজ করছি ! কালকের ভিতর কিছু একটা হয়ে যাবে ! আপাতত এদের প্রিজন ভ্যানে আটকে রাখেন ! আর আলোর ব্যাবস্থা করে রাইখেন ! এরা আলো দেখলেই একেবারে শান্ত হয়ে যায় !
এরই ভিতর ফারহান এসে হাজির ! দেখলাম কিছু আর্মীর লোক জাম্বী গুলো ঠেলে একটা প্রিজন ভ্যানে তুলল ! আমাদের আরো একটু থাকা ইচ্ছা ছিল ! কিন্তু প্রোফেসর আমাদের নিয়ে এলেন বাইকের কাছে ! বাইক নিয়েই রওনা দিলাম ! তাতার মুখটা তখনও এই টুকু হয়ে আছে !
একসপ্তাহ পরে ! বিকেল বেলা ! আমরা সবাই স্পেস গার্ডেনের ছাদের ! বাইরে প্রচন্ড গরম থাকলেও এখাকার তাপমাত্রা একেবারে স্বাভাবিক ! নাসিরউল্লাহ তার বিখ্যাত পাকুড়া বানিয়ে আমাদের সামনে রেখে গেছে ! এই কয়দিন সাহস করে এদিকে আসিই নাই ! । কি জানি প্রোফেসর আবার কি বকা দেয় !
আজকে প্রোফেসর নিজেই যখন আসতে বলল তখন আর সময় নষ্ট না করেই চলে এসেছি !
সেদিনের কথাই হচ্ছিল !
হঠাৎ ফারহান বলল
-আমি দৌড়াচ্ছিলাম আমাদের রাখা বাইকের দিকে কিন্তু দেখলাম তানিয়া আর শান্তা বা দিকে দৌড়াচ্ছে ! কয়েকবার ডাক দিলাম কিন্তু শুনলো না !
তাতা বলল
-আসলে ঐ গুলো আসতে দেখে এমন ভয় পেয়ে গেছিলাম যে কোন দিকে যাচ্ছি হুস ছিল না !
-হুম !
-তবে শান্ত না থাকলে আজকে তো গেছিলাম !
প্রোফেসর চুপই ছিল ! আমি প্রোফেসর কে জিজ্ঞেস করলাম
-কিছু জানতে পারলেন নাকি ?
কিছুক্ষন চোখ বন্ধ করে রেখে প্রোফেসর বলল
-হুম ! অনেক কিছু !
-কি ?
-একটু টপ সিক্রেট ! দেশের নিরপত্তার বিষয় !
-আহা বলেন না একটু ! আমরা সবাই আবদার করে বসলাম !
-আচ্ছা শোন তাহলে ! আসলে ঐ জাম্বীস গুলো আসল জাম্বী ছিল না ! কেবল কৃত্রিম ভাবে বানানো হয়েছিল ! একটা বিশেষ উদ্দেশ্যের জন্য !
-কি উদ্দেশ্য !
-তোমরা তো সবাই জানো একটা চুক্তি হতে যাচ্ছে আমাদের সাথে আমেরিকার ! আমাদের দেশর ভিতরেই অনেকে এরই চুক্তিটার বিরোধিতা করছে । যারা বিরোধীতা করছে তাদের কে সরিয়ে দেওয়ার জন্যই এই জাম্বীদের মাঠে নামানো !
-মানে কি ?
আমরা কিছুক্ষন কোন কথা বলতে পারলাম না !
প্রোফেসর আবার বলল
-প্রতিদিন রাতে জাম্বী গুলো ছেড়ে দেওয়া হত ।
এগুলো ছিল ওদের ট্রেনিং পিরিয়ড ! দেখছিল যে ওরা ঠিক ঠাক মত কাজ করে নাকি ! কয়েকদিনের ভিতরেই ওরা একশানে যেত !
-হুম ! এতো কিছু ! কেবল একটা চুক্তির জন্য !
-এখন ?
-ওদের কি কোন বিচার হবে না !
প্রোফেসর একটু বিমর্শ হয়ে গেলেন !
-নাহ ! কোন পরিমান নাই যে এগুলো ওরাই ছেড়েছে । লোক গুলো সব বাংলাদেশী ! আর দিনের বেলা ওরা একেবারে স্বাভাবিক হয়ে যায় ! অবশ্য লোক গুলো সব মানষিক ভাবে বিকার গ্রস্ত ! এই জন্য কোন একশান নেওয়া যাই নি ! অবশ্য একটা প্রতিশোধক তৈরি করেছি ! দেখা যাক কি হয় ! তবে ওদের কে সাবধান করে দেওয়া হয়েছে আর এম্বাসীর উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে !
তানিয়া তাবাসসুম বলল
-যাক ভাল ! আমি আর ওদের দেখতে চাই না ! ইয়াক !
আমি হাসতে হাসতে বললাম
-এখন ইয়াক ! তখন তো খুব দেখতে চেয়েছিলেন !
-আর জীবনেও দেখতে চাইবো না !
ফারহান বলল
-তা আর চাইবেন কেন ? যদি আপনার রান চিবিয়ে খেতে আসে তখন কি ভাল লাগবে !!
আমি আরও কিছু বলতে যাচ্ছিলাম এরই ভিতর নসিরউল্লাহ আরও এক বাটি পাকুড়া নিয়া হাজির হল !
আমরা কথা বাদ দিয়ে পাকুড়ার উপরে ঝাপিয়ে পড়লাম !
আমার কথাঃ
প্রোফেসর আশরাফি !! এই চরিত্রটা ইমন ভাইয়ের একটা অনবদ্য সৃষ্টি ! প্রোফেসর আশরাফির নাম আসলেই সেখানে ইমন জুবায়ের নাম আসবে ! মানুষ তাকে মনে করবে ! এই জন্য আমার আজকের এই লেখা !
দয়া করে ইমন ভাইয়ের লেখার সাথে এই টাকে তুলনা করবেন না কারন তার মত করে লেখা সম্ভব না কিছুতেই ! সেই ক্ষমতা আমার নাই !
আমি কেবল এইটা লেখার চেষ্টা করেছি, এই কথা মনে করে যে এই লেখাটা পড়বে একবার হলেও তার মনে হবে যে আমাদের ব্লগে ইমন জুবায়ের নামে একজন গুনি মানুষ ছিল ! ছিল বলছি কেন আছে ! থাকবে !!
সময়ের সাথে সাথে হয়তো ইমন ভাইকে সবাই ভুলে যাবে ! ভুলে যাওয়াটাই স্বাভাবিক ! আগে যারা প্রতিদিন একবার করে হলেও ইমন ভাইয়ের ব্লগে যেতেন এখন কি যান ? জানি না যান কিনা ? যতই দিন যাবে ততই যাওয়াই কমে যাবে ! কিন্তু আমি যতদিন আছি ততদিন তো ভুলে যেতে দিবো না । অন্তত যারা আমার লেখা পড়ে তারা তো জানবে !
প্রোফেসর আশরাফি সিরিজের আমার লেখা আর একটি গল্প
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।