ভাল ষ্টুডেন্ট হতে চাই । সাহায্য করুন । উৎসর্গ
আজকের বিঙ্গানকে
কিছু কথা-
প্রকৃতি রহস্য পছন্দ করে । কিন্তু মানুষ তা ভেদ করে। কিন্তু কিছু কিছু রহস্য থাকে যা মানুষ ভেদ করতে পারে না ।
রহস্যের সমাধান প্রকৃতির কাছেই থাকে। একটু সহজভাবে তাকালেই সেই রহস্য ভেদ করা যাবে । কিন্তু মানুষ যন্ত্রের মাধ্যমে প্রকৃতির রহস্যকে বিশ্লেষণ করতে চায় । মানুষ লজিক খোজে হন্যতন্য ভাবে সব জায়গায়। কিন্তু নিজের সামনে দেখতে ভুলে যায় ।
কিন্তু লজিক তো তাদের সামনেই আছে । প্রকৃতি মানুষকে বলছে “চোখ খোলো , রহস্যের সমাধান তোমরা সামনে , তাকালেই পাবে ” । কিন্তু মানুষ প্রকৃতির ভাষা বুঝতে পারছে না। মানুষ নিজেকে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণী বলে দাবী করে । কিন্তু প্রকৃতি হয়তো মানুষের চেয়েও উন্নত প্রাণী আবিস্কার করেছে ।
আর তারাই এক দিন পৃথিবী জয় করবে। প্রকৃতি মানব সৃষ্টি করেছে হয়তো প্রকৃতিই মানব বিনাশ করবে। শুরু হবে নতুন কোন পৃথিবী। যে পৃথিবীতে আমিও থাকব না আপনিও থাকবেন না।
-০-
-অর্ণব প্রতীম রায়
গুপ্তপাড়া , রংপুর
পৃথিবীর বাইরের ভিনগ্রহি প্রাণী বা ইউ এফ ও (টঋঙ – টহরফবঃরভরবফ ভষুরহম ড়নলবপঃ) নিয়ে মানুষের অদম্য কৌতুহলের শেষ নেই।
এই বিশাল শূন্য মহাকাশের ক্ষুদ্র জগতের ক্ষুদ্র বাসিন্দা আমরা । কিন্তু পৃথিবী ছাড়াও কি অন্য গ্রহে প্রাণ আছে ? যদি কোন প্রাণের অস্তিত্ব থেকে থাকে তবে নিশ্চয় পৃথিবীর বাসিন্দারা তা হয়তো কোনদিন খুজে বের করতে পারবে। পৃথিবীর বাইরে যাওয়ার জন্য রকেট ও আধুনিক স্পেসশীপ তৈরী হয়েছে।
এবার আপনি একটি কাজ করুন কোন ফ্যান এর পাখাকে পর্যবেক্ষন করুন । বোঝার চেষ্টা করুন এক মিলিসেকেন্ড এ কি ঘটছে অর্থাৎ এক সেকেন্ড এর একশো ভাগের এক ভাগ সময়ে কি ঘটছে।
কিংবা গতিপূর্ণ অবস্থায় একটি ফ্যানের পাখাকে দেখার চেষ্টা করুন পাখাটি যেন অদৃশ্য হয়ে গেছে । এক মিলিসেকেন্ডে কোন চলমান বস্তুকে পর্যবেক্ষন করুন । আপনি নিশ্চয় কিছুই বুঝতে পারছেন না । তবে এটা বোঝা সম্ভব বিঙ্গানের অসাধারণ আবিস্কার স্লো মিশন কামেরার মাধ্যমে।
আপনাকে যদি বলা হয় একটি উড়োজাহাজ ঘন্টায় এক হাজার কিলোমিটার গতিতে যেতে পারে , আপনি অনায়সে বলবেন যে অবশ্যই পারে।
একটু পরিস্কার ভাবে বলি আপনাকে আবার বলা হল একটি উড়োজাহাজ কি সেকেন্ডে একহাজার কিলো মিটার গতিতে যেতে পারে অথবা বলা হল উড়োজাহাজটি কি এক মিলিসেকেন্ড এ একশো কিলো মিটার যেতে পারে। আপনি নিশ্চয়ই একটু হলেও থেমে যাবেন । যদি সেকেন্ডে একহাজার কিলোমিটার কোন যানের গতিবেগ হয় তবে আপনার সামনে দিয়ে ওরকম একটি যান চলে গেলেও আপনি কোন কিছুই বুঝতে পারবেন না। কারণ মানুষ স্বাভাবিক অবস্থায় কখনই একমিলিসেকেন্ড উপলব্ধি করতে পারে না। যাই হোক এসব কথা বাদ দেই ।
কিন্তু ইউ এফ ও এর রহস্য জানতে হলে এ বিষয়টিই ভালভাবে জানতে হবে । হতে পরে এটিই সেই হঠাৎ দেখা দেয়া ইউ এফ ও বা এলিযেন এর আসল রহস্য কিংবা পুরোটাই ভুল ধারনা ।
পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব ১৪,৯৫৯৭,৮৯৩ মাইল । কিন্তু সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো পৈাছতে সময় লাগে ৮ সেকেন্ড এর কিছু বেশী সময় । নিজেই ভাবুন আলোর গতিবেগ কত ?
ধরুন আপনি সেকেন্ডে এক কিলোমিটার গতিবেগের কোন যানে যাচ্ছেন কিংবা ধরুন ৫ কিলোমিটার একটি গাড়ির রেসে অংশগ্রহন করছেন ।
রেফারী বাশি বাজাল । কিন্তু আপনি এই কয়েক সেকেন্ড সময়েই নিদিষ্ট গন্তব্যে চলে গেছেন । আশ্চর্য হচ্ছেন । এটা কোন ম্যাজিক নয় এটাই বিঙ্গানের সাফল্য।
ইউ এফ ও এর উপস্থিতি ধরার জন্য বর্তমানে মহাকাশে স্যাটেল লাইট কামেরা বসানো হচ্ছে ।
কিংবা বসানো হচ্ছে রাডার। বিভিন্ন্ সময়ে বিভিন্ন জায়গার মানুষ দেখতে পেয়েছে এই স্পেসশীপ বা ইউ এফ ও। অনেকে নাকি সরাসরী দেখেছে এই স্পেসশীপ যাত্রীদের। সেসব যাত্রীরা কখনও অতিকায় আবার কখনও ছোট বামনের মত।
আবার অনেকে গোল আকৃতির এক রকমের যান দেখেছে যা কিছুক্ষন দেখা দিয়ে আবার চোখের পলকে নীল আকাশে মিলিয়ে যায়।
সম্মোহনবিদ্যা বা আধুনিক যন্ত্রপাতি ( খরব ফবঃবপঃড়ৎ ভড়ৎ ঃবংঃং) বলে যে তারা মিথ্যা কথা বলছে না । এ নিয়ে কত কাহিনী তা আমি বুঝাতে পারব না । শুধু কি তাই এ নিয়ে কত ফ্লিম , মুভি , বই বের হয়েছে তার কোনো হিসাব নেই। বিঙ্গানীরা খাওয়া দাওয়া ছেড়ে এ বিষয়ে ব্যস্ত । নানা সুত্র প্রমাণ করে কিছুক্ষনের জন্য দেখা দেওয়া যানটি হয়তো সত্যি।
কিন্তু প্রাণীটির বা যানটির সঠিক আকৃতি বা এর বৈশিষ্ট্য বলা অসম্ভব ব্যাপার। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে এর গতিবেগ । হয়তো পৃথিবীর কোন বিঙ্গানীই আবিস্কার করেছেন এই অসাধারণ যানটি। সঙ্গে আবিস্কার করেেেছন এর অসাধারণ গতিবেগ। হয়তো কোন কারণে এই অসাধারণ আবিস্কার গোপন রেখেছেন।
কিংবা উত্তেজনা সৃষ্টি করছেন তিনি বা তারা। আর এলিয়েন বা সেই প্রাণীটি তিনি বা তাদের আবিস্কার, হয়তো সেই প্রাণীটি একটি রবোট। কিংবা এই যানের যাত্রীরা এই বিঙ্গানীর রবোট কিংবা পৃথিবীরই কোন প্রাণী। কোন দিনই কি পৃথিবীর এই ক্ষুদ্র বাসিন্দারা এর রহস্য ভেদ করতে পারবে না ! কোনটা সত্য ? কোনটা মিথ্যা?
আবার এটাও হতে পারে যানটির মালিক অন্য গ্রহের প্রাণী । সত্যিই এলিয়েন আছে।
ইউ এফ ও বা এলিয়েন হয় প্রকৃতির সৃষ্টি কিংবা পৃথিবীর কোন বিঙ্গানীর সৃষ্টি। এটা হয় পৃথিবীর বিঙ্গানীর সৃষ্টি কিংবা মহাকাশের কোন প্রাণীর সৃষ্টি। যদি ধরে নেওয়া যায় এরা মহাকাশের কোন গ্রহের প্রাণী এবং এরা যদি যস্ত্রকৈাশলে উন্নত কিন্তু তারা মানুষের সামনে আসে না কেন ?এরা কি মানুষকে ভয় পায় ? প্রতিসময়ই দেখা যায় এরা মানুষকে ভয় পেয়ে মহকাশে চলে যায়। আর যদি ধরা হয় এটা পৃথিবীর মানুষের সৃষ্টি তবে এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে সেই মানুষটির সঙ্গে মহাকাশের যোগাযোগ আছে খুব ভালভাবেই। কারণ তথ্য অনুযায়ী এযানটি সবসময় মহাকাশেই চলে যায়।
ইউ এফ ও বা এলিয়েন যাই হোক না কেন এটা বুঝা যায় যে স্পেসশীপ চালকদের প্রতিটা মিলিসেকেন্ড বুঝার ক্ষমতা আছে। হয়তো আমাদের কাছে এক মিনিট সময় যেটুকু সময় তাদের কাছে এক সেকেন্ড সময় সেটুকু সময় । কেননা এ ছাড়া তাদের পক্ষে এ যানটি নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব নয়। কিংবা এটিও হতে পারে যানটি অটো পাইলোট সিষ্টেম।
পৃথিবীর বিঙ্গানীরা যেমন মহাকাশে প্রাণের সন্ধান করছে তেমনি হয়তো সে গ্রহের প্রাণীরাও মহাকাশে প্রাণ খুজছে ।
এভাবেই হয়তো পৃথিবীর বাইরে প্রাণীর সঙ্গে মানুষের প্রথম দেখা হবে।
পরিশেষে বলা যায় যে এলিয়েন মহাবিস্ময়।
-০-
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।