ঘরেও নহে পারেও নহে,যে জন আছে মাঝখানে............... মনের ভয় সবসময় আমার এতো কঠিন ছিল না। ঘোলা খালের ওপারে তালপাতায়
বাবুইয়ের বাসা দুলত, কেবল দুলত। ভয় ছিল ভিন্ন। বরইপাতায়,
ডালের কাঁটায়, বেলুন-বোঁটায় বাতাস এলে, বাদামের খেতে
বালু আর রোদ, মাঝখানে পড়ে কলমির ফুলগুলো ইশারায় হাসত।
তখনো কিন্তু এই মন আমার এমনই মন ছিল।
চোখ খুললে ঘুম পালাত।
খিদায় ভরা ভাত পেলে বেঁচে যেতাম। শীতের লেপ তখনও গরমকালে
বাঁধা পড়ত। জলের দানোর স্বপন ছিল। চোখ বুজলে আর ছিল দীঘির
জলে পদ্ম-কলি।
অন্য কারও হাড়-চামড়ার অন্যহাত, আর কোন রক্তের তাপ
পেলে এখন যেমন লাগে; শরীর বললে এখন যেমন গোপন করার
ভার । স্নানের জলে তখনও গা ভিজত। মেঘছাড়া আসমান তখনকার রাতেও এমন আসমানি ছিল।
এখন জোছনায় বাহির হলে ঝাপসা লাগে, ঘরের আলোয় ঘুমালে কোন স্বপন দেখি না। বুকে
কোন লোম যেদিন ছিল না, স্বপ্ন, পশু আর অন্ধকার হারালেই ভয় ফুরাত।
বুকের অধিকাংশ বুক, পায়ের গাঢ় লোমের কূপ ঢাকা পড়ে আছে। তাই
উত্তরের বায়ু, দক্ষিণাহাওয়া, পুবাল পবন, পশ্চিমের ঝড়কে এখন
ভয়ে ভয়ে প্রায়ই গুলিয়ে ফেলি!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।