পাগলা শান্তু ভেবেছিলাম আর কোনদিনও রাজনীতির সাথে জড়িত কোন স্ট্যাটাস দিবনা। তারপরও বিবেকের তাড়নায় দিয়ে ফেললাম। গতকালের একটা ঘটনা ( চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ঘটেছে ) আমাকে অনেকটাই আতঙ্কিত করেছে। বিভিন্ন আওয়ামীলীগ সমর্থক ফেবু পেইজের দেয়া তথ্য অনুযায়ী – “চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ভুজপুরে গতকাল জামাত-শিবির-হেফাজত শিবিরের আহুত হরতালের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের মিছিলে হামলা করে। শিবির আহুত হরতালের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা এটিএম পেয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে ফটিকছড়িতে মিছিল বের করে স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
মিছিলটি বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উত্তর ফটিকছড়ির ভুজপুর থানার কাজিরহাট এলাকায় গিয়ে সমাবেশ করে। সমাবেশ চলাকালে কাজীরহাট এলাকায় হেফাজত নিয়ন্ত্রিত একটি মাদ্রাসা থেকে স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মাদ্রাসা ও মসজিদে হামলা চালাতে এসেছে। এ ঘোষণা শুনে গ্রামের লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়ে। হেফাজতের নেতাকর্মীরা এ সময় বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়ে এবং গ্রামের লোকজনকে নিয়ে ওই সমাবেশে হামলা চালায় এবং শতাধিক মোটর সাইকেল, চারটি মিনি ট্রাক, তিনটি প্রাইভেট কার, একটি মাইক্রোবাস, ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ সূত্রানুযায়ী, কমপক্ষে ৮ জন এ ঘটনায় মারা গিয়েছে।
তবে, বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবরে জানা যায় কমপক্ষে আরও ৩০ জনের লাশ পরেছে সেখানে। স্থানীয় গ্রামবাসী এ লাশ গুম করে ফেলার চেষ্টা করছে। ” আর বি এন পি , জামায়াতে ইসলামি আর হেফাযতে ইসলামের সমর্থক ফেবু পেইজগুলর ভাষ্য –“ বাংলা সিনেমা স্টাইলে রংবাজি করতে গেসিলো।
১৫০ হোন্ডা , ৩ টা ট্রাক , ১০টা মাইক্রোবাস , সংগে ছিলো পুলিশ চামচা।
এক্কেবারে পারফেক্ট বাংলা সিনেমার ধোলাই দেয়া হইসে গুন্ডার দলকে !
মাইর বাবা জিন্দাবাদ !
একটা মারও মাটিতে পড়বেনারে এবার , একটা মারও মাটিতে পড়বেনা !
তদন্ত এবং গ্রেফতারের নামের আবার আয় !
৮ টা কনফার্ম ডাঊন , আরো ২০ টা নিখোঁজ , ২০০ + শোয়ানো আছে সিএমসিতে।
১৫০ হোন্ডা , ৩ ট্রাক , ১০ মাইক্রোবাস - সব ছাই।
খালি হাতে যদি সবাই মিলে এই ধোলাই দিতে পারে তাহলে চিন্তা করেন ওদের আগ্নেয়াস্ত্রের বিপক্ষে আগ্নেয়াস্ত্র চালালে কি হবে।
মাতারির গুন্ডা বাহিনী - পুলিশ প্রোটেকশন ছাড়া খালি হাতে আয় !
বাপের জন্মে পাওয়া জান আর ফেরত পাবিনা শুয়োরের বাচ্চারা !” আমি অবাক, স্তম্ভিত। এতবড় নৃশংসতার আবার কেউ কেউ সাফাই গেয়েছে রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাইদির যখন বিচারের রায় ঘোষণা হলো, তখন তার বিপক্ষে বিক্ষোভ ও অরাজকতা সৃষ্টিকারীদের মধ্যে যারা পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলো তাদের সাথে তুলনা করে!আমি আওয়ামীলীগ করিনা, তবুও কিছু কথা আমার আওয়ামীলীগ সমর্থক বন্ধু-বড়ভাইদের বলতে চাই। আরও বলতে চাই মিথ্যে নিরপেক্ষতার দাবী তোলা গনজাগরন মঞ্চের বন্ধুদের- দেশের একটা বিশাল বিশাল এবং গুরুত্বপূর্ণ (যারা শহরে না, গ্রামগঞ্জে থাকে) জনগোষ্ঠী কিন্তু সরকারের উপর অরাজনৈতিক কারন ছাড়াই যথেষ্ট বিরক্ত, ক্ষুব্ধ।
সরকার স্বীকার করুক আর না করুক, দুর্নীতি এবং দুর্নীতির প্রশ্রয় কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে যথেষ্টই হয়েছে। জনগন এর ভুক্তভুগি। আর বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কট কৃত্রিমভাবে বি এন পি , জামায়াতে ইসলামি ও আওয়ামীলীগের সৃষ্টি। বি এন পির প্রতি বি এন পি ছাড়া খুব একটা ভরসা করা যাচ্ছেনা। দলটির কাঠামো অনেক বিশাল হলেও একদমই শক্তিশালী নয়।
রাজাকারদের ভরসাস্থল জামায়াতে ইসলামি প্রায় গ্রাস করে ফেলেছে বি এন পি কে। ক্ষমতায় আসলে বাধ্য হয়েই হয়তো একগাদা মন্ত্রিত্ব দিতে হবে তাদের জামায়াতকে। আবারো বাংলাদেশের সরকারি পতাকা লাগানো সরকারি গাড়িতে করে রাজাকাররা ঘুরে বেরাবে এটা মেনে নেয়া যাবেনা, সহ্য করা যাবেনা। আর এখুনি যে জিঘাংসা দেখছি জামায়াতের আওয়ামিলিগ,সাংবাদিক,ডাক্তার,পুলিশ বিভিন্ন পেশা ও তাদের কুকর্মের ও ভণ্ডামির বিরোধী সচেতন মানুষদের বিরুদ্ধে তাতে ক্ষমতা পাওয়ার পর তারা যে কি করবে তা ভাবতেও ভয় লাগছে। জামায়াতের নতুন চাল হেফাজতে ইসলাম।
তারা কিন্তু গ্রামগঞ্জের ধর্মপ্রাণ মুসলমান সাধারন জনগণকে মিথ্যে বলে তাদেরকে ব্যাবহার করে নিজেদের উদ্দেশ্যপুরন করছে। এইখানেই আমার কথা- এই মানুষগুলোকে ব্যাবহার করতে দেয়া যাবেনা, তাদেরকে সত্যি জানাতে হবে, জামায়াতের ভণ্ডামির মুখোশ খুলে দিতে হবে,নাস্তিক-আস্তিক আর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে খালি ফেবুতে গরম পোস্ট দিলে মাত্র ৫% জনগন জানবে,বাকিরা জামায়াত আর হেফাজতের প্রতারনার স্বীকার হয়ে এমন নৃশংসতায় শামিল হবে। এই জন্যে ঢাকায় বসে ডিমে তা না দিয়ে বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ছরিয়ে পড়তে হবে। গনজাগরন মঞ্চের কর্মী সমর্থকরা অধিকাংশই শিক্ষিত, তারা এই সত্য উন্মোচনের কাজ ও দায়িত্ব সাফল্যের সাথে করতে পারবেন বলেই আমার বিশ্বাস। আর নিরাপত্তা ও এলাকাভিত্তিক কাজের জন্যে ছাত্রলীগের সাথে মিলে একসাথে কাজ করতে হবে।
একটা জিনিস সুশীল সমাজকেও বুঝতে হবে, বি এন পি একা আসলে সমস্যা নাই, কিন্তু দেশের ক্ষমতায় যদি বি এন পির সাথে জামায়াতও আসে তাইলে কিন্তু কোটি কোটি মানুষের রক্ষা নাই। জামায়াত কি জিনিস তা কি আপনারা ১৯৭১এ টের পান নাই?!!! বি এন পি ও আওয়ামীলীগ দুদলই যা করছে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্যে করছে, কোন মৌলিক পার্থক্য তাদের কর্মকাণ্ড কিংবা চিন্তা-ভাবনায় নাই। কিন্তু জেনেশুনে জামায়াতকে আর ক্ষমতায় আসতে দেয়া উচিত হবেনা। দরকার হলে বি এন পি-আওয়ামীলীগ কোয়ালিশন সরকার হোক!!!!!!(যদিও তা কখনই সম্ভব না )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।