আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

''মুসলমানরা কিভাবে আওয়ামীলীগ করে!,,

ডিসকভার কক্সবাজার,ডিসকভার বাংলাদেশ।

মাঈনুদ্দিন খালেদ,নাইক্ষ্যংছড়ি , ২৫ আক্টোবর ২০১০ইং। মুসলমানরা কিভাবে আওয়ামী লীগ করে! কিছুই বুঝি না। লীগ মানে ছিদ্র। ছিদ্র দিয়ে বাতাস যায়।

তাই এখন বাতাস যাচ্ছে। আজ দেশে লীগের সংখ্যা বেড়েছে। আওয়ামী লীগ- ছাত্রলীগরা দেশ গিলে খাচ্ছে। আলেম ওলামাদের অনেকে না কি ওলামালীগার। কি লজ্জাস্কর! এভাবে অনর্গল আওয়ামী লীগ তথা সরকারের সহযোগী সংগঠনের কয়েকটির নাম উলে খ্য করে বক্তব্য রাখেন- ইসলামী ফাউন্ডেশনের বান্দরবান জেলার সহকারী পরিচালক গোলাম রহমান আনছারী।

গতকাল ২৫ আক্টোবর সোমবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের বাইশারী বাজার জামে মসজিদে ফাউন্ডেশনের উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষকদের এক সভায় বক্তব্য দানে এসব কথা বলেন তিনি। সভায় তিনি আরো বলেন- স্বাধীনতা মানে মনে যা চায় তা করা বা বলা। ধর্ম-নিরপেক্ষতা শয়তানি মতবাদ। যারা ধর্ম-নিরপক্ষতা মতবাদকে সমর্থন করে। তারা কি মুসলমান হতে পারে ? এদের কি ইমান থাকবে ? ইমান মোটেও থাকবে না।

তিনি উপস্থিত শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতাদান কালে শিক্ষকদের মাঝে কানা ঘুষা শুরু হলে তিনি তাদের প্রশ্ন করে জানতে পারেন সমাবেশে ওলামালীগের কয়েকজন সদস্য উপস্থিত আছেন। এর পর পর তিনি তার বক্তব্য শেষ করে দ্রুত বাইশারী ত্যাগ করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ফাউন্ডেশনের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সুপার ভাইজার রুহুল করিম, স্থানীয় আলেম মৌলানা আব্দুর রহিম প্রমুখ। এ বিষয়ে সুপার ভাইজার মৌলানা রুহুল করিম এ প্রতিবেদকের কাছে বক্তব্যের কথা স্বীকার করে বলেন- তার এডি (গোলাম রহমান আনছারী) ধর্ম নিরপক্ষতা নিয়ে বলেন যে, যারা ধর্ম নিরপক্ষতাকে সমর্থন করে, তারা কি মুসলমান হতে পারে ? তাদের ইমান মোটেও থাকবে না। এভাবে তিনি স্বাধীনতা নিয়ে কিছু কথা বলেছেন।

বিষয় নিয়ে ইসলামী ফাউন্ডেশনের এডি গোলাম রহমান আনছারী এ প্রতিবেদককে জানান- তিনি ঠিক সেভাবে কথাগুলো বলেননি। তিনি বলেছেন- ইসলামী ফাউন্ডেশনের শিক্ষা কার্যক্রমে কিছু লোক ওলামালীগ করেন। যারা ঠিক ভাবে চাকুরী করেন না। এদের বিষয়ে কিছু বললে তারা বলে বেড়ায়, তারা ওলামা লীগ। এছাড়া তিনি অন্যান্য অভিযোগ অস্বীকার করেন।

তবে এ খবর বাইশারী ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরে আওয়ামী লীগ নেতাকমর্ীদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ডাঃ ইসমাঈল হোসেন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন- দুপুর ২টায় স্থানীয় আওয়ামী নেতা কমর্ীদের মাধ্যমে এ কথা শুনে তিনি ঘটনার সত্যতা পেয়ে হতবাক হয়েছেন। সরকারের অধিনস্থ একজন কর্মকতর্া কি ভাবে এ জাতীয় ধৃষ্টতা পূর্ন বক্তব্য রাখতে পারেন, এটা মোটেও গ্রহনযোগ্য নয়। আওয়ামীলীগ সম্পর্কে এভাবে তাচ্ছিল তা কোন ভাবে মেনে নেয়া যায় না। তিনি গোলাম রহমান সাহেবের বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে তিনি জামায়াতের দোষর।

তার ধারনা এভাবে ইসলামী ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমের সাথে জড়িত থেকে গোপনে সরকারী বিরোধী কার্যক্রম চালাচ্ছে অনেকে এবং আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তি চরম ভাবে নষ্ট করছেন প্রতিনিয়ত। তাই তিনি সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিত করে তাদের ইসলামী ফাউন্ডেশন থেকে অপসারণেরও দাবী জানান Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.