বিচ্যুত যৌবনে জোছনা আমায় করেছে উম্মাদ
অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে আওয়ামীলীগের মূল শত্রু ২ টা। একটা রাজপথে আর একটা ব্যালটপথে
রাজপথের শত্রু
রাজপথের শত্রু জামায়াত। যেটা আওয়ামীলীগ নিজেরাই তৈরি করেছে শুধু মাত্র মানুষের দৃষ্টি বিএনপি থেকে সরানোর জন্য, এছাড়া আর কোন কারন নেই।
ব্যালটের শত্রু
ব্যালটের শত্রু হচ্ছে বিএনপি। এবং এটাই মূলত আসল শত্রু।
ব্যালটের রাস্তায় যদি আওয়ামীলীগ ক্ষমতআয় থাকতে না পারে তাহলে লগি বৈঠার মতো দাংগা হাঙ্গামা কিংবা কোন জেনারেলের দয়াপরবশ হয়ে ক্ষমতায় থাকতে বা যেতে হবে। কেইবা চায় এতো ঝামেলা করতে তার চেয়ে যদি সহজ কোন রাস্তা থাকে।
কিন্তু আওয়ামীলীগ মূলত ব্যর্থ হয়েছে। কত বছরের দমন পীড়ন, নির্যাতন, গুম, হত্যা, রাহাজানি, হিংস্রতার কারনে মানুষের দৃষ্টি বিএনপি থেকে সরানোর উদ্দেশ্যে যা করেছিলো তা আসলে বুমেরাং হয়েছে।
বাস্তবে কিছুটা সফল হয়েছে আওয়ামীলীগ।
যেমন জামায়াত-শিবির নিয়ে আগে আলোচনার টেবিলে সাধারন মানুষের মধ্যে একটা উন্নাসিক ভাব ছিলো সেটা কমে এখন আলোচনার টেবিল আর চায়ের কাপে ঝড় তোলার মূল উপকরন ই হয়ে গেছে জামায়াত শিবির।
কিন্তু আওয়ামীরা যেটা চেয়েছিলো অর্থাৎ জামাতকে ভোট ও রাজপথে মূল প্রতিপক্ষ বানাতে সেটা করতে ব্যার্থ হয়েছে কেবল মাত্র জামায়াত ও বিএনপি এর মধ্যে রাজনৈতিক বন্ধুত্বের শক্ত বাঁধন থাকার কারনে। তাই দেখা যায় রাজপথে জামায়াত-শিবির ঠিকই শক্ত প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম হয়েও ভোটের মাঠে বিএনপিকে ছাড় দিয়ে বিচক্ষনতার পরিচয় দিচ্ছে। অন্যদিকে বিএনপি জ্বালাও পোড়াও, লগি বৈঠার মতো হাঙ্গামার রাজনীতি না করে ধৈর্যের যে পরাকাষ্ঠা দেখাচ্ছে তা রাজনীতিতে যেমন নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে তেমনি আওয়ামী শিবিরে হতাশা তৈরি করেছে।
আওয়ামীলীগের যে স্বপ্ন, বাশার আসাদের মতো, জেনারেল সিসির মতো, হামিদ কারজাইয়ের মতো, যে স্বপ্ন আওয়ামীলীগকে ইন্ডিয়া এতোদিন দেখিয়েছে।
সেই স্বপ্ন, বাংলাদেশকে জঙ্গি রাস্ট্র বানানোর পরিক্ল্পনা। তারপর বিরোধী দলকে দমন পীড়ন করে বলা যে আমরা টেররিস্ট দমন করছি আর হোসনি মুবারক, বাশার আসাদ জাতীয় ডিক্টেটরদের মতো বছর ৫০ ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন বোধ হয় ধুলিস্যাৎ হয়ে গেলো।
এখন ভোটের মাঠে নিশ্চিত পরাজয় জেনে আওযামীলীগ কি কি করতে যাচ্ছে তা নিয়ে ভাবার সময় হয়েছে।
আমার ধারনা আওয়ামীরা দুটা মুলা ঝুলিয়েছে। খুবই লোভনীয় দুটা মুলা।
এর যেকোন একটি ক্লিক করলেই আওয়ামীলীগের জন্য সাপেবর হয়েযেতে পারে।
১ নং মুলা জামাতের জন্য
জামায়াতের নেতাদের মুক্তি দেয়া হবে যদি তারা বিএনপি'র সংগ ত্যাগ করে আর আওয়ামীলীগ সরকারের আধীনে নির্বাচনে যায়।
২ নং মুলা সাধারন জনগন ও বিদেশী প্রভুদের জন্য
আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করে তাদেরকে ফাঁসীর কাষ্ঠে ঝুলানো নিশ্চিত হবে। দেশ থকে জংগিবাদ দূর করা হবে
এখন কথা হচ্ছে মুলায় পোলা হয় কিনা? অবস্থা যা দেখছি তাতে মনে হচ্ছে মুলা গুলো আঁটি বেঁধে আওয়ামী নেতা কর্মীদের পিছনদিয়ে ঢোকার সম্ভাবনাই বেশী। তবে দেশে মানুষ যে হারে যত্ন করে মুলা ক্ষেত করছে তাতে মনে হচ্ছে সাধারন মানুষ, বিএনপির নেতা কর্মী, জামায়াত-হেফাজতের নেতা কর্মী, শেয়ার বাজারে নিঃস্ব মানুষগুলো, নির্যাতিত, নিপিড়িত, গুম হয়ে যাওয়া মানুষজন, এমন কি পিলখানায় ইতিহাসে জঘন্যতম হত্যাকান্ডের শিকার অফিসারদের স্বজনেরাও বসে আছে মুলা ঢোকানোর জন্য।
আওয়ামীলীগ মানুষের নাকের ডগায় বহু মুলা ঝুলিয়েছে, এখনো ঝুলাচ্ছে। মুলা ঝুলিয়ে এদেশে বহু আকাম কুকাম করেছে। এবার সময় হয়েছে মুলা ঝুলানোর ব্যাথা সামলানোর।
তবে তাই হোক..........।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।