এভাবে সমস্তই আগের মত রইবে সময়টা অসময়েই বইবে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ও পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় গত নির্বাচনের পূর্বে বাংলাদেশে আশংকাজনক হারে ইসলামের উত্থানে শংকা প্রকাশ করে হার্ভার্ড ইন্টারন্যাশন্যাল রিভিউ পত্রিকায় Stemming the Rise of Islamic Extremism in Bangladesh নামে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছিলেন। নিবন্ধে বিগত চার দলীয় জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশে ৫০০% বোরকা বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পরেন। এছাড়া তিনি সেনাবাহিনীর মাঝেও ইসলামী মূল্যবোধ বৃদ্ধিতে সতকর্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিশেষ করে ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যাতে সেনাবাহিনীতে রিক্রুট না করা হয় সে ব্যাপারে প্রেসক্রিপশন দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশে ইসলামের অগ্রযাত্রা দেশী বিদেশী অনেকের কাছেই সুখকর ছিল না। যে কারনে এ দেশে ইসলামের বড় ধরণের সাফল্য অর্জনে কিংবা ইসলামপন্থীদের সরকার গঠনের পথে বাধা সৃষ্টি করতে কালক্ষেপন করা তাদের জন্য বিপদজনক ছিল।
বাংলাদেশের ইসলামী মূল্যবোধের অগ্রযাত্রার পথ রুদ্ধ করতে উপযুক্ত রাজনৈতিক দল হিসেবে তারা আওয়ামী লীগকেই বরাবর পছন্দ করেছে, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের রয়েছে ব্যাপক গণভিত্তি এবং ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে তাদের রয়েছে সুস্পষ্ট কর্মসূচী।
বিগত নির্বাচনের পূর্বে জামায়াতকে ঘায়েল করার জন্য যুদ্ধাপরাধী ইস্যুটিকে গুরুত্ব দেয়া হয় যদিও নির্বাচনী ফলাফলে জামায়াতের অবস্থান আরো জোড়ালো হয়েছে বলেই মনে হয়। নির্বাচনে জামায়াত আসন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বড় ধরণের বিপর্যয়ে পরলেও ভোটের ক্ষেত্রে তাদের সুস্পষ্ট অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়। তাই আওয়ামী লীগের কাছে এটি পরিস্কার যে স্বাভাবিকভাবে জামায়াতে ইসলামী যদি রাজনৈতিক কর্মসূচী পালনের সুযোগ পায় এবং আওয়ামী লীগ এবং তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপির নেতাকর্মীরা যদি হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ, নারী পাচার, চোরাচালানী, মাদক ব্যবসা ইত্যাদি চালাতেই থাকে তাহলে সাধারণ মানুষের জন্য জামায়াতে ইসলামীর ছায়ায় জড়ো হওয়া ছাড়া কোন বিকল্প থাকবে না। তাই যে সকল প্রতিষ্ঠানগুলো জামায়াতে ইসলামীর সাপোর্টার তৈরীতে সহায়ক বলে আওয়ামী লীগ মনে করছে সেসব প্রতিষ্ঠান গুলোর বিরুদ্ধে চলছে নানাবিধ ষড়যন্ত্র।
বাংলাদেশে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ও ইসলামী মূল্যবোধ লালনে সেনাবাহিনীর বিশেষ অবদান রয়েছে। তাই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরই সেনাবাহিনীকে সতর্ক করতে পিলখানায় বিডিআর হত্যাযজ্ঞের মতো লোমহর্ষক ঘটনায় মদদ জুগিয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। বিশেষ করে সেনাবাহিনীর এমন কিছু চৌকষ অফিসার সেদিন নিহত হয়েছিলেন যাদের কর্মদক্ষতা ও দেশপ্রেম ছিল প্রশ্নাতীত। বিডিআর হত্যাযজ্ঞের পর থেকেই বাংলাদেশের বর্ডার রয়েছে অরক্ষিত, এক বছরে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন ৯৬ জন, বছরের শুরুতেই আড়াই মাসে বিএসএফের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ জন বাংলাদেশি ।
বাংলাদেশে ইসলামের পুনরুদ্ধারে আদর্শভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো বড় ধরণের ভূমিকা রাখছে বলে আওয়ামী লীগ মনে করে।
এ কারণে শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ইসলামী মূল্যবোধ দূরীকরণে তারা সচেষ্ট। মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে দূর্বল করতে প্রতিনিয়ত মাদারাগুলোকে জঙ্গীবাদের সুতিকাগার হিসেবে চিহ্নিত করার অপপ্রয়াস চলছে। মাদরাসা শিক্ষা নিতে যাতে জনগণ অনুৎসাহিত হন সেজন্য মাদরাসা শিক্ষিত ছাত্রদের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে বাধা দেয়া হচ্ছে, বাধা দেয়া হচ্ছে চাকুরীর ক্ষেত্রেও। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার মাদরাসা ছাত্রদের ক্রমশ কোনঠাসা করে ছাত্রসমাজকে ইসলামী শিক্ষা নেয়ার ক্ষেত্রে সুকৌশলে প্রতিবন্ধকতার দেয়াল তুলে দেয়া হচ্ছে।
তৃতীয় বৃহত্তম সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম রাষ্ট্র হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে শরীয়াহ আইন কখনো চালু হয় নি।
তবুও এ দেশের মানুষ ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী হওয়ায় যুগ যুগ ধরে পর্দার বিধানকে মেনে চলছে। বিশেষ করে সামাজিক অবক্ষয় এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মদদপুষ্ট বখাটে যুবকদের অত্যাচারে অতিষ্ট ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষ বোরখাকেই ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। সমাজে যেখানেই ভয়, সেখানেই নারীরা আশ্রয় নেন বোরখার আড়ালে। ইদানিং ইভটিজিংএর শিকার হয়ে অকালে মৃত্যুকে বরণ করেছে অনেক নারী, অথচ কি আশ্চয় যে এসব নারীদের মাঝে বোরখায় অভ্যস্ত ছিলেন না কেউ। বোরখায় অভ্যস্ত নারীদের উপর এসিড সন্ত্রাসের খবর আমাদের চোখে পড়ে না, কিছুটা সম্মান, কিছুটা সমীহের চোখেই দেখে বখাটেরা বোরখা পড়া নারীদের।
সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো নতুন প্রজন্মের নারীদের মাঝে হিজাব ব্যবহারের আগ্রহ বিস্ময়করভাবে বেড়ে চলেছে। আওয়ামী লীগ এবং সমমনা দলগুলো এটিকে তাদের জন্য অশনি সংকেত হিসেবেই দেখছে এবং তারা একে জামায়াতে ইসলামীর সাফল্য হিসেবেই চিহ্নিত করছে।
বাংলাদেশে ইসলামী আন্দোলনের অগ্রগতিতে নারীদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। নারীরা সাধারণত কোন প্রকাশ্য সভা-সমাবেশ না করেও প্রতিনিয়ত তারা সাধারণ নারীদের মাঝে ইসলামী মূল্যবোধ তৈরীতে অবিশ্বাস্য ভূমিকা রাখছেন। এ কারণে আওয়ামী লীগ ইসলামের অগ্রযাত্রা প্রতিরোধে নারীদেরকেই তাদের টার্গেটে পরিণত করেছে।
নারী স্বাধীনতা কিংবা নারী অধিকারের মতো চমকপ্রদ কথামালা নারীদের মাঝে এখন আর তেমন প্রভাব ফেলছে না বরং নারী স্বাধীনতার নামে নারী দেহ সৌষ্ঠবকেই যে কেবল ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে ব্যবহার করা হয় তা যারা নিয়মিত বিজ্ঞাপন দেখেন তাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। যে সব প্রতিষ্ঠান নারীদেরকে চাকুরীর ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিচ্ছে তারা মূলত নারীকে টোপ হিসেবেই ব্যবহার করে। দু’য়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া বিভিন্ন ব্যাংক-বীমা, কিংবা বায়িং হাউজে নারীদের শুধুমাত্র খদ্দের ধরার ফাঁদ হিসেবেই ব্যবহার করা হয়।
নারী মুক্তি আন্দোলনের সাথে বহুজাতিক কোম্পানীদের সম্পর্ক রয়েছে। নারী মুক্তির জিকির যত জোড়ালো হবে, নারীলোভী পুরুষদের সামনে তাদের সাজাতে ততবেশী প্রসাধনী, অপ্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড়, মাত্রাতিরিক্ত বিলাস সামগ্রীর বাজার তত সম্প্রাসারিত হয়।
নারীরা যত উন্মোচিত করে তাদের সৌন্দর্য, তার বহুগুণ বেশী ব্যবসায়িক সাফল্য আসে কোম্পানীগুলোর ব্যালেন্সশীটে। কিন্তু নারীরা যদি তাদের তথাকথিত স্বাধীনতা থেকে মুখ ফেরায়, তারা যদি পুরুষের সাথে প্রতিদ্বন্দিতার পরিবর্তে আদর্শ পরিবার ও সুশিক্ষিত ভবিষ্যত প্রজন্ম গড়ার দিকে মনোযোগী হয় তাহলে স্পষ্টত এদের উপর রাগ না করার কোন কারণ থাকতে পারে না।
ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে হিজাবকে চীরতরে বিলুপ্ত করার যাবতীয় আয়োজন সম্পন্ন করা শুরু হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে, নার্সদের নিকাব পড়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে। কালিয়াকৈরে বোরকা পরার অপরাধে পেটানো হয়েছে স্কুল ছাত্রীকে, বন্ধ হয়ে গেছে তার স্কুলে যাওয়া।
পিরোজপুরে বোরখা পড়া তিনছাত্রীকে গ্রেফতার করে চালানো হয় নির্যাতন। নেকাব খুলে পর্দানশীল মেয়েগুলোর ছবিতুলে দেয়া হয় বখাটেদের হাতে, দেয়ালে দেয়ালে সাটা হয় নিরীহ পর্দানশীল মেয়েদের ছবিযুক্ত পোস্টার। যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন অফিসে নীতিমালা প্রণয়নের জন্য বলছে আদালত আবার হিজাব পড়তে বাধ্য না করার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে আদালতের পক্ষ থেকে, অথচ হিজাব পড়তে কোন অফিস আদালতেই বাধ্য করার কোন খবর নেই। পার্কে আপত্তিকরভাবে চলাচলকারী মেয়েদের গ্রেফতার করায় এক পুলিশ অফিসারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে, বলা হচ্ছে বোরখা না পড়ে চলাচল করায় তিনি তাদের গ্রেফতার করেছিলেন। সেবারও আদালত হিজাব নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে।
বাংলাদেশও কি তবে বোরখা নিষিদ্ধ করার পথেই এগোচ্ছে? নিষিদ্ধ হয়ে যাবে কি পর্দাপ্রথা? যে মায়েরা বোরখা ছাড়া দু’কদম চলে না রাস্তায়, তাদের শরীর থেকে বোরখা খুলে নেয়ার আয়োজনে মেতেছে সরকার। কিন্তু কেন? প্রতিনিয়ত দেশে বোরকা পড়া নারীদের সংখ্যা বাড়ছে। বোরখা তো কেবল জামায়াতে ইসলামীর সম্পত্তি নয়, জামাত শিবির পরিবারের নারীরাই শুধু বোরখা পড়ে তা তো নয়, বোরখা পড়ে অভ্যস্ত বাংলাদেশের অধিকাংশ মায়েরা। বোরখা পড়ে তারা নিশ্চিন্ত, রাস্তা ঘাটে ওত পেতে থাকা মানুষরূপী হিংস্র জানোয়ারগুলো আর যাই হোক বোরখা পড়া নারীদের ওপর সাধারণত ঝাপিয়ে পড়ে না। দিন দিন যেখানে যৌন নিপীড়ন বেড়েই চলেছে, যেখানে শিশুরাও রেহাই পায় না নরপিশাচদের হাত থেকে সেখানে যদি নারীরা স্বউদ্যোগে বোরখা পড়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায় তবে তাতে সরকার বাধা দিতে কেন এত তৎপর।
ইতোমধ্যেই ষড়যন্ত্রের জাল অনেক বিস্তৃত হয়েছে। পাশ্চাত্য বিশ্বের অনেক দেশেই মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ছে বিকৃত যৌনাচার। অনেক দেশেই সমকামিতাকে বৈধতা দেয়া হয়েছে, ভারতের দিল্লী হাইকোর্ট সমকামিতাকে বৈধতা দিয়ে রায় দিয়েছে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে সমকামিতার পক্ষে জনমত গঠনে কাজ শুরু করেছে ভারতপন্থী পত্রিকা দৈনিক জনকন্ঠ। বাংলাদেশে সমকামিতাকে বৈধ করতে এক কোটি লোকের উপর চাপানো হয়েছে সমকামীর লেবেল।
এক কোটি মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকির ধুয়ো তুলে তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে বৈধতা দানের প্রস্তুতি নিয়েছে। ইতোমধ্যেই সমকামীতা প্রতিষ্ঠার রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ হিসেবে গ্লোবাল ফান্ড থেকে ৫৬০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ভারতের নতজানু আওয়ামী সরকার পশ্চিমা ঢঙ্গে বাংলাদেশকে সাজাতে এবং ভারতকে খুশী করতে যে তারা সমকামিতাকে বৈধ করতে পিছপা হবে না তা স্পষ্টই বুঝা যাচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী ইসলামের শত্রু হিসেবে ইসরাইল কুখ্যাতি অর্জন করেছে। জোড় করে ওরা দখল করে রেখেছে মুসলমানদের প্রথম কেবলা মসজিদুল আকসা।
পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে নরক বানিয়ে রেখেছে ওরা। বাংলাদেশে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনগুলোকে স্তব্ধ করতে ইতোমধ্যেই হয়তো ইসরাইলী গোয়েন্দা সংস্থা মোশাদের পরামর্শ নিয়েছে আওয়ামী লীগ। ভারতের সাথে ইসরাইলের রয়েছে সুদৃঢ় কুটনৈতিক বন্ধুত্ব। আওয়ামী লীগ সে ভারতেরই সেবাদাস। ধারণা করা যায় যে ভারত থেকে ইতোমধ্যেই ইসরাইলের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক তৈরীতে বাংলাদেশকে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের পাসপোর্ট ইসরাইল ভ্রমনের নিষেধাজ্ঞা বাণী রয়েছে, অথচ ইদানিং মন্ত্রী ও কুটনীতিকদের পাসপোর্ট থেকে এ সতর্কবাণী বাতিল করা হয়েছে, সবুজ পাসপোর্ট থেকেও বাদ দেয়ার পরিকল্পনা চলছে। ইসরাইল বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল এ দাবী তুলে মুক্তিযুদ্ধের মতো স্পর্শকাতর বিষয়টিকে ব্যবহার করে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দানের জন্য লবিং শুরু হয়েছে। অথচ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়েই প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমেদ ইসরাইলী স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
এবার বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের ধুয়ো তুলে, যুদ্ধাপরাধীদের নিশ্চিহ্ন করার কথা বলে, বোরখার আড়ালে অস্ত্র ও বিষ্ফোরক বহনের অযুহাতে যদি বাংলাদেশ থেকে হিজাবকে নিষিদ্ধ করা হয়, যদি নারী স্বাধীনতার নামে কেড়ে নেয়া হয় নারীদের মর্যাদা রক্ষাকবজ নেকাব, যদি ভারতের আদালতের মতো বাংলাদেশের আদালতের আওয়ামী দলীয় বিচারপতিগণ মানবাধিকারের ধুয়ো তুলে কিংবা এইডস প্রতিরোধের নামে সমকামিতাকে বৈধ করে দেন, যদি আওয়ামী লীগের প্রভূরাষ্ট্র ভারতের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধের মতো স্পর্শকারত বিষয়কে পূঁজি করে ইসলাম ও মানবতার শত্রু ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়ে অপরাধের আর চরিত্রহীনতার স্বর্গরাজ্যে পরিণত করা হয় বাংলাদেশকে, তবে সেদিন আসার পূর্বেই ইসলাম বিদ্বেষী আওয়ামী অপশক্তির বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তোলা ধর্মপ্রাণ মুসলমানের প্রধান দায়িত্ব নয় কি?
এটি সম্পূর্ণ ভাবে এই লিঙ্ক থেকে নেয়া...। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।