হিজাব মহান আল্লাহর এমন এক শাশ্বত বিধান-যা পুরুষকে পাশবিক উচ্ছৃংখলতা করা থেকে হিফাজত করে এবং মানবিক মর্যাদার উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত করে, আর অপরদিকে নারীকে পুরুষের লোলুপ দৃষ্টি ও হিংস্র নির্যাতন থেকে বাচাতে পারে। বস্তুত, হিজাব নারীদের জন্য কোন অবরোধ নয়, বরং নারীর মান-সম্মান ও ইজ্জত-আব্রুর প্রতিরক্ষাব্যুহ।
হিজাব হচ্ছে এমন একটি আবরণ, যে আবরণ দিয়ে দেহ ও মন উভয়কে আচ্ছাদিত করতে হয়। বাহ্যিক হিজাব দ্বারা দেহকে আবৃত করতে হয় এবং তাকওয়া বা আল্লাহভীতির দ্বারা মনকে কন্ট্রোলে ও হিফাজতে রাখতে হয়। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র দেহকে আচ্ছাদিত করে মনকে লাগামহীনভাবে ছেড়ে দিলে হিজাব বজায় থাকবেনা।
আবার দেহকে বাদ দিয়ে শুধু মনকে খোদাভীতির আচ্ছাদনের দ্বারা ঢেকে দিলেও হিজাব রক্ষা হবেনা। বরং দেহ বা শরীরকেও বাহ্যিক আবরণ বা হিজাব দ্বারা আচ্ছাদিত করার পাশাপাশি মনকেও কন্ট্রোল করতে হবে।
লজ্জা হচ্ছে নারীর ভূষণ। সুতারাং নারীকে পর্দার ভিতরে রাখা তাদের উপর জুলুম নয়, বরং এটাই প্রকৃতপক্ষে তাদের প্রকৃতির প্রতিফলন। যেমন-পানির ভিতরে থাকা মাছের জন্য বন্দিত্ব নয়, সেটাই তাদের জন্য শান্তির স্থল।
অপরিণামদর্শী মাছ ডাঙ্গায় উঠে আসতে চাইতে পারে, কিন্তু তার পরিণাম পরক্ষণেই সে বুঝতে পারে।
ইসলামের হিজাব বিধানের যৌক্তিকতা অনেক অমুসলিমকে আকর্ষিত করেছে, মুগ্ধ করেছে। পাশ্চাত্যের অসংখ্য অমুসলিম নারী ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছে শুধু হিজাবের সুফল লক্ষ্য করে। তারা বুঝতে পেরেছে, সৃষ্টিকর্তা মনোনীত ধর্মেই কেবল এমন কল্যানকর বিধান থাকা সম্ভব কোন মানবরচিত মতবাদ বা ধর্মে এরুপ আশা করা যায়না।
হিজাব ইসলামের একটি অবশ্য পালনীয় মৌলিক বিধান।
নর-নারীর কল্যান কামনায় এ বিধান প্রণীত হয়েছে। এতেই নিহিত রয়েছে নারীর সত্যিকার মর্যাদা ও সম্মান। হিজাব গ্রহনকারী নারীদের ইভ-টিজিং এর শিকার হতে হয়না। বখাটে-মাস্তানরা পর্যন্ত তাদের সম্মান করে। অনেক অধার্মিককেও দেখা যায় যে, সে চায় তার মা, বোন, স্ত্রী হিজাব মেনে চলুক।
কারন ধর্মীয় দিক নাহোক যৌক্তিক দিককে তারাও অস্বীকার করতে পারে নাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।