অরুণালোক
গুরু ,
বাঁশিখানি ধরিয়ে দিয়ে হাতে
আড়াল হয়ে রইলে কেন চুপ!
শিখিয়ে যাও কেমন করে বাজায়
তোমার যেমন বাজতো অপরূপ।
আর কতোকাল রইবো আমি বসে?
কবে হবে এই অপেক্ষার শেষ?
ঘরের মায়া সেই ছেড়েছি কবে ,
তোমার বসন আমার গায়ের বেশ।
কতটা কাল বাঁশিখানি নিয়ে
পথিক হয়ে ঘুরছি পথে পথে,
চলছি খোঁজে সুরের ব্যাকরণ
ধরার অসুর আবর্জনাতে।
তোমা:বাণী আমার কণ্ঠে দাও
গান গাক ফের নতুন ভোরের কবি
তোমার সুরে আবার উঠি গেয়ে মানব মনের মুক্তির ভৈরবী।
মানব বনের ভেতর দিয়ে হেঁটে
বাঁশি হাতে অবাক দেখি সব
ধ্বংসলীলায় মানুষ আছে মেতে
মোহের ঘোরে অন্যায় উৎসব।
গোল্লা তেমন আগের মতোই আছে
স্বার্থপর সব, দেয় উপহার লাশ
মানবতা চটে মুড়ে ঘুমায়
কাঁদায় কাঁদে করে উপহাস।
রাজনীতিকের জেলখানাতে আজও
বন্দি হয়ে আছে নাগরিক
মুক্তি কোথায় ভীতু বন্দিদের!
কোন্ সে নেতা ; কে দেখাবে দিক?
দেশনেতারা ব্যবসায়ী ভীষণ
লাশ বাণিজ্যে ফায়দা অফুরান
ধর্মনেতার মুখোশ মুখে চেপে
পিশাচেরা ডাক ছেড়ে গায় গান।
মুক্তি পায়নি নারী সমাজ আজও
ধর্ষিত হয় চলতি পথের ভীড়ে
অমস্ন আগুন ঝলসিত ঐ মুখে
ব্যাকুল হয়ে তাকায় ফিরে ফিরে।
যৌতুকের ঐ ভয়াল থাবার ক্ষতে
মিটে গেছে রাঙা মুখের হাসি
অত্যাচারের চিহ্ন দেহে নিয়ে
অমনি আজও দিচ্ছে কতো ফাঁসি।
কারখানাতে শ্রমিক মালিক বিরোধ
ভাগ মেলে না ন্যায্য মজুরি
ক্লিষ্টদেহী ঘামে ভেজা কৃষক
আধপেটা খায় ; আধেক অনাহারী।
শাসক যারা শোষণ করে তারাই
ভুক্তভোগী প্রজা সাধারণ
দুর্নীতিবাজ সরকারি অফিস
মৎসমুখো থাকে সারাক্ষণ।
শিক্ষা বিভাগ বর্ণমালা শেখায়
ডাক্তারগণ ওষুধ গেলান জোর
পুলিশ বাবা মর্দ ভীষণ ভারি
সাঁঝকে ওরা করতে পারে ভোর!
আর কতোকাল এমন ফাঁকিবাজি
চলবে? তুমি বলতে পারো কাজী!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।