জাহাঙ্গীর নগরে একজন ছাত্র ছিল। তার নাম মানিক। শুধু মানিক বললে অনেকে নাও চিনতে পারেন, তিনি ছিলেন সেঞ্চুরিয়ান মানিক। তিনি জাহাঙ্গীর নগরের ছাত্র এবং তিনি সেই বিশ্ববিদ্যালয়েরই একশ মেয়েকে রেপ করেছিলেন।
যেকোনো ধর্ষক কিংবা ইভটিজার কোনো না কোনো স্কুলের ছাত্র, কোনো না কোনো মায়ের সন্তান।
সব মায়ের কাছে তার সন্তান নিষ্পাপ, সব মানুষের কাছেই তার প্রতিষ্ঠানের সেরা, সেরাদের আখড়া। এটা আবেগের কথা।
কিন্তু আমরা জানি বাস্তবতা অন্য রকম।
যে ব্লগটি নিয়ে এত আলোচনা সেখানে লেখক বলেছের, ইভটিজাররা নিজেদেরকে ইউল্যাবের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। এতে ইউল্যাবের শিক্ষার্থীরা কেন উত্তেজিত হলেন বুঝলাম না।
এটা তো অসম্ভব কিছু না। বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষককেও আমরা ধর্ষক- নিপীড়ক হিসেবে দেখেছি।
এছাড়া এ ব্যাপারে আমরা আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শীর ব্লগও দেখেছি।
কাজেই সত্যিই যদি সেই ইভটিজার ইউল্যাবের হয়ে থাকে, তাহলে ইউল্যাবের মেয়েদের জন্যই সেটি সবচেয়ে বিপদের কারণ । সেই ইভটিজারদের পরবর্তী লক্ষ্য হবে ইউল্যাবের ছাত্রীরাই কিংবা ছাত্রদের বান্ধবী কিংবা বোনেরাই।
এ উপলক্ষ্যে ইউল্যাব কর্তৃপক্ষের নামে যে বিবৃতি দেয়া হয়েছে তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।
ইউল্যাব কর্তৃপক্ষ যেন দায়িত্ব নিয়েছেন যেকোনোভাবে এই ঘটনার দায় এড়ানোর। কার্পেটের নীচে ময়লা চাপা দেয়া যায়, তাতে আবর্জনা কমে না।
ইউল্যাবের ভাইবোনদের প্রতি আবেদন, ব্যাপারটিকে আবেগগতভাবে না দেখে নিরপেক্ষভাবে দেখুন। অপরাধী যেই হোক, সেও ইউল্যাবের হোক কিংবা না হোক, তার শাস্তি কামনা করুন।
চলুন সবাই মিলে তাকে খুঁজে বের করি।
যেহেতু অপরাধী নিজেকে ইউল্যাবের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়েছে , ইউল্যাবের প্রভাব দেখিয়েছে কাজেই সেই খোঁজ শুরু হোক ইউল্যাব থেকে। আমরা বাইরে থেকে গিয়ে তাকে খুঁজে বের করতে হয়তো পারবো না, এজন্য ইউল্যাবের ভাইবোনদেরই এগিয়ে আসতে হবে।
তাতে ইউল্যাবই আবজর্নামুক্ত হবে, দেশ আবর্জনামুক্ত হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।