স্বপ্নবাজ। একটা রাতের রংধনুর স্বপ্ন দেখি...। -কিঙ্কর আহ্সান রাতের রংধনু (২)
-কিঙ্কর আহ্সান
ঘ.
“মৃত্যু আমার ওলটপালট,চারটি চাকার গাড়ি।
অনেকখানি কান্না তাতে,অনেক আহাজারি। ”
কল্পনার ছেড়া তারগুলো যখন এলোমেলো ভাবে জোড়া লাগে তখন বিমূঢ় হয়ে তা অনুভব করা ছাড়া আর কিছুই করনীয় থাকেনা।
আমার স্মৃতিগুলো বড্ড বেমানান। সেই সাথে কিছুটা বেয়ারাও। জীবনের নকশীকাথায় বোনা দৃশ্যপটগুলো ক্রমানুসারে আসেনা মসি-স্কে। আমি যতই হাতড়ে বেড়াই ততই হারিয়ে যায় অতলান- সাগড়ের গভীরে। ঈশ্বরের হাতসাফাইয়ে আমি ক্লান- হয়ে পড়ে থাকি ডায়রির পাশে।
একটা নিঃসঙ্গ কলমের মতন। যার কালি ফুরিয়ে আসে প্রতিনিয়ত। এক ঘোর না লাগা ঘোরের মধ্যে চলে আমার জীবন থিয়েটারের হদিশ পাওয়ার সংগ্রাম।
দশকাঠা জমির ওপর দাড়ানো বাড়িতে ছোট্ট একটি পুকুর। প্রতিদিনই সূর্য আর চাঁদ এসে আড্ডা জমায় পুকুরের জলের সাথে।
হাওয়ার সাথে পুকুরের বন্ধুত্বটা বেশি। দিনভর বসে বসে গা জুড়োয় আর সুখ দুঃখের গল্প ফেঁদে বসে দুই বন্ধু। আজ পুকুরটি ভরাট করা হচ্ছে। তাই ভাল নেই মন। এই পুকুরের ঘাটে বসে আমার জীবনের অনেক বর্নহীন সময়গুলোতে রং মাখিয়েছি আমি।
ট্রাক ভর্তি করে আনা হচ্ছে মাটি। জলে মিশে নিমিষেই সে মাটি কাদা হয়ে যাচ্ছে। মাছগুলোর অবস'া খারাপ। আগেই জাল টেনে তোলা হয়েছে কিছু। যারা বেঁেচ গিয়েছিল ভাগ্যের জোরে তাদের অবস'া এখন শোচনীয়।
ইতিমধ্যেই কিছু কিছু মরে ভেসে উঠেছে। বাবার পকেটটা ভারী আজকাল। সব ঝামেলা হটিয়ে নড়েচড়ে বসেছেন তিনি। আকাশের দিকে বাড়িটা উঠেছে আরও একধাপ। দোতলার কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি।
নিচতলাটা ভাড়া দিয়ে আমরা উপরে এসে উঠেছি। বাড়ির বেশির ভাগ দরজা-জানালাই বার্নিশ করা কাঠে সাজানো। যেগুলোর কাজ বাকি সেগুলো ঢেকে দেয়া মোটা কাগজে। চৌপর দিন কাজ করছে কাঠ মিস্ত্রিরা। বাড়িভর্তি সর্বদা ভেসে বেড়ায় কাঠের অদ্ভুত একটা ঘ্রান।
দোতলার সবচেয়ে ঝামেলার ব্যাপার হল বাথরুমে দরজা লাগানো হয়নি। দরজার জায়গাটা নীল পলিথিন দিয়ে মুড়ে দেয়া। পাশেই জড়ো করে রাখা সাদা চকের টুকরো। যারাই ভেতরে যায় তারা চক দিয়ে দরোজার পাশের দেয়ালে বড় করে আঁক কষে। এসব ঝামেলা পোহাতে হয়না আমাকে।
লজ্জ্বা পাওয়ার মতন খুব একটা বয়স হয়নি আমার।
দোতলাটা মন্দ নয় একদম। ছোট্ট একটু চিলেকোঠার মত আছে। সেখানেই এখন আমার আপন জগৎ। প্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনীয় সব জিনিষ এনে জড়ো করেছি এ জায়গায়।
ছাদে আছে ছোট্ট একটা দোলনা। আমি তাতে দুলতে দুলতে হেড়ে গলায় গান জুড়ে দেই। ওপর থেকে উড়োজাহাজ উড়ে গেলেই ছুড়ে দেই ঢিল। বাবা প্রায়ই আসেন ছাদে। দোলনায় দুলতে দুলতে চা খান।
তখন তাকে খুব সুখী মনে হয়। ওজন বেড়েছে লোকটার। চোখ-মুখ ভারী হয়েছে আগের চেয়ে। কিসের আলামত কে জানে।
প্রমা আজকাল চুপচাপ থাকে।
ডায়রী লেখার অভ্যেস হয়েছে তার। লাল,নীল হরেক রং এর কালিতে কিসব ছাইপাশ লেখে। রাগ হয়। ইচ্ছে করে টেনে ছিড়ে দেই মাথার সব চুল। হাজার চেষ্টা করেও ঝগড়া বাধাতে পারিনা।
তাই ওকে দেখলেই চিৎকার দিয়ে বলি,‘শাকচুন্নি,রাক্ষুসি মর তুই মর...মর,মর,মর। ’
মায়ের সাথেই থাকি আজকাল। বেচারিও হাসপাতাল থেকে ফেরার পর সারাক্ষন মনমরা হয়ে থাকে। সেরে ওঠেনি এখনও পুরোপুরিভাবে। বিচ্ছিরি সব।
মার এখন বাগান করায় মন। লাউ,কুমড়া,ঢেড়শ,গোলাপ,রজনীগন্ধা যা পাচ্ছেন সব হাবিজাবি একসাথে করে পুতে দিচ্ছেন মাটিতে।
আমার দুপুরটা কাটে সবচেয়ে এলোমেলোভাবে। হাতে কোন কাজ থাকেনা। খেয়েই দৌড়ে চলে যাই ছাদে।
সাথে নেই মাদুর আর বালিশ। অমসৃন মেঝেতে মাদুর বিছিয়ে শুয়ে থাকি। সোনালী জরির মত কচি রোদ এসে লুটিয়ে পড়ে গায়ে। সূর্যের দিকে চেয়ে আমি চোখ বুজি। আচমকাই গাড় আধার ঘিরে ধরে আমাকে।
হাজারো কাল্পনিক তারা হুড়মুড়িয়ে লুটিয়ে পড়ে আমার গায়ে। বড্ড বেশি ভালোলাগায় আপ্লুত হই তখন। শৈশবের না বোঝা মন চোখ হতে ঝড়িয়ে দেয় এক ফোটা নোনা জল। ছুয়ে দিতেই সেই অভিমানী জলকনা ভেঙে যায়। মাঝে মাঝে ডুগডুগি বাজিয়ে চলে আসে পাপড় ভাজা কিংবা কটকটি।
কুড়িয়ে পাওয়া ভাঙারি মাল নিয়ে তখন চলে আসি রাস-ায়। কখনও আসে আচারের গাড়ি। এক টাকায় অনেকখানি চালতার আচার পাওয়া যায়। লাল রং এ ডুবানো মিষ্টি স্বাদের বড় বড় চালতার টুকরো। চুষে চুষে জিহ্বা লাল করে ফেলি।
আচার প্রমারও খুব পছন্দ। টক তেতুলের আচার খেতে
ওস-াদ এই মেয়ে।
পাড়ায় নতুন মসজিদ উঠেছে। লাল ইটের শরীরে হাজারো আল্পনা। নামাজ শেষে প্রায়ই মিলাদ থাকে।
জিলাপি,দানাদারের লোভে জড়ো হই আামরা সবাই। রসে মাখামাখি হয়ে ফিরি বাড়ি। এভাবেই যেনতেন করে কেটে যায় দিনগুলো। রাতে বাবার সাথে ঘুমাই। প্রায়ই বোবা ভুতে ধরে।
ঘুম থেকে গো গো শব্দ করে উঠি। এর পর শুরু হয় কান্না। মা একটা তাবিজ এনে দিয়েছে। লাভ হয়নি তাতে কোন। তাবিজের ভয়ে ভাগেনি ভুত।
বোবা ভুতে না ধরলে আমার অভ্যেস নেই রাতে ওঠার। কিন' একদিন উঠতে হল। কান্নার আওয়াজে। বাবা সে রাতে কাদঁছিল খুব। বড় মানুষ কাদঁলে বিচ্ছিরি লাগে দেখতে।
মায়ের কাছে শুনলাম দাদু মারা গেছে। শুনে কষ্ট হয়নি খুব একটা। মৃত্যু নামক জিনিষটা স্পষ্ট ছিলনা আমার কাছে। ভয় পাচ্ছিলাম বাবার কান্না দেখে। মাঝরাতে সবাই গেলাম পশ্চিম কাউনিয়া।
বড় চাচার বাড়ি। সেখানেই মারা গেছেন দাদু। বাড়ির সামনে কফিন। এ মৃত্যুটা অপ্রত্যাশিত নয়। অনেকদিন ধরেই অসুস' ছিলেন বৃদ্ধা।
তবুও মৃত্য বড় অভদ্র। কেন যেন কাদিঁয়ে যায় সবাইকে।
সেদিন মনে হচ্ছিল সাদা কোন এক ফুলের পাপড়ির মতন কাফনের কাপড়ে মোড়ানো বৃদ্ধার শরীর। মৃত্যর চরম শুভ্রতা তাকে ঘিরে। কফিনের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে থাকা কোন এক ঘুমন- রাজকুমারি।
চোখেদুটোয় মাখা রাতের নক্ষত্রকনা। সোনার কাঠি ছুইয়ে দিয়ে কোন রাজকুমার তার ঘুম ভাঙাতে আসবে এই অপেক্ষায় যেন দিন গুনছে। মৃত্যুর পরেও এত সুন্দর কি কারও থাকা উচিৎ। মনে হয়না। পুরো ছবিতে একটাই শুধু অগোছালো ব্যাপার।
দাদু তার উপরের পাটির দাত দিয়ে কামড়ে ধরেছে ঠোট। হয়ত মৃত্যুর আগের প্রচন্ড যন্ত্রনা। বালক হিসেবে একটু কি কাদাঁ উচিৎ আমার?জানিনা। তবে এখনও মাঝে মাঝে দাদুর মুখটা ভেসে ওঠে আমার মনে। তখন কিন' কষ্ট হয়না একটুও।
বরং মৃত্যুর সৌন্দর্যের কথা ভেবে বলতে ইচ্ছে করে,‘এমন যদি হয় মরন তবে সে যেন মোরে ডাকে বারেবার। ’
ঙ.
লাখো মেঘের ভীড় হতে বুড়ো মেঘগুলোকে কি আলাদা করে চোখে পড়ে। ওদের মলিনতা কি কঁচি মেঘগুলোর চেয়ে ধূসর হয়ে যায়। এমনসব ভাবনা ঘিরে ধরে বালকটিকে। কতই বা বয়স হল তার।
গায়ে গতরে আগের চেয়ে বেড়েছে অনেকটা। পাখির পিঠে সওয়ার হয়ে উড়ে যায় এক একটা মেঘ। বিনে পয়সায় ওদের আকাশ ভ্রমন। এসব দেখে দেখে সময় কাটাতে আর ভালো লাগেনা। ভেতরটা রুক্ষ হয়ে উঠছে দিনকে দিন।
বাড়িটা আজ খালি। কেউ নেই। সবাই গেছেন মেঝ কাকার বাড়িতে। তিনি হজ্ব করে এসেছেন। তাকে একনজর দেখার জন্যে উদগ্রীব সবাই।
এর পেছনে অবশ্য আরেকটা কারন আছে। সৌদি থেকে তিনি নিয়ে এসেছেন তসবিহ,বোরকা,জায়নামাজ,খুরমা,খেজুরসহ আরও নানান জিনিষ। তার লোভেই ছুটছে সবাই। নিত্যনতুন লোক এসে জুটছে আত্মীয়ের পরিচয় দিয়ে। যমযমের পানি নিয়েও শুরু হয়েছে টানাহেচড়া।
কি বিশ্রী এই মানুষগুলো। সওয়াবের আশায় যে কত পাপ করছে তা টের পাচ্ছেনা ঘুনাক্ষরেও। কেউ কেউ তো সৈাদির খেজুর বলে সওয়াবের জন্যে আটিসহ’ই গিলে ফেলছে। আজব সব কারবার।
পরিবারে ভাঙনের সুর।
ঠিক ঠিক চোখে পড়েনা তবে বোঝা যায়। আন-রিকতার দেয়াল ভেঙে অদৃশ্য এক স্বার্থপরতা হানা দেয়। মেঝ কাকার সাথে কথা বন্ধ বাবার। কাউনিয়ায় মস- বাড়ি করেছেন তিনি। শহরসুদ্ধ মানুষ দাওয়াত পেয়েছেন সে বাড়িতে ওঠার মিলাদে।
বাবাকে জানানোই হয়নি। শৈশবে তো এমনটা ছিলনা। মানুষ বড় হতে হতে স্বার্থপরতা নামের অদ্ভুত সুন্দর একটা গুন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে তাকে। এখন নির্বাচনের মওশুম। একটু বড় হয়েছি আমি।
কিন' ভেতরের শিশুটা মরেনি। দিনভর ঘুরে ঘুরে মিছিল করি। নির্বাচনের পোস্টার জোগাড় করে ঘরের দেয়ালে সাটাই। কচ্ছপ পুষছি একটা। তাকে নিয়েও অনেক ঝক্কি।
কোন কথাই শোনেনা বেয়াদপটা। খেতে চায়না কিছু। মা এসবের জন্যে বকেন। আমার রাগ হয়। রাগ হলে মাথার ঠিক থাকেনা।
দেয়ালে মাথা ঠুকি। বালি মুখে দিয়ে খাই। এসব ভং চং এর জন্যে পেটের অসুখটা প্রায় লেগেই থাকে সবসময়। এ অসুখের জন্যে ক্ষিতীষের কাছে থেকে ওষুধ নেয়া হয়। সে পেশায় রাজমিস্ত্রী।
তবে হোমিওপ্যাথ জানে। চিনির দলার মত ছোট ছোট বড়ি খেতে দেয়। সে এক দারুন স্বাদের জিনিষ। এ ওষুধের জন্যেই পেটের অসুখটাকে আমার মন্দ মনে হয়না।
এ পাড়ায় মানুষের সংখ্যা বাড়ছে দিনকে দিন।
ধাই ধাই করে উঠেছে কতগুলো বাড়ি। কিছু বাড়ির কাজ চলছে। সারাক্ষন মিস্ত্রীদের ঠুং ঠাং আওয়াজ। বিকেল হতেই বালক তার বন্ধুদের নিয়ে এসব খালি বাড়িতে ভীড় করে। লুকোচুরি খেলার জন্যে এসব বাড়ির জুড়ি নেই।
ছেলে বাজে ছেলেদের সাথে মিশছে। তাই মা জোর করে তিন তিনটে শিক্ষকের ব্যবস'া করেছেন। বালকের জন্যে এ এক দুঃসহ জীবন। পড়া না পারলে খেতে হয় জব্বর মার। কান টানতে টানতে লাল করে ফেলে শিক্ষকেরা।
হরেক রকমের মার আছে তাদের। একেক মারের একেক নাম। বিকেলের খেলা বন্ধ আপাতত। এ সময়টাতে মাঠে ছুটে যাওয়ার জন্যে মনটা আইটাই করে। ইচিং বিচিং ছিছিং ছা এর পোজ্জ্বাপতি হয়ে পাখনা মেলে উড়ে যেতে ইচ্ছে করে দুরে।
অনেক দুরে।
বাড়িতে নানু আসলে উৎসবের ধুম পড়ে। বালক তখন সারাদিনই লুডু খেলায় ব্যস- থাকে। মায়ের অযথা বকাবকি বন্ধ হয়ে যায়। নানু এসেছে কিছুদিন হল।
শোনা যাচ্ছে মা চিকিৎসার জন্যে দেশের বাইরে যাবে। কোলকাতায় গিয়ে জলদি জলদি অপারেশনটা করানো দরকার। বাবা এ ব্যাপারটা নিয়ে ছোটাছুটিও করছে বিস-র। পীর ফকিরের চিকিৎসাও অবশ্য থেমে নেই। নতুন নতুন ফকির আজব সব কেরামতি দেখায়।
বাড়িতে কিছুদিন আরামসে খেয়ে দেয়ে মায়ের চিকিৎসার কোন উপায় বের করতে না পেরে বিদায় নেয় আবার।
প্রমার কোলকাতায় যাওয়ার উপায় নেই। সামনে পরীক্ষা। নানুই ওকে দেখেটেখে রাখবে। বালক প্রথম বারের মত দেশের বাইরে যাবে।
আজব সব মানুষ দেখবে। অচেনা ভাষায় কথা বলা শুনতে পাবে। এসব ভাবনা ভাবতে ভাবতে তার আজকাল ঘুমই হয়না। রাতভর প্রশ্ন করে জ্বালায় নানুকে। ভীনদেশের মানুষগুলো কেমন?তাদের কি মুলোর মত কান?আমাদের মত তারাও কি ভাত খায় এমন প্রশ্নগুলো যেন শেষই হতে চায়না।
গরুর জাবর কাটার মত করে পান চিবোয় নানু সারাদিন। আর জানুন না জানুক হাসতে হাসতে নাতির প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর দেয় সে। নানুকে প্রমারও খুব পছন্দ। উকুন বেছে দেওয়া আর জট পড়া চুল ছাড়ানোর কাজটা খুব ভালোই করে এই বুড়ি।
শুক্রবার ছুটি মেলে।
বাবা শিক্ষদেরকে আসতে নিষেধ করে দিয়েছেন এ দিনে। সবসময় শাসনের মাঝে রাখা ভালো না। বালক মহা খুশি। সপ্তাহ শেষে একটা দিন খেলার সুযোগ পায়। তিলের খাজা খেতে খেতে সে ছুটে যায় মাঠে।
সপ্তাহভরে ঘটে যাওয়া গল্পগুলো শোনে বন্ধুদের কাছে। এর মাঝেই একটা দুঃসংবাদ। এলাকায় কারেন্টের কাজ চলে কদিন পর পর। তারই এক বন্ধু বাজি ধরে তার ধরতে দিয়ে শক খায়। হারায় পা।
তারপর থেকে এই বড় ছেলেটা মায়ের কোলে কোলে থেকেই চলাফেরা করে। ব্যাপারটা পুরনো। দুরন- ছেলেটার দুরন-পনা থেমেছে আজ অনেকদিন। নতুন ব্যাপারটা হল ছেলেটা আর বেঁচে নেই। ভালোই হয়েছে।
বোঝা না থাকাই ভালো। বালকের অবশ্য এসব জিনিষ ভুলতে সময় লাগেনা। এ দিনে সে মুক্ত। এ দিন বন্ধুদের সাথে মারামারির দিন.খেলার দিন,আনন্দের দিন। তাইতো সন্ধ্যে নামলেও ঘরে ফেরেনা বালক।
দুর থেকে শোনা যায় তার কন্ঠ। ইচিং বিচিং ছিছিং ছা পোজ্জ্বাপতি উড়ে যা। পোজ্জ্বাপতি হয় বালক...।
(চলবে......)
* পুরনো লেখা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।