একসময় দেখলাম, সবই কল্পনা, বাস্তবতায় শূন্য পৃথিবী। ট্যাঁশ গরু গরু নয়, আসলেতে পাখি সে ;
যার খুশি দেখে এস হারুদের আপিসে ।
চোখ দুটি ঢুলু ঢুলু, মুখখানা মস্ত,
ফিট্ফাট্ কালোচুলে টেরিখানা চোস্ত ।
তিন-বাঁকা শিং তার, ল্যাজখানি প্যাঁচান-
একটুকু ছোও যদি, বাপ্রে কি চ্যাঁচান !
লট্খটে হাড়গোড় খট্খট্ ন'ড়ে যায়,
ধম্কালে ল্যাগ্ব্যাগ্ চমকিয়ে প'ড়ে যায় ।
বর্ণিতে রূপ গুণ সাধ্য কি কবিতার,
চেহারার কি বাহার- ঐ দেখ ছবি তার ।
ট্যাঁশ গরু খাবি খায় ঠ্যাস্ দিয়ে দেয়ালে,
মাঝে মাঝে কেঁদে ফেলে না জানি কি খেয়ালে ;
মাঝে মাঝে তেড়ে ওঠে, মাঝে মাঝে রেগে যায়,
মাঝে মাঝে কুপোকাৎ দাঁতে দাঁত লেগে যায় ।
খায় না সে দানাপানি- ঘাস পাতা বিচালি
খায় না সে ছোলা ছাতু ময়দা কি পিঠালি ;
রুচি নাই আমিষেতে, রুচি নাই পায়সে
সাবানের সুপ আর মোমবাতি খায় সে ।
আর কিছু খেলে তার কাশি ওঠে খক্খক্,
সারা গায়ে ঘিন্ ঘিন্, ঠ্যাং কাঁপে ঠক্ঠক্ ।
একদিন খেয়েছিল ন্যাক্ড়ার ফালি সে-
তিন মাস আধমরা শুয়েছিল বালিশে ।
কারো যদি শখ্ থাকে ট্যাঁশ গরু কিন্তে,
সস্তায় দিতে পারি, দেখ ভেবে চিন্তে ।
-সুকুমার রায় ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।