নিঝুম রাতে, একটি টিনের ঘরে একা, বাইরে খুব বৃষ্টি হচ্ছে , বৃষ্টির শব্দ আমাকে জাগিয়ে রাখে অনেকক্ষন গত কয়েক দিবস ও রজনী যাবত ভক্তকুলের আহব্বানে গঞ্জিকা বাবা তার সাঙ্গ পাঙ্গ লইয়া বঙ্গ দ্বীপে মাঠে তাম্বু খাটাইয়া রাত্রি যাপন করিতেছে। আর সারা দিন এর গাছের কলাটা ওর মাঠের মুলাটা খাইয়া নিজের চর্বিত গতরে হাত বুলাইয়া আয়েশে ডেকুর তুলিয়া গঞ্জিকা সেবনে মগ্ন।
প্রভাত হইতেই তাহার চেলা বেলাগন জোট বাধিয়া বাবার চারপাশে ঘোরাঘুরি করিতেছে কখন তিনি বিছানা ত্যাগ করিয়া উঠিবেন সেই ফাকে তাহারা একটু তামাকে সুখ টান দিবে ।
কিন্তু গঞ্জিকা বাবার প্রাতরাশ করিবার তেমন আগ্রহ লক্ষ্য না করিয়া ভক্ত কূল নিরাশ হইয়া পরিতেছিল। বিশেষ করিয়া বোদাই ইত্য বৎসরে সে বাবার সাথে থাকিয়া গঞ্জিকা সেবনে যথেষ্ট এক্সপাট হইয়াছে ।
কিন্ত মাঠে অবস্থান কালে বাবা তাহার আসন ছাড়িয়া গত কয়েক দিন নড়াচড়া করে নাই ।
তিনি একাধারে পরম নিষ্ঠার সহিত একেক টান মারে আর বোদাই ও তার সাঙ্গ পঙ্গ গন নিরাসক্ত মুখে এদিক ওদিক চাহিয়া বাবার কলকের দিকে তীর্থের কাকের ন্যায় তাকায় এই বুঝি বাবা কহিল ‘নে এক ছিলিম, টান মেরে দে’। কিন্তু কোথায় কি, কোন হারাম জাদা যেন এট্রু পর পর পায়ু পথে একখানা বায়ু নির্গমন করিয়া পরিবেশ দূষনে ব্যাপুক ভুমিকা রাখিতেছে তাহার মাঝে নাক চাপিয়া ধরিয়া বোদাই ও চেলাবেলা গন বসিয়া আছে।
বোদাইয়ের সচকিত চাহনি আর তীর্থের কাকের ন্যায় দৃষ্টি দেখিয়া বাবা তাহার দিকে বত্রিশ দন্ত বার করিয়া কহিল ‘বুঝলিরে।
বোদাই কহিল হা, হা বাবা বিস্তর বুঝিয়াছি।
সকলে হুযুগের সাথে তাল মিলাইয়া কহিল বিলক্ষন বাবা কহিয়াছেন আর আমরা বুঝিব না । সেকি কষ্মিনকালেও হয়েছে। অবশ্যই বুঝিয়াছি, যেই ব্যাটা কহিবে বুঝি নাই উহার দাত কপাটি সুদ্ধ আজ তুলিয়া ফেলিব।
বোদাই এইবার একটু উৎসাহ পাইয়া কহিল বাবা, ইয়ে মানে কচ্ছিলাম কি এবার না হয় একটু সেরেই আসতেন।
বাবা কহিলেন হমমম, যাইবো বলিয়া ভাবতেছিলাম ।
তয় বিষয়টা বুঝতে পারছিস ।
বোদাইর তখন সেই বিকট দূগন্ধের উৎস সন্ধানে ব্যাস্ত পারে তো সবার াছার কাপড় তুলিয়া দেখে । এই বিকট গন্ধের উৎসের অধিকারী কে?
সে কোন রকমে কহিল নাক চাপিয়া ঘার কাত করিল।
এই সময় বিকট শব্দের একখানা মিসাইল ত্যাগ করিল কেহ উৎকট গন্ধ চারিপাশে বিমোহিত হয়ে উঠল। গঞ্জিকা বাবা কহিল ভাবিতেছিলাম আর এট্রু পরেই যাইবো ।
বোদাই এই উৎকট গন্ধযুক্ত মিসাইল আর সহ্য করিতে না পাড়িয়া প্রাত কালে প্রাত ক্রিয়াদি সম্পন্ন করার উপ্রে একটা ছোটখাট লেকচার ঝাড়িয়া ফেলিল এমনকি ইহাতে দেড়ি হুইলে কোষ্ঠকাঠিন্য হইতে শুরু করিয়া পাইলস, এইচআইভি এইডস পর্যন্ত হইতে পারে বলিয়া সন্দেহ প্রকাশ করিল ।
সকলের মাঝে গুজ্ঞন শুরু হইয়া গেল প্রাত কালে যাহারা প্রাতরাশ না করে তাহাদের এইচআইভি এইডস হইতে পারে । কয়েকজন পড়ি মড়ি করিয়া জঙ্গলে ছুটিয়া গেল । কেহ কেহ জায়গা না পাইয়া লজ্জা শরমের মাথা খাইয়া মাঠের এক চিপায় বসিয়া পরিল ।
এমন সময় ভিষন শব্দে সকলে দৃষ্টি বাবার দিকে গেল দেখিল বাবা তাহার াছার কাপড় উসকাইয়া জঙ্গলের দিকে দৌড়াইতেছে কিন্তু কেহ কিছু কহিবার পূর্বেই বাবা চেচাইয়া কহিল
‘হারামজাদা সকল আমার ে ওড়া বুঝছস গত কল্য হইতে কোন ােদনা জানি আমার ঘটি লইয়া গুম হইয়া গিয়াছে, সেই সময় হইতে চাপিয়া রাখিয়াছি ।
বোদাই সেদিকে তাকাইয়া মনের সুখে কলকেতে টান দিল আর ধুম্রশলাকা ছাড়িয়া কহিল ভোগেই নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ।
(চেয়ারম্যান০০৭ সহ যারা এই ব্লগখানা পড়িবেন তাদের সকলকে উৎসর্গ করা হল) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।