আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার গঞ্জিকা সেবনের ইতিহাস মাইরি বলছি এইটা কিন্তুক ইতিহাসই বটে

একজন ইউনুস খান বেঁচে থাকতে চান গণ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং উদ্যেগ গ্রহণের মাঝে।

আমাদের বাজারে গঞ্জিকা সেবনের বেশ কয়েকটি স্পট ছিলো। এর মাঝে পশর চাচার স্পট টাই মনে হয় সবচেয়ে বড় এবং জনপ্রিয় ছিলো। গাঁঞ্জারে এইরকম গঞ্জিকা বলতে ভালো লাগতেছেনা, তাই লিখনিতে গাইঞ্জ্যা লিখতাছি । তা আমার গাইঞ্জ্যা সেবনের ইতিহাসটা বলা শুরু করি--------- আব্বা তখন চেয়ারম্যান।

সন্ধার সময় আব্বার সাথে আমি বাজারে গেলাম বনরুটি এবং মিষ্টি খাওয়ার জন্য। খাওয়া আব্বা আমারে জিজ্ঞাসা করলো একলা একলা বাসায় যেতে পারবো কিনা? আমি হ্যাঁ বলে আব্বাকে রেখে চলে আসলাম। কিন্তু আমি বাসায় না গিয়ে সোজা পশর চাচার গাইঞ্জ্যা সেবনের স্পটে গিয়ে হাজির। সবাই গোল হয়ে বসে আছে। আমিও তাদের মধ্যে একবৃত্তাকারে বসে পড়লাম।

আমারে মনে হয় খুপি বাতির মাঝে কেউই খেয়াল করেনি। যাই হোক গাইঞ্জ্যার কলকি এ হাত ও হাত ঘুরে যখন আমার সিরিয়ালে আসলো আমি তখন ঐটা হাতে নিলাম। তখন সবার দৃষ্টি পড়লো আমার দিকে। সবাইতো হায় হায় করে উঠলো। পশর চাচা বলছে ঐ ওর হাত থেকে এইটা নেনা? তোতা মেম্বার এইটা আমার কাছ থেকে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করতেই আমি বললাম আমি টান না দিয়ে দিবোনা, বলে কলকিতে জোড়ে ধরে রাখলাম।

উনারা আবার টানও দিতে দিচ্ছেনা। আমি তখন বললাম টান না দিতে দিলে আমি চিৎকার করে আব্বারে ডাক দিবো। এইবার সবার টনক নড়ছে। পশর চাচা বলতাছে ঐ কিছু করিসনা চেয়ারম্যান শুনলে খবর আছে। আমি বিজ্ঞের মতো করে একটা হাসি দিলাম ।

সবাই আমার দিকে তাকাইয়া আছে। সে এক কঠিন সিন । আমি টান দেই দেই করেও দিচ্ছিনা। শেষে যখন টান দিলাম তখন কাশতে কাশতে শেষ। আমার কাশী শুনে আব্বা দৌড়াইয়া আসলো এবং বুঝতে পারলো ছেলে বড় লায়েক হয়েছে।

সবার কাছে সব শুনে ওদেরকে বকাঝকা করে আমারে কানে ধরে বাসায় নিয়ে গেলো । [একটা জিনিস উল্লেখ না করলেই হচ্ছেনা যে আমার বয়স ছিলো তখন তিন মাঝে মাঝে আব্বা আম্মা এই ঘটনা শুনিয়ে আমাকে চরম ভাবে বেইজ্জতি করে ]

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.