দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম
হুমায়ূন আহমেদ বাংলা কথাসাহিত্যের এক জীবন্ত কিংবদন্তি। সমকালীন বাংলা সাহিত্যে তার মতো তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তা অন্য কারও ক্ষেত্রে আমরা লক্ষ্য করি না। তিনি শুধু জনপ্রিয়ই নন, নন্দিতও বটে। সৃষ্টিশীলতার বিচিত্র পথে তার পদচারণা। কথাসাহিত্যের প্রায় সব শাখাই তার জাদুকরী স্পর্শে দ্যুতিময় হয়ে উঠেছে।
গল্প, উপন্যাস, ভ্রমণোপ্যাখ্যান, আজৈবনিক, রম্য রচনা কিংবা শিশুতোষ রচনা, যেখানে হাত দিয়েছেন সোনা ফলেছে সেখানে। হুমায়ূন আহমেদের বিশাল সাহিত্য ভাণ্ডারের খানিকটা এরই মধ্যেই ইংরেজি, জার্মান, ফার্সি ও হিন্দি ভাষা অনূদিত হয়েছে। তবে এগুলো প্রায় সবই প্রকাশিত হয়েছে দেশ থেকে। ২০১০ সালে মস্কো থেকে রুশ ভাষায় প্রকাশিত হয় তার সবচেয়ে জনপ্রিয় হিমু-সিরিজের তিনটি উপাখ্যানের সংকলন। রুশ পাঠকরা এর মধ্য দিয়ে পরিচিত হন বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকের সঙ্গে।
এবার জাপানি ভাষার পাঠকরা পরিচিত হচ্ছেন এ নন্দিত কথাসাহিত্যিকের রচনার সঙ্গে। টোকিও থেকে জাপানি ভাষায় অনূদিত হয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত হল হুমায়ূন আহমেদের শিশুতোষ গ্রন্থ ‘বনের রাজা’। আমাদের শিশুসাহিত্যে হুমায়ূন আহমেদের অবদান বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। শিশুসাহিত্যে তার রচনাও কম নয়। শিশু-কিশোরদের কথা আলাদাভাবে মনে রেখে তাদের জন্য নিয়মিত লিখে চলেছেন তিনি।
সমকালীন সাহিত্যিকদের মধ্যে শিশু-কিশোরদের উপযোগী গ্রন্থের সংখ্যা তারই সবচেয়ে বেশি।
জাপানি ভাষায় ‘বনের রাজা’ গ্রন্থটির নামকরণ করা হয়েছে ‘মরি নো ওসামা’। এটি অনুবাদ করেছেন জাপানের রিক্কীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঙালি অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন জমাদার। প্রকাশনা ব্যবস্থাপনায় অধ্যাপক ড. কাসাহারা কিয়োশি। গ্রন্থটির প্রচ্ছদ ও ভেতরের অলংকরণের জন্য কাঠের ওপর খোদাই করে বনের বিশ ধরনের পশুপাখির স্কাল্পচার তৈরি করেছেন রিক্কীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক চ্যান্সেলর অধ্যাপক ওহাশি হিদেইৎসু।
আলোকচিত্রের কাজ করেছেন ওহাশি তসিইয়ুকি। বুক ডিজাইন করেছেন শিহারা ইউমিকো। বইটি প্রকাশ করেছে জাপানি প্রকাশনা সংস্থা ইউইগাকুশোবো (YUIGAKUSHOBO)| এরই মধ্যে বই বিক্রির বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ওয়েবসাইট htp://www.amazon.co.jp ও অন্যান্য মাধ্যমে ‘মরি নো ওসামা’ বইয়ের বাজারজাত শুরু হয়েছে।
তথ্যসূত্র-
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।