বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ
পুরনো পুকুরে
ব্যাংয়ের বয়স বাড়ছে
ঝরা পাতার মাঝখানে।
এরকম তিন লাইনের জাপানি কবিতাকে ‘হাইকু’ বলে। জাপানি কবি ইওসা বুসন এর সময়কাল ১৭১৬ থেকে ১৭৮৩ খ্রিস্টাব্দ।
তাঁর হাইকুগুলো সারা বিশ্বেই জনপ্রিয়।
ইওসা বুসন-এর লেখা একুশটি হাইকু -
পা ফেলতে কষ্ট
শোয়ার ঘরে
আমার মরা বউয়ের চিরুনির ওপর।
পুরনো কুয়ায়
মাছির ওপর ঝাঁপ দিল মাছ।
জলের শব্দ কালো।
কাকের পর কাক
বসছে
হেমন্তের গোধূলিতে।
কী ঠান্ডা
দুপুরের ঘুম,
দেয়ালে ঠেকিয়ে পা।
মন্দিরের ঘন্টার ওপর
একটি প্রজাপতি
ঘুমায়।
প্রতিটি কাঁটার ওপরে
এক ফোঁটা
সাদা শিশির।
শীত রাত:
রুপালি চাঁদের
পাতলা ফিনকি।
ভাত তুলি
লেখার ব্রাশ থেকে
দাঁত দিয়ে।
পশ্চিমে উজ্জ্বল চাঁদ।
চেরিগাছের ছায়া
ঝুঁকে রয়েছে পুবে।
অর্ন্তবাস পরিনি,
হঠাৎ বসন্তের বাতাসে উদোম
আমার পাছা।
পেয়ারা গাছে কুঁড়ি এসেছে,
একজন নারী চিঠি পড়ছে
চাঁদের আলোয়।
ছোট রাত:
রোমশ শুঁয়োপোকার ওপরে
শিশিরের মালা।
বিদ্যুতের চমক।
ড্রিপ, ড্রিপ
বাঁশের ফাঁকে শিশির।
তিমির ডুব,
লেজ
উঠছে তো উঠছেই!
ভোরের বাতাসে
কাঁপছে
শুঁয়োপোকার চুল।
বসন্ত সমুদ্র,
রাতদিন, দুলছে
দুলছে।
মাছ ধরার জাল
আর নৌকাগুলো এড়িয়ে,
পানির ওপর চাঁদ।
তাল গাছের সুঘ্রান
ঘন।
চাঁদের চারপাশে বলয়।
পামের লাল ফুল
জ্বলছে
ঘোড়ার ডাক।
ঠান্ডা সকাল।
ঘন্টার স্বর
ঘন্টাকে ছেড়ে যাচ্ছে।
পুরনো পুকুরে
ব্যাংয়ের বয়স বাড়ছে
ঝরা পাতার মাঝখানে।
(ইওসা বুসন-এর এই হাইকুটি জাপানের শ্রেষ্ঠ হাইকু কবি মাটসুয়ো বাশহোর একটি হাইকুর ভিন্ন উপস্থাপনা বা ভ্যারিয়েশন। কবি মাটসুয়ো বাশহোর হাইকুটি এরকম-
একটি ব্যাং লাফ দিল
প্রাচীন পুকুরে
-প্লপ!
)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।