সোনার হরিনের পেছনে ছুটছি। গতকাল দেশ থেকে ঢাকাতে ফিরলাম। আমার ছোট ভাইয়ের এই মোলাইল প্রেমের বিচার শেষ করে। আমার জীবনে এত খারাপ সময় আর আগে কখনও আসে নাই। আমি এই বিষয়টা নিয়ে মানষিক ভাবে অনেক বিপর্যস্ত।
আমি একদম ভেঙে পড়ছি। তাহলে ঘটনাটা বলি। আমার ছোট ভাই এবার এস এস সি পরীক্ষা দিয়েছে। ও স্টুডেন্ট হিসেবে অনেক ভাল। পনচম এবং অস্টম উভয় শ্রেণিতে ও বৃত্তি পেয়েছে।
আমি তো ওকে নিয়ে অনেক কিছু আশা করি। ও হয়ত সত্যি সত্যি একদিন ডাক্তার ইন্জিনিয়ার হবে। তাই কখনও ওর কোন চাওয়া আমরা অপূরণ রাখি না। যখন যা চায় তাই দেওয়ার চেষ্টা করি। আমার বাবা মা এবং বড় ভাই হিসেবে আমি ওকে অনেক ভালবাসি।
যাহোক দশম শ্রেণিতে উঠার পর ও মাল্টিমিডিয়া মোলাইল চায়। আমি ওকে অনেক ভাল মোবাইল কিনে না দিয়ে আমার ব্যবহার করা মোবাইলটা ওকে দিয়ে দেই। এবং আমি আরেকটা ভাল মোবাইল সেট কিনি। এই মোবাইলের মাধ্যমেই আমি মাঝে মাঝে ওকে অনেক উপদেশ দেই। কিভাবে স্টাডি করতে হবে সে সম্পর্কে আমি সবসয়ম ওকে বলতে খাকি।
যাহোক কিছুদিন আগে মানে ওর এস এস সি পরীক্ষা শুরু হওয়ার আট নয় মাস আগে ও মোবাইলে একটা মেয়ের সাথে কথা বলা শুরু করে। মেয়েটার সাথে ওর মোটামুটি সস্পর্ক হয়ে যায়। মেয়েটা কলেজে পড়ে। কথা বলতে বলতে ওরা একসময় ঠিক করে ওরা দেখা করবে। তারপর ওরা একসময় দেখা করে।
মেয়েটা সুন্দর হওয়ায় আমার ছোট ভাইয়ের তাকে পছন্দ হয়। কিন্তু আমার ছোট হওয়ায় মেয়েটি ওকে পছন্দ করে না। এই নিয়ে ওদের মধ্যে নাকি ঝগড়া হয় । মেয়েটি ওর সাথে কখা বলতে না চাইলেও ও জোর করে কথা বলতে চায়। মেয়েটা যখন ওদের সম্পর্ককে প্রক্ষান করে তখন আমার ছোট ভাই মেয়েটার উপর প্রতিশোধ নিয়ে চায়।
আমার ছোট ভাই তখন জানত মেয়েটা কোথায় থাকে। তার ও এক লিটার পেট্রল কিনে ওই মেয়ের বাড়ির কাছে যায়। ওর উদ্দেশ্য ও মেয়েটির ঘরে পেট্রল ঢেলে মেয়েটিকে পৃড়িয়ে মেরে ফেলবে। কিন্তু ওর উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়। কারন ও মেয়েটির বাড়ি না চিনে অন্য বাড়িতে ঢুকে পড়ে এবং ওই বাড়ি ওয়ালা ওকে ধরে ফেলে।
ও অনেক ছোট বলে ওউ এলাকার লোকজসন ওকে না মেরে আমাদের বাড়িতে খবর দেয়। তারপর আমাদের বাড়ি থেকে লোকজন গিয়ে ওকে ছাড়িয়ে আনে। এই ঘটনার পরের দিন আমি বাড়িতে গিয়ে ওকে অনেক মার দিছি। আমি জানিনা ও এখন কেমন রেজাল্ট করতে পারবে? তবে আমার মনে হয় না যে ও ভাল রেজাল্ট করতে পারবে। যাহোক আমি গতকাল ঢাকাতে ফিরছিলাম।
ন্যাশনাল ট্রাভেল্সে আসতেছিলাম। আমার সিট পড়ছিল জানালার পাশে। আমি খুব উদাস মনে মোবাইলে গান শুনতে শুনতে জানালার বাইরের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। এমন সময় দেখলাম রাস্তার পাশের একটি স্কুল ছুটি হইছে। সম্ভবত স্কুলটি ছিল গার্লস স্কুল।
মেয়েরা দলে দলে রাস্তার পাশ দিয়ে হাটছে। এবং আমি স্পষ্ট দেখলাম দুই তিন জোরা স্কুল পড়ুয়া মেয়ে মোবাইলে খুব হাসিখুশি ভাবে কথা বলতে বলতে যাচ্ছে। আমি ওই মেয়েদের কথা বলার স্টাইল দেখে বুঝতে পারলাম। তারা নিশ্চিৎ কোন ছেলের সাথে কথা বলছে। এই হলো স্কুল পড়ুয়া ছেলে মেয়েদের হাতে মোবাইল এবং তাদের অবস্থ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।