দেখিয়া শুনিয়া চরম বিরক্ত
দেশে কোন অবৈধ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে ফুলে ফেঁপে ব্যবসা করতে থাকলে তা শুরুতেই নির্মূল করার দায় সরকারের। সরকার যদি যুবককে বন্ধই করে দিবে, তাহলে সরকারের প্রথমেই উচিত ছিলো যে কাজটি করা তা হলো যুবকের কাছ থেকে তাদের সমস্ত আমানত কারীদের হিসাব কিতাব বুঝে নিয়ে, পাই পাই করে সরকারের নিজ তহবিল থেকে তা সকল আমানতকারীদের যথাযথভাবে পরিশোধ করে দেওয়া। পরে সরকার কিভাবে যুবকের কাছ ওই টাকা আদায় করে নিবে পুরোটাই সরকারের মাথাব্যথা। সব আদায় করতে পারলে তো ভালো কথা, আর সব আদায় করতে না পারলে যেটুকু অনাদায়ী থেকে যাবে তা সরকারর নিজের আক্কেল সেলামী হিসাবে গন্য করতে পারে। কিন্তু দুঃখের বিষয় সরকার তা করেনি।
আর করেনি বলেই আজকেই নিরীহ স্কুল শিক্ষক দীপক দত্ত আজ মৃত। তার স্ত্রীর রোনাজারীতে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত।
আর এই সমস্ত যত মৃত্যু ঘটছে বা ঘটবে তার সমস্ত দায়ভার সবটুকু বহন করতে হবে এই সরকারকেই। ধুম ধাম করে যুবক বন্ধ করে দিয়ে সরকার সর্বমহল থেকে নগদে বাহবা কুড়িয়েছে সত্য, কিন্তু যুবক বন্ধ করার সময় সরকার কখনই প্রেডিক্ট করার চেষ্টা করেনি কি হতে পারে এর পরিণাম!আফসোস, সরকার একটু ও বোঝার চেষ্টা করল না যে শুরুতে ব্যবস্থা না নিয়ে পরে ফুলে ফেঁপে মহীরুহ হয়ে যাওয়া একটি অর্থনৈতিক লেনদেন কারী সংগঠনকে হঠাৎ করেই বন্ধ করে দেওয়া যায় না এবং তা করলে এইসব মৃত্যুসহ আর অন্য হাজারটা অনাকাংখিত ঘটনা ঘটতে পারে।
যাই হোক অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সরকারের মাথায় এখন কিছু কিছু জিনিস ঢুকছে।
আর এই বুঝের কারনেই সরকার উপর এত মহলের এত দিক থেকে চাপ / চারিদিকে এত লেখালেখি/ অর্থমন্ত্রীর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এত তর্জন গর্জনের পরেও সরকার ডেস্টিনির বিরুদ্ধে যুবকের মতই "চাহিবা মাত্রই ব্যবস্থা" নিতে পারছে না। প্রকারান্তরে ঘটাচ্ছে শুধু কালক্ষেপণ, কালক্ষেপণ আর কালক্ষেপণ।
ডেসটিনি বন্ধ করার পরে তার পরিবর্তীত পরিস্থিতি সরকার যদি হ্যান্ডেল করতে না পারে তা দেশে আর একটি দূর্যোগের জন্ম দিবে। আর আমার হিসাবমতে তা হবে যুবকের থেকে ভয়াবহ।
যুবকের অর্থ আত্মসাৎ: মোরেলগঞ্জে স্কুলশিক্ষকের আত্মহত্যা ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।