দেশটা আমাদের। এর জন্য ভাল কিছু করতে হলে আমাদেরই করতে হবে। Mail:rabiul@gmail.com কেঊ যদি চান যে আপনার ভাই কে পাগলে পরিনত করবেন বা কেউ নিজের ভাইকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে চান বা সমাজের জন্য অবহনযোগ্য বোঝা তৈরী করতে চান তাহলে খুব সুন্দরভাবে নিচের শর্তগুলো পূরন করতে বলবেন। লক্ষ্য আপনার ১০০% সফল হবে এই ব্যপারে নিশ্চিত থাকুন।
১।
প্রথমত তাকে মাদ্রাসায় কামিল পর্যন্ত পড়তে হবে।
২। দাখিল পাস করার প্র থেকেই যেহেতু তার জ্ঞান অপরুপ বৃদ্ধি পাবে তাই তখন থেকেই সঠিক ইসলামী দল কোনটি হবে সে ব্যপারে খোজ নেয়া শুরু করতে বলুন। তা নাহলে সঠিক ফল পাওয়ার পর (মানে পাগল হওয়ার পর)তাকে ওই পথ থেকে ফেরত এনে পূনরায় কাযে লাগানোর মত পরিস্থিতি থাকবে না।
যেভাবে পরীক্ষা শুরু করবেন ঃ ভাই এই দেশে ইসলামী দল(রাজনৈতিক এবং অরাজনৈতিক) মনে হয় আমার মাথার চুলের চাইতেও বেশী।
দাখিল পাস করার পর যেহেতু মন তখন নরম থাকে তখনই তাকে ইসলামী দলে যোগ দেয়ার জন্য আহবান জানান। যেহেতু সে দাখিল পাশ তাই কিছু এই ব্যপারে আপনি ইসলামের অনেক সমধুর বানী তার সামনে পেশ করুন। টার্গেটকে যে দলকে তার নিকট সঠিক ইসলামী দল বলে মনে হয় সে দলেই যোগ দিতে বলুন। ব্যস টার্গেট এর উপর আপনার পরীক্ষার ফলাফল পযবেক্ষন করতে থাকুন।
কিভাবে বুঝবেন কাজ শুরু হয়েছে ঃ যেহেতু ইসলামী যত দল তত মত।
কোন ভাবেই সে সঠিক দলটাকে পাচ্ছেনা তাই সে মোটামুটি বিভ্রান্ত। যে দলেই সে ঢুকবে অন্য ইসলামী দলের লোকেরা তখন ওই দলের কে কে হারাম কাজে লিপ্ত,কেন সে দল ভাল না সেই সব বলা শুরু করবে। দলের গভীরে ঢুকলে সে দলের লিডারদের ওইসব হারাম কাজেও সে দেখতে পাবে। আপনি যখন দেখবেন টর্গেট কখনো বুকে হাত দিয়ে নামাজ পড়া শুরু করেছে ,কখনো এলাকার মসজিদের ঈমামের পিছনে নামাজ পড়া হারাম বলে আলাদাভাবে নামাজ পড়া শুরু করেছে,কখনো দেখবেন রোজার মাসে একদিন আগে থেকেই রোজা রাখা শুরু করেছে ,কখনো দেখবেন ঠিক টাইমেই রোজা রাখছে ,কখনো দেখবেন একদিন আগেই ঈদ করা শুরু করেছে,কখনো দেখবেন দলীয় লোকেরা মিলে আলাদাভাবে জুমার নামাজ আদায় করছে, কখনো মুনাজাত করা হারাম বলে ফতোয়া জারি করবে এবং ওই মসজিদে নামাজ পড়াই হারাম বলে ঘোষনা দিয়ে বসবে,নতুন একটা দলই গঠন করে ফেলতে পারে,এমনকি হঠাত কোন সিগনাল ছাড়াই বিয়ে করে ফেলতে পারে। এই সব লক্ষন দেখেই আপনি বুঝতে পারবেন আপনার টার্গেট সঠিক পথেই আছে।
অল্প কয়দিন পরেই পূর্ণাগ ফলাফল পাবেন। তবে টার্গটকে দেখবেন কখনো তার চাকরী,তার ভবিষত বা তারা মা বাবার ব্যপারে একদমই চিন্তিত না। যে মায়ের নিচে তার জান্নাত,যে মা বাবা তাকে এত আদর যত্ন করে এত দুর পযন্ত পড়ালেন তাদের সুখ দুঃখ দেখার সময় টার্গেট এর নেই। কারণ ততদিনে সে পুরোই পাগলে পরিণত হয়েছে। এই সময় একমাত্র আল্লাহর রহমত ছাড়া তাকে পুণরায় পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।
কোন ডাঃ দিয়েও কোন কাজ হবে না।
এখন যে কেঊ আমার এই পরীক্ষার সত্যতা চ্যলেঞ্জ করতেই পারেন তাদের বলব একটু আসরের নামাজের পর বায়তুল মোকারম ঘুরে আসতে। মাদ্রাসা পড়ূয়া যে কারো উপর এই পরীক্ষা চালাতে পারেন তবে শর্ত হলো তাকে কামিল পযন্ত পড়লেখা করতেই হবে। কেউ যদি কামিল পযন্ত পড়ল বাট ইসলামী দল করলনা সে এই গ্যঞ্জাম থেকে বাচবে। আবার কেঊ মাদ্রাসায় পড়ল না বাট সঠিক ইসলামী দলের খোজ করে সে এই বিপদে পড়লেও পড়তে পার আবার নাও পড়তে পারে।
তবে দুই শর্তপূরণ করলে নিশ্চিত সে তার মা বাবা,তার নিজের পরিবার,তার সমাজের জন্য কঠিন সমস্যা হয়ে দাড়াবে।
আমার এই লেখার উদ্দেশ্য মোটেও ইসলামের বিরুদ্ধে না । ইসলামী দলগুলোর সাথে না মিশে ইসলামের বইসমূহ পড়ুন। নিজের যতটুকু সম্ভব পালন করুন আর নিজের মা বাবার কষ্টগুলোকে একটু মনে অনূভব করুন এবং তাদের প্রতি সঠিক দায়িতটুকু পালন করুন। আল্লাহ হাফেজ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।