আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লোডশেডিং তাড়াবে ‘পকেট সুইচ’

হেলাল এম রহমান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম লোডশেডিংয়ে আক্রান্ত বাংলাদেশ। বিদ্যুতের উৎপাদন যাই হোক, বিদ্যুতের অপচয়ের কারণে প্রতিনিয়ত আমাদের পোহাতে হচ্ছে লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি। হয়তো আপনি যখন এই লেখাটি পড়ছেন, তখন আপনার অজান্তে আপনার বাসার/অফিসের কোনো লাইট-ফ্যান অপ্রয়োজনে চলছে। কিন্তু আপনি কাছাকাছি না থাকার কারণে লাইট-ফ্যানটি বন্ধ করতে পারছেন না। আর ঠিক এ সময়ে হয়তো একজন পরীক্ষার্থী বিদ্যুতের অভাবে পড়তে পারছে না অথবা অপারেশন থিয়েটারে একজন রোগীর অপারেশন থেমে গিয়েছে।

অকারণে জ্বলার কারণে যে বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে সেক্ষেত্রে একটু সচেতনতাই পারে আমাদের প্রতিনিয়ত লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা থেকে রেহাই দিতে। ঠিক এ কাজটিই সহজ করার প্রত্যয় নিয়ে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) অনুষদের শেষ বর্ষের ৮ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা তৈরি করেছে ‘পকেট সুইচ’। এক্ষেত্রে আপনার পকেটের মোবাইল ফোনই হতে পারে আপনার সুইচ। অর্থাৎ, আপনি উইন্ডোজ সাপোর্টেড মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন আপনার বাসা/অফিসের যে কোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি। এড়াতে পারবেন ভয়াবহ দুর্ঘটনা।

এমনকি আপনি জেনেও নিতে পারেন, আপনার বাসার কোনো লাইট-ফ্যান অপ্রয়োজনে চলছে কিনা? পকেট সুইচটি আর কিছু নয়। এটি একটি সফটওয়্যার ভিত্তিক প্রজেক্ট যা তৈরি করেছে তিন সদস্য বিশিষ্ট টিম জিরো আওয়ার। উইন্ডোজ সাপোর্টেড মোবাইল ফোনে এ সফটওয়্যারটি ব্যবহার করার বিষয়ে দলের সদস্য রেজওয়ান বলেন, ‘লোডশেডিং থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্যই আমরা এ প্রজেক্টটি তৈরি করেছি। আমরা চাই, বিদ্যুতের অপচয় রোধ হোক। বাংলাদেশের সবাই যেন বিদ্যুতের সুবিধা পান।

বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীসহ বিদ্যুতের সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে আমরা আলো ছড়িয়ে দিতে চাই। এ প্রচেষ্টা ভিশন’২০২১ অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। ’ টিমের অন্য সদস্য মাহফুজ জানান, ‘আমাদের প্রজেক্টটি দূর-নিয়ন্ত্রিত অগ্নি-নির্বাপন যন্ত্রেও ব্যবহার করা যাবে। ’ তিন বছর আগের বসুন্ধরা সিটির অগ্নিকাণ্ডের কথা তিনি স্মরণ করিয়ে দেন। সেই অগ্নিকাণ্ডে মার্কেটটির অগ্নি-নির্বাপন ব্যবস্থা থাকার পরেও তা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়।

যদি দূর-নিয়ন্ত্রিত অগ্নি-নির্বাপন যন্ত্র ব্যবহার করার সুযোগ থাকতো, তবে অগ্নিকাণ্ডের মাত্রা এতোটা ভয়াবহ হতো না। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা আমাদের এ ‘পকেট সুইচ’ তৈরির প্রেরণা জুগিয়েছে। ’ প্রজেক্টটি তৈরিতে কেমন খরচ পড়বে, এর উত্তরে টিমের আরেক সদস্য হিরা বলেন, ‘এর জন্য সব মিলিয়ে ২০০ টাকার বেশি খরচ পড়বে না। এতো অল্প খরচে বিদ্যুতের অপচয় রোধ, দুর্ঘটনা থেকে রেহাইসহ নানাবিধ সুযোগ সুবিধা আমরা পৌঁছে দেবো সবার হাতের নাগালে, যা সত্যি কল্পনাতীত!’ ‘পকেট সু্‌ইচ’ এর প্রযুক্তিগত দিকটি সম্পর্কে টিম জিরো আওয়ার জানান, এটি উইন্ডোজ মোবাইল ফোনের জন্য তৈরি একটি অ্যাপ্লিকেশন। এর মাধ্যমে ওয়েব সার্ভিস ও এফএম সিস্টেম ব্যবহার করে একসঙ্গে অনেকগুলো ডিভাইসকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

সিএসই অনুষদের শিক্ষক মনিবুর রহমান জানান, ‘আমাদের ছাত্ররা প্রায় দুই বছর ধরে প্রকল্পটির উন্নয়নে নিরলস কাজ করে চলেছে। আমরা আশা করি, এ টিমটি প্রযুক্তিগত সহায়তা পেলে আরো নতুন কিছু বিশ্বকে দিতে পারবে। ’ ‘মাইক্রোসফট ইমাজিন কাপ-২০১২’ এ অংশগ্রহণকারী এই দলটি বাংলাদেশের প্রায় ৩০০টিরও বেশি দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে সেরা দশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। রাজধানীর ধানমণ্ডির দৃক আইসিটি চত্ত্বরে শনিবার আয়োজিত ইমাজিন কাপ প্রদর্শনী প্রোগ্রামে দলটি তাদের যাবতীয় টেকনোলজি উপস্থাপন করবে। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে প্রদর্শনীটি।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী টিম জিরো আওয়ারের মেন্টর কামাল হোসেন জানান, ‘টিমের সদস্যদের সমন্বিত প্রচেষ্টা ও আমার সার্বিক তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে এ পর্যন্ত যতটুকু প্রাপ্তি তার পরিপূর্ণতা আসবে, যদি আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার সুফল প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দিতে পারি। এর ফলেই আমরা স্বপ্ন দেখি, সুখী সমৃদ্ধ ও আলোকিত বাংলাদেশের। যেখানে থাকবে না লোডশেডিংয়ের মতো নিত্যনৈমিত্তিক বঞ্চনা। এটাই আমাদের প্রত্যয়। ’ তিনি বলেন, ‘বাস্তবেই ‘পকেট সুইচ’ কল্পনাকে হার মানিয়ে জয় করবে বিশ্ব।

‘মাইক্রোসফট ইমাজিন কাপ-২০১২’ এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে আমাদের এ টিম। এখন শুধু অপেক্ষার পালা। ’ বাংলাদেশ সময় : ১৬৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১২ লোডশেডিংয়ে আক্রান্ত বাংলাদেশ। বিদ্যুতের উৎপাদন যাই হোক, বিদ্যুতের অপচয়ের কারণে প্রতিনিয়ত আমাদের পোহাতে হচ্ছে লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি। হয়তো আপনি যখন এই লেখাটি পড়ছেন, তখন আপনার অজান্তে আপনার বাসার/অফিসের কোনো লাইট-ফ্যান অপ্রয়োজনে চলছে।

কিন্তু আপনি কাছাকাছি না থাকার কারণে লাইট-ফ্যানটি বন্ধ করতে পারছেন না। আর ঠিক এ সময়ে হয়তো একজন পরীক্ষার্থী বিদ্যুতের অভাবে পড়তে পারছে না অথবা অপারেশন থিয়েটারে একজন রোগীর অপারেশন থেমে গিয়েছে। অকারণে জ্বলার কারণে যে বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে সেক্ষেত্রে একটু সচেতনতাই পারে আমাদের প্রতিনিয়ত লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা থেকে রেহাই দিতে। ঠিক এ কাজটিই সহজ করার প্রত্যয় নিয়ে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) অনুষদের শেষ বর্ষের ৮ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা তৈরি করেছে ‘পকেট সুইচ’। এক্ষেত্রে আপনার পকেটের মোবাইল ফোনই হতে পারে আপনার সুইচ।

অর্থাৎ, আপনি উইন্ডোজ সাপোর্টেড মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন আপনার বাসা/অফিসের যে কোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি। এড়াতে পারবেন ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এমনকি আপনি জেনেও নিতে পারেন, আপনার বাসার কোনো লাইট-ফ্যান অপ্রয়োজনে চলছে কিনা? পকেট সুইচটি আর কিছু নয়। এটি একটি সফটওয়্যার ভিত্তিক প্রজেক্ট যা তৈরি করেছে তিন সদস্য বিশিষ্ট টিম জিরো আওয়ার। উইন্ডোজ সাপোর্টেড মোবাইল ফোনে এ সফটওয়্যারটি ব্যবহার করার বিষয়ে দলের সদস্য রেজওয়ান বলেন, ‘লোডশেডিং থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্যই আমরা এ প্রজেক্টটি তৈরি করেছি।

আমরা চাই, বিদ্যুতের অপচয় রোধ হোক। বাংলাদেশের সবাই যেন বিদ্যুতের সুবিধা পান। বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীসহ বিদ্যুতের সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে আমরা আলো ছড়িয়ে দিতে চাই। এ প্রচেষ্টা ভিশন’২০২১ অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। ’ টিমের অন্য সদস্য মাহফুজ জানান, ‘আমাদের প্রজেক্টটি দূর-নিয়ন্ত্রিত অগ্নি-নির্বাপন যন্ত্রেও ব্যবহার করা যাবে।

’ তিন বছর আগের বসুন্ধরা সিটির অগ্নিকাণ্ডের কথা তিনি স্মরণ করিয়ে দেন। সেই অগ্নিকাণ্ডে মার্কেটটির অগ্নি-নির্বাপন ব্যবস্থা থাকার পরেও তা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়। যদি দূর-নিয়ন্ত্রিত অগ্নি-নির্বাপন যন্ত্র ব্যবহার করার সুযোগ থাকতো, তবে অগ্নিকাণ্ডের মাত্রা এতোটা ভয়াবহ হতো না। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা আমাদের এ ‘পকেট সুইচ’ তৈরির প্রেরণা জুগিয়েছে। ’ প্রজেক্টটি তৈরিতে কেমন খরচ পড়বে, এর উত্তরে টিমের আরেক সদস্য হিরা বলেন, ‘এর জন্য সব মিলিয়ে ২০০ টাকার বেশি খরচ পড়বে না।

এতো অল্প খরচে বিদ্যুতের অপচয় রোধ, দুর্ঘটনা থেকে রেহাইসহ নানাবিধ সুযোগ সুবিধা আমরা পৌঁছে দেবো সবার হাতের নাগালে, যা সত্যি কল্পনাতীত!’ ‘পকেট সু্‌ইচ’ এর প্রযুক্তিগত দিকটি সম্পর্কে টিম জিরো আওয়ার জানান, এটি উইন্ডোজ মোবাইল ফোনের জন্য তৈরি একটি অ্যাপ্লিকেশন। এর মাধ্যমে ওয়েব সার্ভিস ও এফএম সিস্টেম ব্যবহার করে একসঙ্গে অনেকগুলো ডিভাইসকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সিএসই অনুষদের শিক্ষক মনিবুর রহমান জানান, ‘আমাদের ছাত্ররা প্রায় দুই বছর ধরে প্রকল্পটির উন্নয়নে নিরলস কাজ করে চলেছে। আমরা আশা করি, এ টিমটি প্রযুক্তিগত সহায়তা পেলে আরো নতুন কিছু বিশ্বকে দিতে পারবে। ’ ‘মাইক্রোসফট ইমাজিন কাপ-২০১২’ এ অংশগ্রহণকারী এই দলটি বাংলাদেশের প্রায় ৩০০টিরও বেশি দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে সেরা দশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।

রাজধানীর ধানমণ্ডির দৃক আইসিটি চত্ত্বরে শনিবার আয়োজিত ইমাজিন কাপ প্রদর্শনী প্রোগ্রামে দলটি তাদের যাবতীয় টেকনোলজি উপস্থাপন করবে। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে প্রদর্শনীটি। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী টিম জিরো আওয়ারের মেন্টর কামাল হোসেন জানান, ‘টিমের সদস্যদের সমন্বিত প্রচেষ্টা ও আমার সার্বিক তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে এ পর্যন্ত যতটুকু প্রাপ্তি তার পরিপূর্ণতা আসবে, যদি আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার সুফল প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দিতে পারি। এর ফলেই আমরা স্বপ্ন দেখি, সুখী সমৃদ্ধ ও আলোকিত বাংলাদেশের। যেখানে থাকবে না লোডশেডিংয়ের মতো নিত্যনৈমিত্তিক বঞ্চনা।

এটাই আমাদের প্রত্যয়। ’ তিনি বলেন, ‘বাস্তবেই ‘পকেট সুইচ’ কল্পনাকে হার মানিয়ে জয় করবে বিশ্ব। ‘মাইক্রোসফট ইমাজিন কাপ-২০১২’ এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে আমাদের এ টিম। এখন শুধু অপেক্ষার পালা। ’ বাংলাদেশ সময় : ১৬৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১২ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.