জন্ম-মৃত্যুর মতো বিয়েও মোটামুটি সবার জীবনে যেন বর্তমান দুনিয়ার একটা অনিবার্য ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু খুবই সুখী দম্পতির দেখা পাওয়া যেন ভাগ্যের ব্যাপার। দাম্পত্য কলহে জড়ান না এমন নারী-পুরুষ আজকের দুনিয়ায় সত্যিই দুর্লভ। ব্যাপারটা যে কতটা ভয়াবহ পর্যায়ে যেতে পারে তার একটা নমুনা সম্প্রতি হাজির করেছে ব্রিটিশ পত্রিকা ডেইলি এক্সপ্রেস। নতুন এক গবেষণায় জানা গেছে, বছরে অন্তত ১৬৭ দিন ঝগড়া করেন ব্রিটিশ দম্পতিরা।
ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় হোটেল ব্রান্ড প্রিমিয়ার ইন পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে নাক ডাকা, শিশুকে বিছানায় ঘুমোতে নেওয়া, বাতি বন্ধ করা-না করা ইত্যাদি ছোট ব্যাপারকে কেন্দ্র করে বছরের অর্ধেকেরও বেশি দিন কলহে জড়ান দম্পতিরা। জীবনসঙ্গীর নাক ডাকা শব্দের প্রভাবে সপ্তাহে অন্তত দুবার ঝগড়া করেন দশের মধ্যে এক দম্পতি। ২০ শতাংশের বেশি মানুষ রাতে অন্তত দুই ঘণ্টা ঘুমোতে পারেন না এই নাক ডাকার কারণে। এমনকি এদের মধ্যে অন্তত দশ শতাংশের বিবাহ বিচ্ছেদও ঘটে যায় এই কারণে। পাঁচজনের মধ্যে একজন পুরুষ স্বীকার করেছেন, নিজেদের শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দের কারণে তারা নিজেরাও ঘুম ভেঙে জেগে ওঠে।
দাম্পত্য কলহের আরেকটি বড় কারণ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে বিছানায় খুবই শান্ত বা খুবই বেশি উত্তেজিত হয়ে যাওয়াকে। একে অপরের জন্য প্রবল আবেগ-অনুভূতির ঘাটতিই এ ক্ষেত্রে একটা বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে বলে দাবি করেছেন গবেষকেরা। প্রিমিয়ার ইন হোটেলের ক্লাইর হাইগ অবশ্য মনে করেন, বিবাহিত নারী-পুরুষ উভয়েই যদি একটু উদ্যোগী হন—তাহলে এই দাম্পত্য কলহ অনেকখানি হ্রাস করা সম্ভব। তিনি বলেছেন, ‘দম্পতিরা যেসব কারণে বেশির ভাগ সময় কলহে জড়ায় সেগুলো একেবারেই অভ্যাসের ব্যাপার। আর সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটানোর জন্য এগুলো পরিবর্তন করাও খুব সহজ।
’ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।