আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রসঙ্গ ঃ সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ড !!

স্বপনের সমাধি খোঁড়া এ জীবন ... মনের গোপন ঘরে যে শ্বাপদ ঘর করে তাকেই লালন করে চলা এ জীবন! পত্রিকায় দেখলাম, সাগর-রুনির লাশ তোলা হবে কবর থেকে; হত্যার আগে তাদের বিষ খাওয়ানো হয়েছিল কি না তা জানার জন্য। আচ্ছা, হত্যার আগে বিষ খাওয়ানো হয়েছিল কি হয়েছিল না এটা জানার সাথে খুনি ধরার কি সম্পর্ক? বেচারা! মরেও শান্তি নেই !!! এত দিনে হইত ভুলেই যেতাম, সামু’র দিন গননা থেকে জানতে পারলাম ৭৫ দিন হলো! প্রথম দিকে সাগর-রুনির হত্যাকান্ড নিয়ে বিভিন্ন ফেসবুক, ব্লগে প্রধানমন্ত্রী, এ টি এন বাংলার মালিক কে জড়িয়ে কিছু উড়ো চিঠি ছড়িয়ে বেড়াচ্ছিল। একদম পাত্তা দিইনি, এধরনের ভিত্তিহীন গুজোবকে পাত্তা দেওয়ার কোন কারণও নেই। দেশের সর্বচ্চো আসনে অধীন এক জনের বিরুদ্ধে এমন হীন গুজব, আমি বিশ্বাস করতে চাই না। কিন্তু কিছু প্রশ্ন মনের মধ্যে খুত খুত করেঃ ঘটনার সাথে সাথে খুনিদের ধরতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিলেন, সেই সময় পার হতে না হতেই প্রধানমন্ত্রী নিজে তদন্তের ভার নিজ কাধে তুলে নিলেন কেন? প্রধানমন্ত্রী একটা খুনের তদন্ত ভার নিলেন অথচ, এত দিনে তাঁর কোন সুরাহা হলো না কেন? দেশের প্রতি নিয়ত খুন-খারাবী, এক্সিডেন্টে কত শিশু এতিম হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী কয়জনের দায়িক্ত নিয়েছেন? দৌড়ে গিয়ে সাগর-রুনির বাচ্চার দায়িক্ত নেওয়ার এত উৎসাহ হলো কেন? এই বাচ্চার আত্মীয়-স্বজনদের অবস্থা তো এতটা খারাপ নয় যে তারা তাকে লালন পালন করতে পারবে না। না যেনে কোন মন্তব্য করা ঠিক নয় তবে, এ টি এন বাংলার চেয়ারম্যানকে আমার কাছে কেন যেন সিনেমার গডফাদারদের মত মনে হয়। এই ঘটনা নিয়ে দেশবাসী, মিডিয়া যখন খুব লাফালাফি করছিল, আদালত আজব এক আদেশ (পরে অবশ্য লিখিত ভাবে তা আসেনি) দিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করতে উতসাহী হলো কেন? খুনি কি এতটাই শক্তিশালী যে দেশের সর্বচ্চো গোয়েন্দা বাহিনী তাদের ব্যার্থতা স্বীকার করে হাল ছেডে দিল? ... ... ... ... ... ... বেশী প্রশ্ন না করাই ভাল; আপাতত গুম হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও, আদালত থেকে তলব আসতে পারে!! তবে একখান কথা, সেই কল্পিত খুনি যদি এতটায় চতুর / ক্ষমতাশালী হয় যে দেশের প্রধানমন্ত্রী আপ্রান চেষ্টা করেও তার নাগাল না পায় তাহলে তো তার হাতে আমরা কেও ই নিরাপদ নই; এমন কি আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও না!!  

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।