নিজেকে জানার অনেক বাকি,যখন জানব তখন বলব..। মানুষ গত কয়েক দিন আগের কথা একটি ফোন কল পেয়ে গেলাম টিএসসি’তে। ফোনটি করেছে আমার প্রিয় ছোট ভাই নাট্যকার বন্ধন বিশ্বাস। টিএসসি যেতে বন্ধন বলল ভাই বসেন,একটু পর দেখি সব বড় বড় লেখক এসে হাজির। যারা দেশের কর্নধার।
সামনে এসেই শুরু করল,তোমাদেরকে যেতে হবে আমাদের সাথে। প্রশ্ন করার সুযোগ নাই,যেতে হবে।
যাক বাঁচা গেল বেশী দূর যেতে হয়নি,টিএসসির ওল্টা পাশে যুদ্ধাপরাধীর বিচার মঞ্চে । তারা মঞ্চে উঠল,আমরা চেয়ারে বসলাম। খুব ভাল লাগল এমন একটি যায়গা এসে।
গোলাম আযম,নিজামির পোস্টার আসে পাশে,সামনে গিয়ে থু,থু মারলাম। সবার বক্তব্য শুনে খুব ভাল লাগল ও গায়ে শিহরণ উঠল আর কতদিন,বিচার শেষ হবে কবে। বক্তব্য শেষে দুজন বড় ভাই সামনে বসল। আমি তাদের বললাম আর কতদিন ভাই সহ্য করব। আরেক জন বলল,আচ্ছা এদেরকেত ধরে পুলিশের ভ্যানে উঠায়,উঠানের সময় ছেড়ে দিলেত মারা যেত।
আমি আবার প্রশ্ন করলাম আচ্ছা এরা মারা গেলে লাশের কি হবে। লাশটা কি আমাদের দেশে মাটি দিবে নাকি পাকিস্তান? । সবাই তখন চিন্তায় পড়ল। লাশ কি করা যায়। একজন বলল পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিবে।
আমি বললাম টাকা দিবে কে। এদের লাশের পিছনে আমাদের দেশের টাকা খরচ করব কেন? একজন বলল সবচেয়ে ভাল হবে সমুদ্রে ফেলে দিলে,মাছের খাবার হবে এতে যদি তাদের পাপ একটু মোচন হয়।
হ্যাঁ বন্ধুরা পৃথিবীর সবচেয়ে ঘৃণ্যতম যুদ্ধাপরাধী আমাদের দেশে বাস করে। এত নোংরা যুদ্ধাপরাধী পৃথিবীর আর কোথাও নেই। এদের বিচার এটা আমাদের জাতীয় দাবি।
বিচার হবে আজ অথবা কাল। হবেই। কিন্তু এদের লাশের কি হবে? এটা আমার অথবা আপনাদের প্রশ্ন? তবে এই হায়নার পালদের লাশগুলা এই বাংলার মাটিতে যেন দাফন করা না হয়। কেন আমরা তাদের মাটি দিব? আমাদের লাখ লাখ মুক্তিযোদ্ধার লাশ ওরা শেয়াল,কুকুর,শকুন দিয়ে খাইয়েছে,নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে,পচিয়েছে! এ মাটিতে ’বাংলার পাকিস্তানীরা’ তারা বাংলার মাটি চায়নি। এখনো চায় না! তাদের লাশগুলো কি হবে? কোথায় ফেলবে???
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।