কবিতার লাইনগুলো আমার মনে দাগ দিয়ে যায়। লেখকদের নাম ঠিকানা আমার সংগ্রহে নাই। যখন যে কবিতার লাইনগুলো ভালো লেগেছে তা আমার সংগ্রহে রেখেছিলাম। আমার প্রিয় কবিতার লাইনগুলো শেয়ার করলাম। কবি ও কবিতার নামটা দেওয়া গেল না, আপসোস!
আমি জন্মেছিলাম এক বিষণ্ণ বর্ষায়,
কিন্তু আমার প্রিয় ঋতু বসন্ত ।
আমি জন্মেছিলাম এক আষাঢ় সকালে,
কিন্তু ভালোবাসি চৈত্রের বিকেল ।
আমি জন্মেছিলাম দিনের শুরুতে,
কিন্তু ভালোবাসি নিঃশব্দ নির্জন নিশি ।
আমি জন্মেছিলাম ছায়া সুনিবিড় গ্রামে,
ভালোবাসি বৃক্ষহীন রৌদ্রদগ্ধ ঢাকা ।
জন্মের সময় আমি খুব কেঁদেছিলাম,
এখন আমার সবকিছুতেই হাসি পায় ।
আমি জন্মের প্রয়োজনে ছোট হয়েছিলাম,
এখন মৃত্যুর প্রয়োজনে বড় হচ্ছি ।
-----------------------------------------
সেই থেকে তার দক্ষিনের জানালা বন্ধ।
বষন্ত এসে ফিরে গেছে,
বৈশাখের মাতলামিও ভাঙ্গতে পারলনা জানালাটা।
অনেক বৃষ্টিরা অনেক দিন ধরে নক করে গেছে।
জানালাটা তবুও বন্ধ।
বছরের আর মাত্র অর্ধেক বাকি।
-----------------------------------------
জানলায় চোখ, বৃষ্টি হচ্ছে । বৃষ্টির ছিটেয় ভিজছে চুল
মনও ভিজে গেল কেন ? ভিজে চুপচুপে মন নিয়ে ডায়রিতে কলম থুয়ে বসে আছি
কিছুই আসছে না । গীতার মতো শব্দ-কল্পনারা ছেড়ে গ্যাছে আমায়
কবিতার একটি লাইনও আসছে না
এভাবেই কোনো কোনো দিন নিস্ফলা হয়ে যায়
-----------------------------------------
যদি একটা ডিঙি থাকতো
যখন তখন ভেসে যেতাম ইচ্ছেগাঙে।
হতেম যদি তুলোর মতোও
অভিকর্ষজ মিথ্যে করে, পলকা হাওয়ায়
পানকৌড়ির পাখায় চড়ে, উড়ে উড়ে,
যখন তখন পৌছে যেতাম-
কোথায় আবার!
তোমার বাড়ি। ।
-----------------------------------------
মেকাপম্যান সিগারেটে টান দিতে দিতে ভাবে
টানা চার ঘন্টা খাটলাম আমি
আর সুন্দরীর ফর্সা ত্বকের কৃতিত্ব সব গেল সাবানের ঝুলিতে।
-----------------------------------------
বেশ্যাকে চুমু খাওয়া যায়
রক্ষিতাকেও,
কিন্তু চুমুতে চুমুতে
চুমুকে চুমুকে কেবল তোমারই থুথু খাওয়া যায়
-----------------------------------------
খসে যাচ্ছে গতোকাল
খসে যাচ্ছে পরশু বিকাল
-----------------------------------------
ভালবাসতে চাস ?
আকাশ ধরে মনে ?
ধরে ? !
.........
তাহলে উড়িয়ে দিস ঘুড়ি
নাটাই রাখিস তোর হাতে। ।
-----------------------------------------
একদিন অবশেষে,
ওদের জীবনে সুখও দেখলাম
সেদিন বিশেষ পার্টির আয়োজন হয়েছিল
সেখানে অনেক পুরুষের ভীড়ে
কয়েকজন নারীর উপস্থিতিও দেখা গেল;
নারীগুলো সত্যিই নদীর মত
সহজলভ্য নিষিদ্ধ বলে
বন্ধন ভেঙ্গে চলে
কোকিল থেকে কোকিলে ঘুরতে থাকে;
পুরুষগুলো মদে মাতাল থাকে জৈবিক কারনে
‘মাগী’ বলে চেঁচিয়ে উঠে মাঝে মাঝে
সুখানুভূতির গোঁ গোঁ শব্দে
নারীগুলো কেঁদে উঠে না
ওদের শরীরেও যৌনতা ধাক্কা মারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।