সবুজের বুকে লাল, সেতো উড়বেই চিরকাল এই নিয়ে বোধ করি দ্বিতীয়বার একই বিষয় নিয়ে পোস্ট স্টিকি করা হয়েছে। অর্থাৎ এটা পরিস্কার যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সামু কর্তৃপক্ষ সামান্য হলেও নার্ভাস। এর আগে প্রথম আলোর সাংবাদিককে দিয়ে পোস্ট স্টিকি করিয়ে লাভ হয়নি। বরং বেশিরভাগ ব্লগারই সেই বক্তব্যের বিরোধীতা করেছেন। তাই এখন প্রিয় দিনমজুর ভাইকে দিয়ে একই বিষয়ে লেখানো হয়েছে।
ফলাফল একই। তবে মাঝখান থেকে দিনমজুর ভাইয়ের ভাবমুর্তিতে আচর পড়লো।
প্রিয় ব্লগারবৃন্দ, ঠিকই ধরেছেন। আমি বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতার কথাই বলছি।
পরিপুর্ণ বাক স্বাধীনতা বলে কিছু আছে বলে অন্তত আমার জানা নেই।
যাদের বাকস্বাধীনতার রোল মডেল হিসাবে ধরা হয়, সেই পশ্চিমা বিশ্বেও তার সীমাবদ্ধতা আছে।
ধরুণ ইউরোপের কথা। সেখানে হলোকাস্ট বা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইহুদি নিধন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ কিংবা ভিন্নমত প্রকাশের উদ্দেশ্যে এই নিয়ে গবেষনা করা, লেখালেখি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আইন করেই তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আর আমেরিকাতে আল কায়দা বা সমমনা যে কোন দলের প্রতি সামান্য সহানুভুতি অথবা অন্যায়ভাবে ইরাক দখলকে সমালোচনাও করলেও প্যাট্রিয়ট আইনের অধীনে বিনা জামিনে বিনা বিচারে বছরের পর বছর আটক রাখার বিধান রয়েছে।
আর চীন বা ভুতপুর্ব সোভিয়েট ইউনিয়ানে বাকস্বাধীনতা হলো সোনার পাথর বাটি।
বুশ সিনিয়ার, তার বাৎসরিক একটি ভাষনে এককেন্দ্রিক বিশ্বব্যাবস্থা চালু করা পরিকল্পনা প্রকাশ্যেই ব্যাক্ত করেছিলেন। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর সে পথের বাধা, কোন দেশ ছিল না। ছিল দেড় বিলিয়ান মুসলমানদের ধর্ম ইসলাম।
প্রফেসর হান্টিটন নামে উগ্রবাদি এক জঙ্গি রক্ষশীল খ্রিস্টান মৌলবাদির দর্শনকে কেন্দ্র করেই কর্পোরেট শক্তি, পৃথিবীতে এককভাবে শাসন করার স্বপ্ন দেখা শুরু করে।
যার ভিত্তি ছিল আরেক চরমপন্থি ধর্মীয় গোষ্ঠি জীয়নবাদিদের স্বপ্নের অনুরুপ। সেই ভিত্তিতেই প্রবল পরাক্রান্ত দুটি গোষ্ঠির মিলন ঘটে।
When you want to kill a dog, give him a bad name এই তত্ত্বকে ভিত্তি করেই শুরু হয় ইসলামকে হেয় করার জন্য ব্যাপক অপপ্রচার। একাজে নিয়োগ করা হয় উগ্রপন্থি একদল খ্রিস্টান ধর্মযাজকদের। মধ্যে ড্যানিয়েল পাইপস অগ্রগন্য।
এই লক্ষ্যেই কোটি কোটি ডলার বরাদ্দ দিয়ে মিডিয়া এবং ইন্টারনেটে কিছু ভাড়াটে যোগাড় করা হয়। যাদের কাজই ছিল কোরান হাদিসের অপব্যাখা দিয়ে, ইসলামকে হেয় করা।
ইন্টারনেট ভিত্তিক ইসলাম বিদ্বেষি অপপ্রচার শুরুর মুল হোতা, আলী সিনা নামে একজন ইরানি ইহুদি। কথিত আছে সে বৃটেনে প্রবাসি। তার সাথে যোগ দিয়েছিল ইবনে ওয়ারাক নামে আরেক রহস্যময় ব্যাক্তি।
যার কাজ ছিল জাল হাদিস খুজে বের করা। অথবা নিজেই হাদিসের অপব্যাখা দিয়ে ইসলামকে হেয় করা। এজন্য সে ইন্টারনেটে ইসলাম শিক্ষার জন্য তৈরি করা ফেইথ ফ্রিডম ডট কমের আদলে তৈরি করা ফেইথ ফ্রিডম ডট অর্গ নামের ওয়েব সাইট।
(আমার সামু জীবনের প্রথম দিকেই ইবনে ওয়ারাকের হাদিসকে বোখারি হাদিস চলে চালানো এক ব্লগারকে হাতেনাতে ধরেছিলাম। পরে ওই ব্যাটাকে আর খুজে পাওয়া যায়নি)
দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ হিসাবে, বাংলাভাষিরা সেই জালের বাইরে থাকবে, তা কি হয়? তাছাড়া হালুয়া রুটির ভাগেরও তো একটা ব্যাপার ছিল।
তাই বাংলাভাষাভাষিদের মধ্যে বেশ কয়েকজন
সেই উচ্ছিস্ট ভোগের জন্য সামনে এগিয়ে এসেছিল।
যুক্তরাস্ট্র প্রবাসি জনৈক অভিজিৎ রায়ের নেতৃত্বেই শুরু হয়েছিল বাংলা ভাষায় ইসলাম বিদ্বেষ প্রচার। সাথে ছিল, আবুল কাশেম (অস্ট্রেলিয়া প্রবাসি), সৈয়দ কামরান মীর্জা ওরফে ডঃ খোরশেদ আলম, মোঃ আলমগীর, মোঃ আসগর (অভিযোগ আছে ইনি চট্টগ্রাম উত্তরা ব্যাংকের ডাইরেক্টর থাকাকালিন সময়ে ব্যাংকের কয়েকশত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে চিরদিনের জন্য সপরিবারে আমেরিকায় পালিয়ে গিয়েছেন) ডঃ আকাশ মালিক প্রমুখ।
প্রথমে এই অভিজিৎ, মুসলমান সেজে রুদ্র মোহাম্মাদ নামে ইসলাম বিদ্বেষি লেখালেখি শুরু করে ভিত্তি গড়ে তুলে।
এজন্যই বিশেষ ফান্ডিং এর সাহায্য নিয়ে গড়ে তোলা হয় মুক্তমনা নামে ওয়েব পোর্টাল।
এবং বলাই বাহুল্য সেখানে মুক্তমনার নাম দিয়ে চরম ইসলাম বিদ্বেষি জঘন্য প্রচার শুরু হয়।
আমরা যারা সামু বা অন্যান্য বাংলা ব্লগে ইসলাম বিদ্বেষি কথাবার্তা শুনলে আতকে উঠি, মুক্তমনায় তার চেয়েও জঘন্য ভাষায় ইসলামকে আক্রমন করে লেখা হয়েছিল।
ছোট্ট নমুনা দিচ্ছি। আবুল কাশেম একটি লেখা লিখেছেন। যার নাম ইসলামিক কামশাস্র।
সেখানে আমার প্রিয় নবির যৌন জীবনকে কামশাস্রের আকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। নাউজুবিল্লাহ। তাহলেই বুঝুন ব্যাপারটা।
আর ব্লগের ইসলাম বিদ্বেষিরা যা লিখেছিল, সেটা মুক্তমনায় অনেক আগেই প্রকাশিত এবং প্রচারিত।
তাই জনরোষকে সাময়িক প্রশমন করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার তিন চার জন প্রমানিত ইসলাম বিদ্বেষিকে আটক করলেও, পালের গোদাগুলি রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে।
আপনারা ভাবতে পারেন যে শিরোনামে অভিজিতের নাম নেই কেন? অভিজিতের উপরেও তার বাপ রয়েছে (আক্ষরিক অর্থেই)।
জ্বি, অভিজিত রায়ের পিতা হলো, প্রফেসর অজয় রায়, যে কিনা ঢাবির অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, তিনিই হলেন এই মুক্তমনার প্রধান পৃষ্ঠপোষক। তিনি নাকি আবার অসাম্প্রদায়িক, মানবাধিকার ইত্যাদির প্রচারক ও সংগঠক।
আরো আছে। তিনি ভারত বাংলাদেশ মৈত্রি সমিতির সভাপতি।
আর ইনিই সেই, যে কিনা ১৯৭১ সালে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীর মুরগি সাপ্লায়ার শাহরিয়ার কবিরকে মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট দিয়েছে।
স্বাধীনতার চেতনা বলে গলা ফাটানো শাঃ কবিরের মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট সেই একখানাই আছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ দুটি ধারায় যে অস্থিরতা বিদ্যমান, তার এক পক্ষ্যে আছে তথাকথিত মুক্তমনা, অসাম্প্রদায়িকতার আড়ালে লুকানো, ইসলাম বিদ্বেষিরা, আরেক পক্ষ্যে আছে চরম ডানঘেষারা।
আমি মনে করি যে, এই দুটি ধারার সাথেই বাংলাদেশের সিংহ ভাগ মানুষের জীবন যাত্রার কোন মিল নেই ।
একারণেই বললাম যে, তথাকথিত অসাম্প্রদায়িক চেতনাধারিরা যে মঙ্গল প্রদীপ/ উত্তরীয় সংস্কৃতির অনুসারি তার সাথে বাংলাদেশের মানুষের সংস্কৃতি বা ঐতিহ্যের মিল কোথায়?
(এরা অনুষ্ঠান শুরু করে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে আর বরণ করে নেয় উত্তরীয় পড়িয়ে।
এধরণের সংস্কৃতি পালন ভারতের হিন্দু ধর্মিয় মহলে ব্যাপক প্রচলিত থাকলেও, বাংলাদেশে এধরণের আচার এমনকি কোন হিন্দু পরিবারেও দেখিনি। তাছাড়া সম্প্রতি শহীদ আলতাফ মাহমুদের মৃত্যু দিবসও এরা মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালিয়ে পালন করেছে , যা শহীদ আলতাফ মাহমুদের ধর্মীয় আদর্শের চরম অবমাননা বৈত নয়!)
তাই ইনারা কেমন অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করেন, সেটা বুঝার জন্য রকেট সায়েন্টিস হবার দরকার নেই।
আর বাংলাদেশে বিদ্যমান তিনটি শিক্ষা ব্যাবস্থার সবচেয়ে নাজুক শাখা কওমি মাদ্রাসার পড়ুয়ারা সাধারণত অর্থনৈতিকভাবে চরম দুর্বল ও অনগ্রসর গোষ্ঠির প্রতিভু। । বাংলাদেশের মুল ভাষা, সংস্কৃতি এবং ইতিহাস সমন্ধে এরা প্রায় অন্ধকারেই থাকে।
তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞানের কথা নাই বললাম।
অথচ ইসলাম অবমাননার বিরুদ্ধে এরাই আজকে সমবেত ভাবে প্রতিবাদে মাঠে নেমেছে। যার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই।
তবে সেটা করতে গিয়ে তারা এমন সব দাবি তুলেছে, যা সাধারণ জ্ঞানে যৌক্তিকতার বিরোধী।
সবচেয়ে আপত্তিকর বিষয় হলো, এরা ব্লগার মাত্রেই নাস্তিক বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
যা ইসলামের মৌলিক শিক্ষার পরিপন্থি। এবং অবশ্যই গিবত নামের কবিরা গুনাহ করার সমতুল্য।
আমার আদর্শের বিরোধী আওয়ামি লিগের ব্লগারদের মধ্যেও অন্তত আমি কোনদিন ইসলাম বিরোধীতা দেখতে পাইনি।
অথচ আজকে তথ্য প্রযুক্তিতে চরমভাবে অনগ্রসর সাধারণ মানুষের মধ্যে এই মাদ্রাসার সাথে সংক্লিস্টরা এমন ধারণার সৃস্টি করেছেন, যাতে মনে হয় ব্লগার মানেই নাস্তিক আর নাস্তিক মানেই ইসলাম বিরোধী।
একজন ধর্মভীরু ইসলাম ধর্মানুলম্বি হিসাবে এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা আমি অত্যন্ত জরুরি মনে করছি।
গতকাল বিবিসির সাথে একান্ত সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনা, হেফাজতে ইসলামের দাবিকৃত ব্লাসফেমি আইন চালু করার বিরদ্ধে অবস্থান ব্যাক্ত করেছেন। কারণ এই সংক্রান্ত আইন ইতিমধ্যে রয়েছে।
সমস্যা হলো, কানে পানি না গেলে আমাদের বোধদয় ঘটে না। হেফাজতে ইসলাম যদি বিশাল শো ডাউন না করতো, তাহলে মনে হয় প্রধানমন্ত্রি অন্তত ইসলাম বিদ্বেষি কয়েকজন ব্লগারকে আটক করতেন না। যদিও আগে দেখা গিয়েছে যে, আওয়ামি লিগ বা হাসিনার বিরুদ্ধে কিছু বললেই তড়িৎ ব্যাবস্থা নেয়া হতো।
অথচ দিনের পর দিন চরম অশ্লিলভাবে ইসলামকে আক্রমন করা হলেও কিছু ঘৃণাবাদি রয়ে গিয়েছিল ধরাছোয়ার বাইরে।
এমনকি জঘণ্য ইসলাম বিরোধী একজন কিছুদিন আগে দুর্বৃত্তদের হামলায় খুন হলে, তাকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহিদ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন স্বয়ং আওয়ামি নেতা তোফায়েল আহমেদ। এমনকি এই কিছুদিন আগ পর্যন্ত সেই মৃতকে নিয়ে শাহাবাগেও কম আস্ফালন ঘটেনি। এই ধরণের বালখিল্যতার কারণেই ব্লগার মাত্রেই নাস্তিক ইসলাম বিরোধী এই অপপ্রচারটি হালে পানি পেয়েছে আরো বেশি।
(পরে অবশ্য থলের বেড়াল বের হয়ে যাওয়াতে জোকের মুখে নুন পড়েছে।
)
ব্লগারদের ঢালাওভাবে নাস্তিক আখ্যা দেয়া, আর সেই অজুহাতে বাংলা ব্লগ বন্ধের দাবির প্রতি শেখ হাসিনা যে খুব নিমরাজি এমন মনে হচ্ছে না। না হলে, বেশ কয়েকটি ব্লগ বন্ধ করা হতো না। গতকাল থেকে আমার বর্ণমালা ব্লগটিও সরকার বন্ধ করে দিয়েছে।
যতটুকু মনে হচ্ছে যে, ভিন্ন মত দমনে যে কোন কৌশল নিতেই সরকার মরিয়া। কারণ সামনে নির্বাচন এলে, আওয়ামি পোষ্য এক গাদা মিডিয়া ও ব্যাক্তিত্বের বিপরীতে ইন্টারনেটে আওয়ামি বিরোধী প্রচারণাকে তারা নিজেদের জন্য বিপদজনক মনে করছে।
আর সেকারণেই হেফাজতে ইসলামের অপপ্রচারকে কেন্দ্র করে, ইসলাম রক্ষার নামে ব্লগগুলি অচিরেই বন্ধ করে দেয়া হলে, অবাক হবো না।
আর সামু কর্তৃপক্ষ্যের বাকস্বাধীনতার আড়ালে, সরাসরি ইসলাম বিদ্বেষি ব্লগারদের পক্ষ্যে অবস্থান গ্রহন, সরকারের সেই অপচেস্টাকেই সফল করার নামান্তর মনে করছি। কারণ নিরংকুশ বাকস্বাধীনতা বলে কিছু নেই। যদি থাকতোই তাহলে এক গাদা নিয়ম শৃংখলা বানানোর দরকার পড়তো না। এখন বল সামু কর্তৃপক্ষ্যে কোর্টেই।
তবে এটা সত্যি যে, গুটি কয়েক কুলাঙ্গারের কারণে সমগ্র ব্লগারগোষ্ঠির কন্ঠরোধ করার যে অপচেস্টা চলছে, তার বিরুদ্ধে চরম প্রতিবাদ করা জরুরি।
তবে সেই দাবিটি যেন তথাকথিত মুক্তমনা, অসাম্প্রদায়িক চেতনাধারিরা না করেন, কিংবা সেই আন্দোলনের নেতৃত্বের ধারে কাছে না থাকেন। কারণ ইতিমধ্যেই আপনারা আপনাদের বিশ্বাস কিংবা গ্রহন যোগ্যতা শুন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছেন।
শেষ কথাঃ মুক্তমনা বা অভিজিত/অজয় রায় নিয়ে যে সব তথ্য দেয়া হয়েছে, তার প্রমান আপনারা আমাদেরই পুরানো সহব্লগার এস এম রায়হান, এস্কিমো, এবং বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, এদের কাছ থেকেই জানতে পারেন। কারণ ইনারা ইন্টারনেটে ইসলাম বিরোধিদের বিরুদ্ধে অনেক আগ থেকেই প্রতিবাদ করে আসছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।