জামায়াত-শিবির আধুনিক প্রযুক্তির অন্যতম বাহন ইন্টারনেটকে ব্যবহার করছে রাজনৈতিক প্রপাগান্ডার ক্ষেত্র হিসেবে। বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ব্লগ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একের পর এক লেখা প্রকাশ করছে। যুক্ত করছে অপমানসূচক ব্যঙ্গচিত্র ও সংবাদপত্রের কাটিং। সত্য-মিথ্যা নানা তথ্য উপস্থাপন করে বিশ্বে সরকারের বিরুদ্ধে ছড়ানো হচ্ছে বিষোদগার। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতেও চালানো হচ্ছে প্রচারণা।
জামায়াত নেতাদের মুক্তির দাবিতে নেওয়া হচ্ছে গণস্বাক্ষর। প্রচারণায় বর্তমান সরকার ও ইসলাম ধর্মকে তাড়িয়ে অনেক মনগড়া কথাও বলা হচ্ছে। এতে সাধারণ ধর্মপ্রাণ ও রাজনীতি অসচেতন মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছেন। জানা গেছে, এ কাজে অংশগ্রহকারীদের অধিকাংশই দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজপড়ুয়া শিবিরকর্মী। বিদেশে অবস্থানকারী কর্মজীবী সাবেক শিবিরকর্মীদের একটা বড় অংশ এতে জড়িত।
এদিকে ইন্টারনেট ভ্রমণকারী বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এ প্রচারণার বিরোধিতা করে বলছেন, এতে বিশ্বে সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হচ্ছে। কিন্তু সরকার নিশ্চুপ। ব্লগ বা বিভিন্ন ফোরামে ছদ্মনাম নামে প্রথম দিকে অ্যাকাউন্টধারীরা শুধু ধর্ম নিয়ে আলাপ চালায়। পরবর্তীতে রাজনৈতিক কর্মসূচি উপস্থাপন করা হয়। এর সঙ্গে জামায়াত-শিবির সমর্থিত একদল প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞও কাজ করছেন।
যারা নিজেরা নানা ধরনের ওয়েবসাইট, ফোরাম ও ব্লগের বিনির্মাণের সঙ্গে যুক্ত। 'ফ্রি জামায়াত লিডারস' এ ওয়েবসাইটটির পাশে বাংলায় লেখা 'জামায়াত নেতাদের মুক্তির আন্দোলন'। এতে বাংলা, ইংরেজি উভয় ভাষা যুক্ত করা হয়েছে। এতে সরাসরি সরকার, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে।
'স্টোরি অব বাংলাদেশ' ওয়েবসাইটটি দেখলে মনে হবে না বাংলাদেশ নামে কোনো রাষ্ট্র আছে।
সাধারণ ইন্টারনেট ভ্রমণকারীরা লিখেছেন, 'স্বাধীন বাংলাদেশে কিভাবে এ ধরনের একটি ওয়েবসাইট চলতে পারে?' প্রযুক্তির এ সুযোগকে সুচারুভাবে কাজে লাগাচ্ছে জামায়াত-শিবিরপন্থিরা।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।