কায়ছার
সতর্কীকরণ কিছু কথার এই পর্বে আপনাদের একটি বেশ আধুনিক কায়দায় ব্লাকমেইল এর শিকার হওয়ার আমার জানা একটি ঘটনা তুলে ধরব। আমাদের সবারই আশেপাশে নতুন পুরাতন অনেক ফটোষ্টুডিও রয়েছে। প্রাই সবাই ক্যামেরা থাকুক বা না থাকুক পাসপোর্ট সাইজ ছবি তুলতে আমাদের ফটোষ্টুডিওতে যেতেই হয়। অনেকে সুন্দর কোন ব্যাগ্রাউন্ডের সামনে পারিবারিক ছবি তোরার জন্যও ফটোষ্টুডিওতে যান। ঘটনাটা বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে ঘটে মেয়েরা যখন ছবি তুলতে ফটোষ্টুডিওতে যায়।
প্রতারক দলের লোকজন ফটোষ্টুডিও গুলোর আসেপাশে ঘুরা ফেরা করতে থাকে। সুন্দরী কোন মেয়ে ষ্টুডিওতে ছবি তুলতে আসলেই তাদের কাজ শুরু হয়ে যায়। ছবি তোলার সময় আমাদের অবশ্যই নাম ঠিকানা এবং ফোন নম্বর দিতে হয়। প্রতারক দলের লোকজনের সাথে অনেক ক্ষেত্রে ফটোষ্টুডিওর দুএকজন কর্মচারীর যোগসাজস থাকে। তারা যে মেয়েকে টার্গেট করে তার ছবি সহ ঠিকানা ফোন নম্বর ফটোষ্টুডিও থেকে সংগ্রহ করে।
সাধারনত আমরা নিজেদের এলাকায় ছবি তুলতে যায়। এই ক্ষেত্রে প্রতারকদের একটু বাড়তি সুবিধা হয় আরকি। যাহোক এরপর শুরু হয় মূল ঘটনা। যেহেতু ঠিকানা ফোন নম্বর সহ ছবি প্রতারকদের হাতে থাকে, সুতরাং আপনারা সহজেই বুঝতে পারছেন তাদের জন্য সব কিছু কত সহজ। মেয়েটার বাসায় পোষ্টে ফুল পাঠানো, ফোনে কথা বলা এবং অবশেষে পটানো এবং সবশেষে ছবি নিয়ে ভয় দেখান সব কিছুই চলে।
কখোন তারা সরাসরি বাসায় পর্যন্ত সাহসিকতার সাথে হাজির হয়ে যায়। অবশ্যই তারা টার্গেট করে বুঝেশুনে। কোন ক্ষেত্রে তারা একটা প্রমের সম্পর্ক গড়ে তুলে, এরপর সম্পর্ক একটু গভীর হলে আরো গাড় ভাবে প্রতারনার ফাদ পাতে। এই ক্ষেত্রে হয়ত মেয়েটার বেচে যাওয়ার আর কোন উপায় থাকেনা। ঘটনা শেষ হয় বড় অঙ্কের টাকা পয়সার মাধ্যমে।
তারপরও মেয়েটি থাকে এক অনিশ্চয়তায় মাঝে। যদি আবার কখোন তারা ফিরে আসে, আবার ঘটে নতুন কিছু। এক শিমাহীন আতঙ্ক বোধ তার উপর কাজ করে। জানি না আপনাদের মধ্য এমন শিকার কেউ হয়েছেন কিনা।
আজ এ পর্যন্তই আগামীতে আমার জানা আরো নতুন কোন ঘটনা নিয়ে হাজির হব, ভাল থাকুন নিরাপদে থাকুন সবাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।