আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
সাংবাদিকদের সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত
রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘আমার জন্য পদ অর্জন সাংঘাতিক কোনো বিষয় নয়, ত্যাগ করাও সহজ। যদি অবস্থান ওদিকে নিয়ে যায়, এক মুহূর্ত্ব সময় নেব না। ’
অর্থ কেলেঙ্কারির পর পদত্যাগ করবেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত দাবি করেন, তিনি রাত ১০টার মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়েন। তাঁর বাসায় রাত ১২টার মধ্যে যাওয়ার কোনো কারণ নেই।
রেলমন্ত্রী বলেন, এপিএসের বাসা মোহাম্মদপুরে, টাকা ওদিকে যাচ্ছিল। তার পরও সত্য বের করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রয়োজনে হাইকোর্ট বা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করতে পারে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। রেলের সুবিধাবঞ্চিত গ্রুপ এ কাজ করতে পারে।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত দাবি করেন, ওই দিনের পর এপিএস বা অন্য কারও সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়নি, তিনি তাঁকে ছাড়িয়েও আনেননি।
ভিডিও ও ছবি:মনিরুল আলম
Click This Link
**************************
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত দাবী করছেন উনি নাকি সেই ছোট বেলা হতেই র্দূনীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছেন। প্রতিক্রিয়াশীল, যুদ্ধাপরাধী, র্দূনীতিবাজ ও শেয়ার বাজার লুটেরা তার শত্রু। তার এপিএস ও রেলওয়ের কর্মকর্তারা গাড়ীতে এত কি টাকা নিয়ে কোথায় যাচ্ছিল তা সুরু বাবু জানেন না। তাদেরকে নাকি বিজিবির হেডকোয়ার্টার হতে ছাড়িয়েও আনেননি? তাহলে কোন গায়েবী শক্তিতে তারা ৭০ লক্ষ টাকা সহ ছাড়া পেল? মূলত এই সব বিষয়ই নাকি চক্রান্ত ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র! সুরু বাবুর বিরুদ্ধে একক ভাবে বেশী কিছু বলার নেই।
কারণ তিনি যে আওয়ামী-বাকশালীদেরই একটা ক্ষুদ্র অংশ যদিও তার খুটির জোর অনেক। কিন্তু স্বভাব সেই বাকশালীদের মত র্দূনীতি, লুটপাট ও মিষ্টি মিষ্টি চটকদার কথা বলে কাহিনী করা তাদের সবারই সহজাত অভ্যাস। সেই ১৯৭২-৭৫ এর র্দূনীতি, লুটপাট, র্দূভিক্ষ ও তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ নাকি রাজনৈতিক বক্তব্য! অথচ জিয়া দেশকে বিধ্বস্ত পরিস্থিতি হতে উদ্ধার করার জন্য গো. আযম, নিজামীদের আসতে দিয়েছেন ও দালাল আইন প্রত্যাহার করেছেন তার জন্য তিনি হলেন দেশদ্রোহী! অথচ ৭৪এ লক্ষ লক্ষ লোক না খেয়ে মরল সেটা কোন ব্যাপারই না। তারপর ১৯৯৬-২০০১ এবং ২০০৯ এর পর হতে আজ পর্যন্ত শেয়ার বাজার, গ্যাস-কয়লা, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ এবং পদ্মা সেতু নিয়ে সীমাহীন র্দূনীতি করার পরও স্রেফ হাওয়া ভবন তারেক এবং জামাতীরাই কালপ্রিট। আওয়ামী-বাকশালীরা লুটে পুটে দেশকে দেউলিয়া করে দেশের স্বাধীনতাকে হুমকিগ্রস্থ করবে সেটাও তারেক ও জামাতের দোষ।
তাই সুরু বাবুর এই সাংবাদিক সম্মেলনে নিজেকে সৎ ও দেবতাতুল্য দাবী করাতে মোটেই অবাক হইনি। আওয়ামী-বাকশালী গং চিরকালই চুরি ও শিনাজুড়ি করেই আসছে। আর তাদের চামচারাও আরও হাজার গুণ নিজেদের চোর-বদমাশ নেতাদের পক্ষে আরো হাজার সাফাই গায়। এরাই নাকি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।