জাতীয় সংসদে আজ বাজেট আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় পার্টির সাংসদ রওশন এরশাদ। বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে একই বিমানে লন্ডন যাওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করার সময় স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন।
আজ বৃহস্পতিবার ২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে রওশন এরশাদ বলেন, তিনি ১৯৭৪ সালে লন্ডন যাচ্ছিলেন। একই প্লেনে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু লন্ডন হয়ে নিউইয়র্ক যাচ্ছিলেন।
রওশন এরশাদ ওই প্লেনে আছেন—এ কথা শোনার পরই কর্নেল জামিলের মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমান রওশন এরশাদকে ডেকে পাঠান। রওশন এরশাদ বঙ্গবন্ধুর কাছে যান। এরপর বঙ্গবন্ধু দেশীয় ও জাতীয় রাজনীতির ব্যাপারে নিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা কথা বলেন। কথা বলা শেষ হলে বঙ্গবন্ধুর পকেটে থাকা ৭০ ডলার তাঁকে দেন। এই গল্প বলার পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান রওশন।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রওশন বলেন, ‘আপনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, আপনি পারবেন। আমরা আপনাকে ছাড়ছি না। আপনি দেশের প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের না। ক্ষমতাসীন দলের দায়িত্ব বেশি। যে সরকারে থাকে তার দায়িত্ব বেশি থাকে।
’ প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনি সবাইকে নিয়ে বসুন। ’
বাংলাদেশের বড় দুর্যোগ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা
রওশন এরশাদ বলেন, আমাদের দেশে অনেক দুর্যোগ আছে। অনেক দুর্যোগ থাকলে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুর্যোগ হলো রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা। তিনি বলেন, দেশের অনেকে বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলো একসঙ্গে কাজ করে না। রাতের বেলা টক শোগুলোতে অনেক কথা বলা হয়।
রওশন এরশাদ বলেন, প্রধান দুই দলের মধ্যে মিল না থাকলে সমস্যার সমাধান হবে কী করে? তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি করছি। কিন্তু সবকিছু কি জনগণের জন্য করছি?’
সাবেক এই ফার্স্ট লেডি বলেন, অতীত নিয়ে কথা বলা যাবে না। ভবিষ্যত্ নিয়ে চিন্তা করতে হবে, ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করতে হবে। জাতীয় মৌলিক বিষয়ে একসঙ্গে কথা বলতে হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।