বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d
জানিনা, এখন বাংলাদেশে সার্কাস দেখানোর প্রচলন কতটা আছে। একটা সময় ছিল মানুষের বিনোদন ছিল লিমিটেড। আর এখন তো বিনোদনের অনেক মাধ্যম। তবে আগের বিনোদনের মধ্যে একটা ইভেন্ট ছিল সার্কাস।
এই সার্কাস রয়েছে দুটি ধরণ। একটি সল্পস্থায়ী আর আরেকটি দীর্ঘস্থায়ী অর্থাৎ মাসব্যাপী।
বিভিন্ন মহল্লায় বা গ্রামে গঞ্জে আগে মাসব্যাপী সার্কাসের আয়োজন চলতো। একটা জায়গার চারিদিক তাবু দিয়ে ঘিরে ভিতরে গ্যালারী তৈরী করা হতো। আর ঠিক কেন্দ্রে থাকতো একটি খালি জায়গা।
সেখানেই সার্কাস দেখানো হতো।
সার্কাসে বিভিন্ন রকম পশুপাখির খেলা ছাড়াও শারিরীক বিভিন্ন রকম কসরত দেখানো হতো। যেগুলো দেখে মানুষ আশ্চর্য হতো। আর এই প্রতিটা শো চলতো প্রায় দুই/তিন ঘন্টা করে। প্রতিদিন তিনচারটা শো চলতো।
প্রতিটা শো এর শেষের দিকে থাকতো বিশেষ আকর্ষন। যেমন: কাঁচের বালব খেয়ে ফেলা, জ্যান্ত সাপের বাচ্চা চাবিয়ে খাওয়া বা ধারালো ফলা দিয়ে বুক পিঠ কেটে ফেলা ইত্যাদি।
এদেশে সার্কাসের ভিতরে "দ্যা রওশন সার্কাস" ছিল একটা নামকরা সার্কাস। দেশে বিভিন্ন স্থানে তারা মাসাধিককাল অবস্থান করে সার্কাস দেখাতো।
কিন্তু এখন বাংলাদেশে সার্কাসের নামে চলে নোংড়া কার্যকলাপ এবং জুয়ার আসর।
সেখানে সার্কাসের নামে অর্ধনগ্ন নারীর নৃত্য এবং জুয়ার আসর বসে। এভাবে নষ্ট হচ্ছে যুবসমাজের একটা অংশ। প্রতারিত হচ্ছে মানুষ।
কিন্তু মূলতঃ সার্কাস আগে ছিল একটি সুস্থধারার বিনোদন। সরকারের উচিত আইন প্রয়োগের ভিত্তিতে এই সুস্থধারার বিনোদন ফিরিয়ে এনে বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।