অনেক দিন সোনা ব্লগে যাওয়া হয় নি। কারণ, একটাই আমার বিরুদ্ধে ওরা অবিচার করেছে। আজকে চিন্তা করলাম, একটু ওখানটাতে গিয়ে দেখি কি হচ্ছে। একটা ফাটাফাটি যুক্তিযুক্ত পোস্ট পাইলাম:
খুব শিগ্রই নতুন নাটক মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে। অবোধ নিরীহ জাতিকে বোকা বানানোর নতুন কৌশল।
যেকোন ভাবে এই নির্বাচনী বৈতরনী পার হতে হবে। আর তাই এই ঘোড়ার ডিম কাহিনীর রচনা। সারা বাংলাদেশী জাতি জানে, সরকারবিরোধী ঘরনার কারো বিরুদ্ধে মামলা বা সতর্কতা সংকেত দেওয়া হলে, তার প্রতিটি মুভমেন্টের প্রতি নজর রাখা হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই আবিষ্কার হল, বাচ্চু রাজাকার নাকি ভারতে পালিয়েছে, আবার তাও সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে। যেখানে কোন নিরীহ বাংলাদেশী রেহাই পান না, বা প্রতিনিয়ত সীমান্তবাসী "আনজাস্টিফাইড" মৃত্যুদন্ড মাথায় নিয়ে দিনযাপন করেন, সেখানে বাচ্চু রাজাকারের পালানোর আষাঢ়ে গল্প সত্যি অনেক বিস্ময়ের ব্যাপার।
আমার মনে হয়, আগামী ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এবং জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য জামাত বা বিরোধীদলের উপর থেকে বোকা জনগণের সমর্থন ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য এটা একটা অভিনব কৌশল। বলা হচ্ছে বাচ্চু রাজাকার নাকি সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পার হয়ে গেছেন!! কিন্তু কিভাবে? ওনার সাথে কি বি.এস.এফ বা বিজিবির সখ্যতা আছে? উনি কি সিনিয়র গোলাম আজমের জুনিয়র মাস্টারমাইন্ড??? আসলেই না। এগুলো সব গোবরে পরিপূর্ণ মস্তিষ্কের কালো পরিকল্পনা। গণতান্ত্রিক দেশে একতরফাভাবে রাজত্ব করার জন্যই এতসব কিছু। একটা জিনিস বলে রাখা ভাল, বাংলাদেশের মানুষ রাজনৈতিক গ্যারাকলে বন্দি আর তাদের এতকিছু রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে মাথা-ব্যথার সময় নেই, কিন্তু নির্বাচনের সময় ঠিকই বুঝিয়ে দেয় ম্যান্ডেট কি জিনিস।
তাই এই ভয়ে সরকার একের পর এক ফন্দি আটছে।
আমি কোন রাজনৈতিক দলের অন্ধ সমর্থক নই। রাজনীতি বলতেই আমার ঘৃনার মাত্রা বেড়ে যায়। কিন্তু তাই বলে দেশ নিয়ে ভাবি না তা হয় না।
বি.এন.পি-র পাকিস্থান কানেকশন ইস্যুতে ফেল মারার পর জামাতের কানেকশন প্রতিষ্ঠিত করার এটা নতুন শর্টকোর্স।
সরকারের হাতে হয়ত এখনো কোন প্রমাণ নেই। কিন্তু এরকমও হতে পারে, বাচ্চুকে সরকার আগেই গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে গ্রেফতার করেছে। এখন বিভিন্নভাবে তাকে ভারতে চালান করবে, আর পরমপুজনীয় ভারত মাতার গোয়েন্দা বিভাগের মাধ্যমে পূর্বপরিকল্পিত অভিনব কায়দায় আরো একবার গ্রেফতার করে তাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে। তারপর বলা হবে, হ্যাঁ,বাচ্চু রাজাকারকে ভারতে কাশ্মীর বা পাঞ্জাব প্রদেশের পাকিস্থান সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরকম এক রাজাকারকে খুবই সংকীর্ন সময়ে গ্রেফতারে সহযোগীতা করার জন্য ভারত সরকারকে আবারো দেশে ডেকে বিভিন্নভাবে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
আর এতসব দেখে দেশের মানুষ সহজেই বিশ্বাস করবে যে, বাচ্চু রাজাকারকে ভারত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যেহেতু বাচ্চু রাজাকার পাকিস্থানে পালাচ্ছিল, তাই এর মাধ্যমে পাকিস্থানের সাথে জামায়াত বা বিরোধীদলের গোপন চুক্তি পরিষ্কার।
এবার আসি, সম্পাদ্যের সমাধান নিয়ে। আপনাদের কয়জন "সম্পাদ্য" (জ্যামিতি) করেছেন জানি না। তবে বলে দিচ্ছি, আমরা সেকন্ডারী লেভেলে পড়ার সময় পড়েছিলাম জ্যামিতিতে দুইটি অংশ, একটা হল সম্পাদ্য আর একটা হল উপপাদ্য।
সম্পাদ্যের বৈশিষ্ঠ্য হল, বিবরনীতে যা বলা হবে, তার হুবহু নিখুত নির্ভুল চিত্র অন্কন করতে হবে। চিত্র অন্কনে এদিক ওদিক হলে এটাকে ভুল বলে গণ্য করা হয়। আর উপপাদ্য হল, চিত্র যেমনই হোক না কেন, তথ্যে যা লিখা থাকবে, তা সিকোয়েন্স এবং ফর্মুলা এই দুইয়ের সামঞ্জস্য রেখেই করতে হবে। তাহলেই উপপাদ্য বরাবর প্রমাণ করা যায়।
হ্যাঁ এবার আসি আমার মূল রচনায়।
আমাদের মাননীয় সরকার জনগণের টাকা লুট করে, দূর্নীতি করে এখন দিশেহারা। তাই, এতদিন উপপাদ্য থিওরীতে সরকার পরিচালনা করে কোন ফল না পেয়ে অন্যরকম সম্পাদ্য অংকনে নেমেছে। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, হয়ত নির্ভুল নিখুতভাবে এই সাম্পাদ্যিক অংকন সম্ভব হবে না। কারণ, সত্যিকার অর্থে সরকার যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের বিচার করতে চায় না, বরং এটাকে পুঁজি করে জাতিকে বোকা বানিয়ে বিরোধী দল দমন করে আরো একবার ক্ষমতার আরোহন করতে চায়।
তারা যদি এতই সাধু হত, তাহলে তত্বাবধায়ক সরকারকে ভয় পেতেন না।
জবাবদিহি করতে হত, সেসব সদ্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যাংকহোল্ডারকে, যারা নির্বাচনি হলফনামায় সম্পত্তির পরিমান দেড় কোটি টাকা দেখিয়েছিলেন কিন্তু আজকে ৪০০কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ব্যাংক বসাচ্ছেন। সরকার মহোদয় বলেন যে, বিশ্বমন্দার কারণেই নাকি বাংলাদেশের শেয়ার বাজারের এই অবস্থা। তাহলে, এসব নব্য ব্যাংক মালিকরা কি বিশ্বের বাইরের প্রাণী? এরা এত টাকা পেল কোথায়। যত ফন্দি ফিকির-ই করুক, সরকারকে এসবের জবাব দিতেই হবে। হয়ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে চুক্তি করে বা সাময়িক ভাবে এই নাটক ঐ নাটক সাজিয়ে সাময়িক পার পাবে কিন্তু এসবের হিসাব জনগণ একদিন অবশ্যই নিবেন।
কারো রেহাই হবে না। কারণ, কেউই অতীত থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে নি।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে ভাল এবং সুন্দর থাকার তাওফিক দান করুন।
আমীন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।