রাজাকাররা ১৯৭১ সালে কী করেছিল? হত্যা,খুন,ধর্ষণ, গুম,লুট,বিধর্মী ও দেশপ্রেমিকদের হত্যায় সহযোগিতা সহ সব ধরণের মানবতাবিরোধী অপরাধ! এই কারণেই তারা চির ধিকৃত ও লাঞ্ছিত ৷
রাজাকার কোন সময় কিংবা যুগের সাথে নির্দিষ্ট নয় ৷ যারাই যখন দশ ও জনগণের স্বার্থ বিরোধী কাজ করবে,যারা মানুষের প্রতি অন্যায় করবে, মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন কিছু চাপিয়ে দিতে চাইবে তারাই রাজাকার!
অতএব রাজাকার এখনো আছে৷ ভালমতো চোখ খুলে চারপাশে তাকান দেখতে পাবেন অসংখ্য রাজাকার ৷
অতএব আমরা বলতে পারি, বিগত বিশ বছরে বাংলাদেশে যত খুন খারাবি,হত্যা ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তার ফিফটি পার্সেন্ট বিএনপির ছাত্রদল,জামাতের ছাত্রশিবির ও বিশেষভাবে আওয়ামী লীগের সোনার ছেলে খ্যাত ছাত্রলীগের তাতে সম্পৃক্ততা রয়েছে, অতএব এরা ও রাজাকার! মানুষের শত্রু ৷ আর বিগত পাঁচ বছর তো একাজগুলোর ঠিকাদারি ছাত্রলীগই নিয়ে নিয়েছে সেটা আশা করি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে না!
যারা ৯৬ তে জামাতের সাথে জোট করে জামাতকে ক্ষমতায় এনেছে তারা ও রাজাকার!
যারা দেশের স্বার্থবিরোধী টিকফা চুক্তি করেছে তারা ও রাজাকার! যারা সুন্দরবন কে ধ্বংস করার জন্য রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি করেছে তারা ও রাজাকার! যারা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি স্বরুপ ট্রানজিট দিয়েছে ভারতকে তারা কেন রাজাকার হবে না?
যে বিএনপির আমলে শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে তারা ও রাজাকার! যারা হরতালে ককটেল ফুটিয়ে, আগুন দিয়ে যানবাহন ধ্বংস করে তারা ও রাজাকার!
যে স্বাধীনতার চেতনাবাহীরা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চাইতে এসে সিসিটিভি অপারেটর শাহ আলমকে হত্যা করেছে তারা ও রাজাকার! ভারতের "র " এর টাকা খেয়ে ইসলাম ধর্মের উপর আঘাত করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধাতে চায় যে সমস্ত নাস্তিক তারা ও রাজাকার!
৭১ এ রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানীরা ধর্ষণ করেছে বাংলাদেশের মেয়েদের আর এখন আওয়ামী লীগের হাই কমান্ডের সুপারিশে এক সাথে ভিকারুন নিসায় চান্স পাওয়া গোপালগঞ্জের ছয় হিন্দুর মধ্যে অন্যতম পরিমল ও আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ পান্না মাস্টার ধর্ষণ করেই চলেছে বাংলাদেশের মেয়েদের তাহলে কেন এরা রাজাকার হবে না?
১৭৩ দিন হরতাল পালন করে তত্বাবধায়ক ফিরিয়ে এনেছে যারা তারাই যখন স্বার্থের জন্য জনমত উপেক্ষা করে পাকিস্তানিদের মত জনগনকে দাবিয়ে রাখতে চায় এবং তত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করে স্বৈরাচারী পন্থায় ক্ষমতা আকড়ে থাকতে চায় তারা কেন রাজাকার হবে না?
যে দলের সাধারণ কর্মী থেকে শুরু করে এমপি মন্ত্রীদের হাত ও জনগণের রক্তে লাল,পেশাদার খুনীদের সাথে যাদের রয়েছে গভীর সখ্যতা,তারাই আবার মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে জননিরাপত্তার কথা বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলে তখন সে স্বাধীনতার চেতনাধারীর মুখে থুথু দিতে কার না ইচ্ছা করে?
যারা শুধু নিজের দলের লোকদেরকে শুধু মানুষ মনে করে আর অপর দলের জন্য কেউ লগি বৈঠা নিয়ে নামার নির্দেশ দেয় আর কেউ দা কুঠার নিয়ে নামার আদেশ দেয় তাদের বড় রাজাকার, দেশের শত্রু আর কে আছে?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।