আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হায়রে ইন্টারভিউ!! হায়রে ঢাক......কা...........

আমি নিজেকে নিজের মত করে রাখতে চাই। সিটিগ্রুপ কম্পানী কখন যে একটা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল তা ও ভুলে গিয়েছি। আবার আমি কখন তার একটা পোষ্ট এর জন্য আবেদন ও করেছিলাম! যাই হোক গত ৫ এপ্রিল বৃহস্পতি বার ঢাকা থেকে একটা ফোনে জানানো হলো আমার ৭ এপ্রিল বিকাল ৩টায় সিটিগ্রুপের ঢাকা অফিসে ইন্টারভিউ। তা শুনে তাদের ওয়েভ সাইটে প্রবেশ করলাম কোন তথ্য পাওয়াযয় কিনা তাদের কম্পানী সম্পর্কে। কিন্ত তেমন কিছু পাওয়া গেল না কারন তাদের ওয়েভ সাইটি এখন ও পুরোপুরি গ্রাহক সেবার জন্য প্রস্তুত নয়।

যাই হোক শুক্রবার রাত ১১টায় ইউনিক বাসের টিকিট কাটলাম। ১১:১৫ বাস আসে আগ্রাবদ মোড়ে ওখান থেকে বাসে উঠলাম ঢাকার উদ্দেশ্যে। কাউন্টার এর টিকিট বিক্রেতাকে বলেছিলাম ভালো থেকে একটা সিট দিতে। সে আমাকে অনেক সুযোগ সুবিধা দেখিয়ে ড্রা্ভার এর পেছনের একটা সিট দিল। সিটে বসে বুঝতে পারলাম কতো সুবিধা!! সামনে পা রাখার জায়গা নেই, পানির বোতলটা যে রাখবো তার ও কোন ব্যবস্থা নেই।

টিকিট বিক্রেতাকে বললাম কিরে ভাই আপনাকে বললাম ভালো থেকে একটা সিট দিতে, সে কোন উত্তর দিলনা। কি আর করা কোন প্রকারে ঢাকা পৌছতে পারলেই হলো। বাসের কোন সুফা্রভাইজার ছিলনা। ড়্রাইভা্র আর হেল্পার। সিটি গেট পার হওয়ার পর হেল্পার ঘুমিয়ে পড়লো ড়্রাইভার এর পাশে বসেই।

হেল্পার এর সহযোগিতা না পেয়ে ড়্রাইভার এর গাড়ী চালাতে সমস্যা হচ্ছিল। মাঝে মধ্যে অন্যগাড়ীর মুখো মুখি হয়েযাচ্ছিল গাড়ি, সামনে ইঞ্জিনের বিকট আওয়াজ, গণগণ গাড়িটি আত্নচিৎকার করছে হর্ণ বঝিয়ে। মাঝে মাঝে যাত্রীরা হেল্পারকে বাঝে ভাবে গালমন্দ করছে আর ড়্রাইভার এর গুষ্টি উদ্দার করছে। তবে যাত্রীদের এসবে তাদের কোন কর্ণপাত ছিলনা। যাই হোক রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা যেন এক বিভিষিকা সময় পার করে অতপর ঢাকার মোহাম্মদপুরের আদাবর ৮নাম্বার রোড়ের ৭৫৯ নং বাড়ি জেঠার বাসা গিয়ে ঠেকলাম।

সেখানে সকাল ১১টা পর্যন্ত বিশ্রাম নিয়ে তার পর ইন্টার ভিউর জন্য প্রসুতি নিয়ে দুপুর ১২টায় বের হলাম বাসা থেকে। শ্যামলি থেকে ২১ নং বাসে উঠলাম যাত্রাবাড়ীর উদ্দেশ্যে । মানসিক চাপ ছিল সময় মতো তাদের অফিসে পৌচতে পারবো কিনা? ঢাকা কে মনে হচ্ছিল ঢাক....কা.........টাইপের কোন স্তান যেখানে ধাক্কানো ছাড়া ছলতে পারে না। গাড়ীর চাকা সামনে একবার গুরে তো পেছনে দুবার। এ করে করে সময় পেরিয়ে যাচ্ছে শুধু পথ তো পুরায় না।

দীর্ঘ সাড়ে ৩ ঘন্টা পর যাত্রাবাড়ী এসে পৌছলো গাড়ী। কিন্তু গাড়ীথেকে নেমে যে পা রাখবো, সে জায়গা টা যেন মনে হচ্ছে কোন গ্রামীন খাল পাড়। মাত্র পলিস করে আসলাম জুতো জোড়া। চকচক করছিল কালো জুতো, কালো পেন্ট, ছাই কালার ফরমাল সার্ট, গলায় টাই। উপরের সব ঠিক রাখতে পারলেও জুতো জোড়া রাখতে পারলাম না, দিলাম পা যাত্রাবাড়ীর বুকে।

ক্ষতবিক্ষত যাত্রাবাড়ীর বুকের কালো রক্ত আমার পায়ের জুতো জোড়ায় আলিঙ্গন করে নিল। রক্তের বন্যা এতো তিব্রছিল যে কেউ না ভেসে পারেনি। অনেক কষ্ট করে নিজেদের জুতো জোড়া রক্ষা করার যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে ও হেরে যাচ্ছে হাজার হাজার পথচারী। আর কারো কারো মুখে শুনতে পেলাম সরকারের চৌদ্দ গুটিকে নিয়া সুন্দর সুন্দর উপাদি মুলক ভাষণ। যাই হোক রিক্রায় করে ২৫টা দিয়া পৌচলাম সিটিগ্রুফের তেলের মিল নাম তাদের প্রধান অফিসে।

তখন সময় ২:৫৬ মানে আমি ঠিক সময় পৌছতে পেরেছি। অনেক কষ্ট হলেও ধন্যবাদ তোমায় ঢাক..........কা ........... যে সময় মতো পৌছতে পেরেছি। কিন্তু এমন ও তো অনেক আছে যারা অনেক অমূল্যনিয় ক্ষতির সম্মুক্ষিন হচ্ছেন প্রতিনিয়ত ঢাকার এমন বেহাল অবস্থার জন্য! ঢাকা আমাদের রাজধানি অথচ ঢাকার রাস্থা গুলো এখনো সে কেলে। এগেুলোর কি কোন পরিবর্তন হবে না?? যাই হোক ইন্টারভিউ বোর্ড়এ অনেক্ষন কথাবার্তর পর এলো আমার সেলারির চাহিদা নিয়ে। যানিনা তারা আমাকে তাদের কম্পানির জন্য সিলেক্ট করবে কিনা? আর যদি সিলেক্ট করে তাহলে হয়তো অতি সাম্প্রতিক আমি ও আসছি ঢাকায় ।

প্রস্তুত থাকো ঢাকা আমি আসছি। আপনারা দোয়া করুন যাতে আমার চাকরীটা হয়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.