জিএসপির অধীনে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যা রপ্তানি হয়, তা মোট রপ্তানির ১ ভাগেরও কম।
টিকফার সঙ্গে জিএসপি সুবিধার কোনও সম্পর্ক নেই। ‘দোহানীতি’ অনুসারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ৯৭ শতাংশ পণ্যের ক্ষেত্রে দেশটির বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়ার কথা। যুক্তরাষ্ট্র ঠিকই বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ পণ্যের ক্ষেত্রে এই সুবিধা দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানিপণ্য তৈরি পোশাককে এর বাইরে রাখা হয়েছে।
আমদানিকৃত বাংলাদেশের পোশাক ও পোশাকজাত পণ্যের ওপর উচ্চহারে শুল্ক বসিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেদেশে গড় আমদানি শুল্কহার শতকরা ১ ভাগের মতো। কিন্তু বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ওপর শুল্কহার শতকরা গড়ে ১৫ ভাগ। এদিকে চীনকে মাত্র ৩ শতাংশ আর জার্মানিকে মাত্র শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ পরিশোধ করতে হয়। এই শুল্কহার আন্তর্জাতিক বিধিরও পরিপন্থী।
তাই এই শুল্ক এমনিতেই বাতিল হওয়া দরকার।
এ বছরও বাংলাদেশ শুল্ক বাবদ যুক্তরাষ্ট্রকে দিয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৬শ কোটি টাকা। এটা যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে ঋণ অনুদান বাংলাদেশে আসে তার ৬ গুণেরও বেশি। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে নয়, বাংলাদেশই যুক্তরাষ্ট্রকে অর্থের জোগান দিচ্ছে।
আমরা নিজেদের নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগি ।
নিজেদের ছোট মনে করি । এখন সেই দিন শেষ । সময় হয়েছে নিজেদের নতুন করে ভাবার । ইউরোপ - আমেরিকাকে খুব বড় কিছু মনে করার দিন নাই ।
এদেশ থেকে পোষাক আমদানী করার ঠেকা অদের , আমাদের নয় ।
এত সস্থায় অধিক লাভের ভালো মানের পোষাক বিশ্বের আর কোথাও পাবেনা । আমেরিকা যে পরিমান শুল্ক পায় এই কঠিন অর্থনইতিক দুর্দশায় তারা তা কি কখনো ছাড়বে ?
ইউরোপ -আমেরিকা বেনিয়া জাতি । এরা ঘেউ ঘেউ করলেও এদেশের পোষাকের প্প্রতি ঠিকই চুক চুক করবে ।
কিন্তু দেশের ক্ষতি সাধনকারী টিকফা চুক্তি হলে এদেশ আমেরিকা কব্জায় চলে যাবে । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।