এখানে লিংক দেখুন
কয়েকদিন আগে দেখলাম আন্দালিব রহমান পার্থ সংসদে দাড়িয়ে বলল মহিউদ্দিন আলমগীরের কাছে নির্বাচনের সময় ছিল ঘটি বাটি মিলিয়ে ২৭ লাখ টাকা।
অথচ একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে একজন উদ্দোক্তার প্রয়োজন হয় ৩৫ কোটি টাকা। তাহলে কিভাবে তিনি ফারমার্স ব্যাংক তৈরি করে তার কার্যক্রম শুরু করেন । নিশ্চয়ই তিনি দুর্নিতী করে টাকা বানিয়েছেন। তা না হলে তিনি কি কোন আলাদিনের চেরাগ পেয়েছিলেন জাতি তা জানতে চায়..?
ছাড়পত্র পেতে পারে নতুন আট ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের কালকের বৈঠকেই নতুন বাণিজ্যিক ব্যাংক অনুমোদন পাচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে বাছাই করা ১৬টি আবেদন থেকে দুই দফায় আটটি ব্যাংককে অনুমোদন দেওয়া হতে পারে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তা জানান।
প্রথম দফায় বুধবার চারটি ব্যাংক চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে পারে। ছয় মাস থেকে এক বছর পর আরো চারটি নতুন ব্যাংকের ছাড়পত্র দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। এ ছাড়া প্রবাসী উদ্যোক্তাদের (নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশি বা এনআরবি) দুটি ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হবে আগামীকালকের বৈঠকে।
নতুন বাণিজ্যিক ব্যাংকের অনুমোদনের জন্য গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে আগ্রহী উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
১০ লাখ টাকা অফেরতযোগ্য জামানত দিয়ে নতুন ব্যাংকের জন্য ৩৭টি আবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা পড়ে। সেখান থেকে ১৬টি আবেদন প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
চলতি বছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী নতুন ব্যাংকের ঘোষণা দেন। তবে এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের আপত্তি ছিল। একপর্যায়ে অর্থমন্ত্রী নতুন ব্যাংকের জন্য রাজনৈতিক চাপের কথা স্বীকার করেন।
সেই চাপেরই বৈধতা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বর্তন এক কর্মকর্তা জানান, সব দিক বিশ্লেষণ করে ১৬টি আবেদনকে নম্বর দেওয়া হয়েছে। এই নম্বরের প্রতিবেদনটি বুধবার পরিচালনা পর্ষদে উপস্থাপন করা হবে। পর্ষদই নতুন ব্যাংকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। একসঙ্গে বেশিসংখ্যক ব্যাংকের অনুমোদন দিলে ব্যাংক খাতে অসম প্রতিযোগিতার আশঙ্কা রয়েছে।
সে কারণে প্রথম দফায় চারটি ব্যাংক ছাড়পত্র পেতে পারে।
আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী সংসদ সদস্য ও সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর। তিনি 'ফার্মার্স ব্যাংক' নামের একটি ব্যাংকের অনুমতি চেয়েছেন। সংসদ সদস্য ফজলে নূর তাপস আবেদন করেছেন 'মধুমতি ব্যাংক'-এর জন্য। যুবলীগ নেতা মির্জা আজমের 'দ্য পিপলস ব্যাংক' ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম 'ফেডারেল ব্যাংক'-এর লাইসেন্স চেয়েছেন।
তালিকায় রয়েছে নিটল গ্রুপের চেয়ারম্যান মাতলুব আহমদের 'কটক বাংলা ব্যাংক'।
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ চেয়েছেন 'ইউনিয়ন ব্যাংক'। যদিও ব্যাংকটির আবেদনে শহীদুল আলমকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখানো হয়েছে। সংসদ সদস্য এইচ এন আশিকুর রহমান এবং নসরুল হামিদের 'মেঘনা ব্যাংক' চেয়েছেন।
প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর 'সেলফ এম্পলয়মেন্ট ব্যাংক' চেয়েছেন।
এই ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলম। এ ছাড়া হোসনে আরা বেগমের 'ক্ষুদ্র পুঁজি ব্যাংক' ও আবুল কাশেমের 'পিপলস্ ইসলামী ব্যাংক', মনিরুজ্জামান খন্দকারের 'মিডল্যান্ড ব্যাংক', এনামুল হক চৌধুরীরর 'চার্টার্ড ব্যাংক' সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রবাসী বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের তিনটি আবেদনের মধ্য থেকে দুটি ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হবে। এনআরবি ব্যাংকের আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন এনআরবি ইউএ করপোরেশনের চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী, সীমার্ক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল আহমেদ এবং ব্যবসায়ী ফরাসত আলী। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।