আমি একজন কল্পবিলাসী মানুষ । জীবনের বন্ধুর পথে হেটে চলেছি লক্ষ্যে পৌঁছাবো বলে । এ পথচলায় আমার স্বপ্নগুলোই আমার প্রেরণা । পথের সঙ্গী হিসেবে আছে আমার গিটার । স্বপ্নগুলোকে গিটারের ছয়টি তারে বাঁধার চেষ্টার জীবন কেটে যাচ্ছে............ প্রদীপ খানা হাতে লইয়া নাড়িয়া চাড়িয়া দেখিতেছিলাম ।
প্রত্যুষে আমাদের আম্রকাননে বস্তুখানা কুড়াইয়া পাইয়াছি । এই লোডশেডিং এর জামানায় মালটা বেশ কামে দিবে সাব্যস্ত করিয়া পরিষ্কার করার নিমিত্তে ঘষিতে লাগিলাম । একসময় লক্ষ্য করিলাম প্রদীপের তৈল ঢালিবার নল দিয়া ধোঁয়া নির্গত হইতেছে । অগ্নি প্রজ্জলন করিবার পূর্বেই ধোঁয়া - ইহা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্থ করার কোন ষড়যন্ত্র কিনা তাহা ভাবিতে লাগিলাম । ইত্যবসরে সকল ধোঁয়া একত্রিত হইয়া বিকটাকৃতির এক দৈত্যের রূপ নিল ।
আমার সম্মুখে মস্তকাবনতকরণপূর্বক সে কহিল, আদেশ করুন, আকা ।
আমি কোনক্রমে ভয় কাটাইয়া কহিলাম, মহাশয় ইহা জাপান নহে । আর আমার নামও আকা, নাকা কিংবা সাকা নহে ।
অতঃপর সে কহিল, আপনার শব্দভান্ডারের স্বল্পতা পরিলক্ষিত করিয়া আমি যারপরনাই বিষ্মিত । আকা অর্থ প্রভু ।
আপনি আমার প্রভু আর আমি আপনার সেবক । আপনি আমাকে মুক্ত করিয়াছেন । আমি আপনার তিনখানা ইচ্ছা পূরণ করিব । অতিস্বত্তর আদেশ করুন । আমার হস্তে সময় মাত্র পাঁচ বত্সর ।
এরপরে আবার নতুন দৈত্য আসিবে ।
আমি মনে বড় আশা নিয়া শুধাইলাম, যাহা ইচ্ছা করিব তাহাই হইবে ? দৈত্য জবাব দিল, আজ্ঞে । আপনার যে কোন ইচ্ছা বাস্তবায়ন করা হইবে ।
তখন আমি কহিলাম, আমার প্রথম ইচ্ছা, পদ্মা সেতু নিমার্ণ করিয়া দাও ।
দৈত্য কহিল, পদ্মা সেতু অবশ্যই হইবে ।
বিশ্ববাবু তাহার ব্যাঙ্কে প্রচুর অর্থকড়ি জমা করিয়াছেন । ব্যাঙ্কখানা ভাঙিবামাত্রই আপনার সেতু প্রস্তুত করিয়া দেওয়া হইবে ।
ইহা শ্রবণ করিয়া কিঞ্চিত হতাশ হইয়া কহিলাম, তাহলে আমার দ্ধিতীয় ইচ্ছা পূরণ কর ।
সে কহিল, আপনি শুধু আদেশ করুন । হুকুম করিতে বিলম্ব হইবে, তামিল করিতে বিলম্ব হইবে না ।
আশার বাণী শুনিয়া কহিলাম, সাগর রুনী, বিশ্বজিত্ সহ সকল হত্যার বিচার চাই ।
দৈত্য কহিল, এখনই দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল গঠন করছি । আগামী ৪৮ কোটি ঘন্টার মধ্যে খুনিদের সনাক্ত করা হইবে । এর পরে শুরু হইবে বিচারপ্রক্রিয়া.................... । চিন্তিত হইয়েন না ।
গুণীজন কহেন, সবুরে মেওয়া ফলে । আপনার তৃতীয় ইচ্ছা কি, আকা ।
অল্মানবদনে কহিলাম, দারিদ্র এবং দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ চাই ।
আম্মা চিত্কার দিয়া কহিল, ১১টা বাজে, হারামজাদা । এখনও তোর ঘুম ভাঙে নাই ।
ঘুমায়া ঘুমায়া আর কত স্বপ্ন দেখবি ?
[এই লেখাটি দূর্যোধন দা'র এপিক সব স্যাটায়ার পড়িয়া অনুপ্রাণিত হইয় একখানা স্যাটায়ার রচনা করিবার অপপ্রয়াস মাত্র । এই গল্পের প্রতিটি চরিত্র এবং ঘটনা কাল্পনিক । বাস্তব কোন কিছুর সহিত কেহ কোন মিল খুঁজিয়া পাইলে লেখককে কোনক্রমেই দায়ী করা চলবে না । সকল দায় ব্লগার দূর্যোধনের উপর বর্তাবে] ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।