অন্ধকার ঘর। টিভির পর্দার আলোয় ঘরে আলো-আঁধারী। কোনও সংলাপ নয়। ভেসে আসছে চূড়ান্ত সম্ভোগের আশ্লেষ। টিভির ছবি হাঁ করে গিলছে নানা বয়সী একদল কিশোর।
ঢিশুম ঢিশুম হিন্দি সিনেমা নয়। তারা দেখছে নীল ছবি।
একটি সমীক্ষা বলছে সন্ধ্যার পর দিল্লির পথশিশুদের একটাই বিনোদন। চুটিয়ে পর্নোগ্রাফি দেখা। এমনকি এর জন্য রোজগারের সবটাই প্রায় চলে যায় তাদের।
টান পড়ে পেটে। কিন্তু তাতেও পিছপা হয় না তারা। খাবার না জুটলেও নীল ছবির জোগানে যেন টান না পড়ে! খালি পেটে থাকতে হবে, তাই সই। কিন্তু পর্নোগ্রাফি চাই।
দিল্লির এই পথশিশুদের মধ্যে আছে কাগজ কুড়ানি, ভিখিরি থেকে ছোটখাটো কোনো জায়গার সামান্য কর্মীও।
নীল ছবির ডিভিডি অথবা ভিডিও গেমের পিছনে বেরিয়ে যায় তাদের সামান্য আয়ের বেশিরভাগ অংশ। চলে মোবাইলে ডাউনলোডও।
দিল্লি এবং দিল্লি শহরতলিতে নির্দিষ্ট চায়ের দোকান আছে। সেখানেই নীল ছবি দেখার ব্যবস্থা করা হয়। মাঝে মাঝে পুলিশ এসে দাঁড়ায় বটে।
কিন্তু তাদের ‘খুশি’ করে দিলেই ঝামেলা খতম। এছাড়াও আছে বহু বেআইনি পর্ন-ভিডিও পার্লার। যেখানে ৫০-৬০ টাকার বিনিময়ে নীল ছবি দেখে এই গৃহহীন শিশুরা।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী দিল্লিতে পথশিশুর সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। নীল ছবি ঘিরে তাদের আসক্তি বাড়ায় বাড়ছে যৌন অপরাধ।
নিজেদের এই জীবনে ‘খুশি’ এই শিশুরাও। সারাদিনে খাবার বলতে হয়তো চা আর বিড়ি। পেটে খিদে, অপুষ্ট, রোগে ভোগা, অস্থি চর্ম সার এই মুখগুলোয় গোঁফের রেখা গজানোর অনেক আগেই হাতেখড়ি হয়ে যাচ্ছে নীল-দর্শনে। অনিশ্চয়তা আর অভাবে ভরা জীবনে এটাই যে তাদের একমাত্র ‘বিনোদন’।
এই চিত্র প্রতিবেশী দেশ ভারতের।
বাংলাদেশের কী খবর? দিন দিন বেড়ে চলেছে মোবাইলে পর্নো ছবির আপলোড। লাগামহীন ঘোড়ার মত অপরাধ প্রবনতা বেড়েই চলেছে, রেহাই পাচ্ছে না ৮০ বছরের বুড়ি থেকে ১৫ মাসের শিশুও। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন এই ডিজিটাল যুগের ডিজিটাল দাজ্জালের হাত থেকে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।