আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেখার কি কেউ নাই, প্রশাসন কেন নিরব...???

জাতীয় স্মৃতিসৌধ আমাদের জাতির গর্ব। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর এবং ৩০ লক্ষ ভাই ও ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা এখন স্বাধীন দেশে বসবাস করছি। তাই তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ঢাকার অদূরে সাভারের এক মনোরম পরিবেশে এই জাতীয় স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। জায়গাটা এতটাই মনোরম যে, যেখানে একবার গেলেই বার বার যেতে ইচ্ছে করে। কারণ সবুজের সমারোহ এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রতিটি কাঠামো অত্যন্ত আকর্ষণীয়, যা বার বার জাতীয় স্মৃতিসৌধের কাছে টানে।

আমাদের জাতীয় স্মৃতিসৌধ ২১৫ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। যেখানে রয়েছে মন জুড়ানো ফুলের বাগান, কৃত্রিম লেক, অজ্ঞাতনামা শহিদদের কবর, হেলি প্যাড, ভি আই পি অভ্যথর্নাকেন্দ্র, একটি আকর্ষণীয় মসজিদ, পুলিশ ফাঁড়ি, প্রাকৃতিক লেক (যেই লেকগুলোতে সব সময় পদ্মফুল ফুটে থাকে), ঘন গাছগাছালি এবং নিহত শহিদদের স্মরণে সেই উঁচু স্মৃতিসৌধ। আসলে মূল কথায় আসি- যেহেতু জায়গাটা অনেক সুন্দর এবং নির্জন, যার কারণে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ জাতীয় স্মৃতিসৌধ দর্শনে যায় এবং নিরিবিলি কিছু সময় কাটায়। যেটা নিরিবিলি ভাবে সময় কাটাবার জন্য একটা আদর্শ একটা জায়গা। এখানে মাঝে মাঝে অনেকেই পরিবার নিয়েও বেড়াতে আসে, অনেকে আসে আবার গার্ল ফ্রেন্ড নিয়ে আবার অনেকেই আসে বন্ধুবান্ধবের সাথে।

একটা কথা উল্লেখ্য যে, সাভারের অধিকাংশ স্কুল, কলেজ এই স্মৃতিসৌধের আশে পাশে। যার ফলে ওই সব স্কুল, কলেজের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী আড্ডা দেবার জন্য এই স্মৃতিসৌধে চলে আসে। জাতীয় স্মৃতিসৌধের এমন কিছু জায়গা আছে যেগুলো অনেক নির্জন এবং ওই সব জায়গাগুলোতে প্রেমিক-প্রেমিকারা (স্কুল, কলেজের ছাত্রছাত্রী এবং বাহিরের প্রেমিক-প্রেমিকা) গিয়ে বাজে বাজে সব কর্মকাণ্ড করে থাকে। যেসব কার্যাবলী অনেককেই বিভ্রান্তির মুখে ফেলে দেয় (যারা বাবা-মার সাথে বেড়াতে আসে)। এই সব বাজে কর্মকাণ্ডের মধ্য-প্রকাশ্যে চুমু খওয়া, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে হাত দেওয়া, একে অপরকে জরিয়ে ধরা, এক সাথে বাজে ভাবে ছবি তোলা, এক জনের বুকের উপর আরেক জন ঘুমানো ইত্যাদি ইত্যাদি।

আসলে জাতীয় স্মৃতিসৌধ আমাদের সম্মানের এবং গর্বের একটা জায়গা। সেই জায়গায় যদি আমরা বেড়াবার নাম করে এই সব বাজে কর্মকাণ্ড করি তা’হলে এই জায়গার মর্যাদাটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? এখানে শুধু আগুলাই নয়, এই জায়গাটা অনেক খারাপ খারাপ ছেলেদের আড্ডাখানা। যারা দিনের অধিকাংশ সময় এখানেই কাটায়। এখানে আসা বিভিন্ন তরুণীদের তারা প্রেম নিবেদন করে এবং মাঝে মাঝে অনেক তরুণী ইভটিজিং এর স্বীকারও হয়। এই কথা শুনে অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন যে, তাহলে পুলিশ ফাঁড়ি কি বসে বসে ঘাস কাটে নাকি? জি হ্যাঁ এখানকার পুলিশরা শুধু এই স্মৃতিসৌধের নিরাপত্তার জন্য এবং তারা অধিকাংশ সময় ব্যারাকে অবস্থান করে।

তাই জাতির বিবেকের কাছে আমার একটাই প্রশ্ন? কেন আমরা আমাদের এই সব গর্বের জায়গাগুলোতে গিয়ে এই সমস্ত বাজে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি? আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, অবিলম্বে যেন তারা এই সমস্ত বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি দেয় এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধকে ওই সমস্ত কার্যাবলী মুক্ত করে। এতে করে আমরা একটা নির্মল আনন্দের জায়গা পাব। আর পরিবারের সবার সাথে ওই সমস্ত বাজে কাজের সম্মুখীন হতে হবে না আমাদের, হবে না কোন মেয়ে ওই সব খারাপ ছেলেদের প্রেম নিবেদনের স্বীকার এবং ইভটিজিং এর... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।