আমি কেউ নই, আমি সকলের বন্ধু
ছবিটি দেখুন। খুব সাদামাটা একটি ছবি। রাস্তার পাশে জড়াজড়ি করে শুয়ে ঘুমাচ্ছে দুটি শিশু। হয়তো তারা দু ভাই, হয়তো বা নয়। যাত্রাবাড়ীর ব্যস্ত রাস্তার পাশে ফুটপাতে শুয়ে দিনেদুপুরে ঘুমিয়ে আছে ওরা।
আজ সহ আরো বেশ ক’দিন আমি দৃশ্যটি দেখেছি। দেখে কার না মায়া লাগে! মায়া লাগে বলেই পথিকেরা তাদের পাশে রাখা বাটিতে দু’চার টাকা দান করে প্রতিনিয়ত। কিন্তু আসলেই কি ওরা ঘুমিয়ে আছে? শিশুর স্বভাব বলে কথা, এ রকম জনকোলাহলময় এলাকায় এই শিশুদের এভাবে নিঃসাড় ঘুমিয়ে থাকার কথা নয়। কিন্তু তারা ঘুমিয়ে আছে। তবে ব্যাপারটা অন্য রকম কিছু? একটু খেয়াল করে দেখুন, পাশের মহিলাটি শিশুদের পাশের বাটি থেকে টাকা কুড়িয়ে নিচ্ছে।
আমি ছবি তুলতে গেলে মুখ আড়াল করে ফেলে। আর টাকাগুলো কুড়িয়ে নিয়েই সটকে পড়ে অকুস্থল থেকে।
এই শিশু দুটি কি তার নিজের? শিশু দুটি কি সুস্থ? ওরা কি সত্যি সত্যিই ঘুমিয়ে আছে এই কোলাহলময় ব্যস্ত সড়কের পাশে? নাকি তাদের ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। এভাবে প্রতিদিন এই দুটি শিশু ঘুমায় বিভিন্ন জনবহুল রাস্তার পাশে, ফুটপাতে।
বিষয়টি আমার কাছে স্বাভাবিক মনে হয় না।
আমার ধারণা এই শিশুদেরকে উচ্চমাত্রার নেশাজাতীয় ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয় ভিক্ষা করার জন্য। এবং আমার ধারণা এই বিষয়টিই বাস্তব। এই শিশুদের প্রকৃত অবস্থা জানতে পারে এমন কি কেউ নেই? কোন এনজিও কিংবা পুলিশ কিংবা মানবাধিকার কর্মীরা এ সমস্ত শিশুদের তত্ত্বতালাশ করতে পারে না? বিষয়টির একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট এবং এগুলো বন্ধের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন সময়ের দাবী নিঃসন্দেহে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।