উন্মাদ খুলির পৃষ্ঠাগুলি
এক.
যা দেখি তার সীমানা ছুঁয়ে যায় মেঘের শরীর
কখনো পাহাড় কখনো হাতির শূড় – মিশে যায় মেঘে
মুছে যায় সীমানার রেখা – ছকহীন এক মায়া
ভেসে থাকে পাহাড়ের ঢালে
যেখানে নদীর শুরু দেখার দৃষ্টিতে মধুবন – ঘ্রাণকূপ
বাক্যহারা হর্ষস্নানে ধুয়ে ফেলে মানুষেরা
বন্ধনের দাগ – মুক্তির পাখনায় ভাসিয়ে নেয়
জীবনের স্বাদ আকাঙ্খার দেহে সুর ওঠে ঢেউ খেলে
সাপেদের শ্বাস – মনে হয়
নীল ঘর ভরে উঠছে পূর্ণশশীতে কাছিমের পিঠে
দুই.
চুপ করে বসে শূণ্যতার মোহ ভেঙে দেখো স্পষ্ট
ওইটা জানালা ওইটা ঘরের পিছন দিকের আলো তার পাশে
অন্য জন অন্য বাড়ি অনাত্মীয় – তার থেকে দূরে
ভিন্ন আর এক গ্রাম – শহর থেকে নিকটে তোমাদের পুকুর পাড়ের
ঝোপঝাড় আমাদের বেড়ে উঠার জঙ্গল
ওখানে তোমারআমার নির্জন চোখাচোখি দিগন্তে মিশেছে
কুল গাছের পাশে কলপাড়ের স্নান
পুকুর ঘাটের কাপড় কাচার শব্দ এখন ঘুমের মধ্যে মোহ
তাকে ভেঙে দেখি অস্পষ্ট ঘোর – ঘোরের মধ্যে নাচ
এর নাম মুক্তি মন্ডল – এখানে দেখার চোখ উপড়ানো না
দূরবীণ নয় – চশমার কাচ নয়
শরীরের স্পর্শ দিয়ে টের পাওয়া বিদ্যায় চেখে দেখা
তিন.
অস্পষ্ট তিলের দিকে যতবার গেছি
আকাশের দিকে উড়ে গেছে ডানা মেলে পাখিদের ঝাঁক
প্রগাঢ় সম্পর্কের সেতু ভেঙে পড়েছে রুমালের কোনা থেকে
নদীর কাছে গিয়েই ডুবে গেছে চাঁদ
আয়নামহলে চূড়ি-হাসির পায়রাগুলো উড়ে উড়ে
কোথাও বসেনি গাছেদের কাছে
এগিয়ে এসেছে দূরের কেউ তাকে কেউই চেনে নাই
হরেকরকম ঝুমঝুমির ভেতর হারিয়ে গেছে যেসব
ডালে বসা সবুজ দাগের চিহ্ন
তাদের বুকের পাশে শুকনো নদীদের মেলা বসেছে
ঘর ছেড়ে পালিয়ে ইচ্ছের বংশীবাদকের সাথে
কাঁধ বিনিময় করে তোমাদের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছি
তাঁর যাদুকরী সুখ-দু:খের ঝোলায় তোমার গোপনে
খোপাবাধারদৃশ্যগুলো লুকিয়ে রেখেছি
পথের দিকে তাকিয়ে থেকে থেকে চোখের সড়ক থেকে
উপড়িয়ে রেখেছি মাইলপোস্টের ছায়া
নাইটকোচভর্তি মালিনীদের লাল টিপেরা ছেড়ে গেছে
বাসস্টপেজ তাদের মলিন মুখে তোমার হাসি
দেখে আমি আর কোথাও যাই নাই
ছিকেইঝোলানো নি:শব্দের সুগন্ধী স্পর্শরা আমাকে চেনেনি
বাসনার পিঠে মালমাল উঠিয়ে নাও ছেড়ে দিয়েছে
বিরহপাড়ার বণিকেরা – তাদের বন্দর ছেড়ে যাওয়া দৃশ্যের দিকে
তাকিয়ে থেকে ভেবেছি – এবার গভীর গাঙে ছেড়ে দেবো
শ্লোকের বিষণ্ন ভেলা
জলের শব্দে আকাশের হাতছানিতে আর বাড়িতে ফিরবো না
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।