আমি নিজেকে নিজের মত করে রাখতে চাই। শিরোনাম শুনেই অনেকে হয়তো ভাবতে শুরুকরলেন এটা কোন কথা হলো?? সিগারেটি কি আত্ন হত্যা করতে পারে? আমি আপনাদের সাথে এক মত সিগারেট আত্নহত্যা করতে পারে না। বরং সিগারেট অন্যকে আত্ন হত্যার দিতে দিন দিন উজ্জিবিত কররে, ধাবিত করে, ঠেলে দেয় নিশ্চিত মুত্যুর দিকে।
তবে আমার দুই বন্ধুর মাধ্যমে সিগারেটের আত্নহত্যার বিষয়টি দেখলাম। তারা প্রতিদিন একসাথে সিগারেট খাবে এটাই নিয়ম।
একে অন্যকে ছাড়া খাবেনা। আবার একে অন্য কে পাটনার ডাকে। কিজন্য ডাকে জানিনা। সিগারেট খাওয়ার পাটনার না লাইফ পাটনার? কি জানি। কখনো জিঙ্গাসা করার দরকার মনে করিনি তাই জিঙ্গাসা ও করিনি।
থাকি আগ্রাবাদের একটি বাড়িতে ৪ জনে মিলে। ভাড়া ৮হাজার টাকা।
বাসার চার জনের মধ্যে দুই বন্ধু সিগারট খায় আর আমরা দুইজন সিগারেট খাইনা। তবে সিগারিট যে কখনো খাই নি এমন নয় । কোন কোন জায়গায় যখন ১৫ থেকে ২০ জন বন্ধু একত্রিত হয়েছি দেখেছি আমি ছাড়া আমার বাকি ১৯ জন বন্ধু সিগারিট টানছে।
অনেক সময় বন্ধুদের সাথে সিগারেট ধরিয়েছি। আমি যে দিনিই সিগারেট খেয়েছি সে রাত আমার ঘুম হয়নি। তলপেটে ব্যাথা লাগতো। নিজের মুখে নিজের কাছে গন্ধ লাগতো। খাবারের রুচি নষ্ট হয়েযেত।
তাই মাঝে মধ্যে একটা দুটো খেলেও বিগত কয়েক বছরে একটা সিগারেট ও হাতে তুলিনি। বরং বাসায় যে দুই বন্ধু সিগারেট খায় তাদের ও কড়া ভাবে নিষেদ করে দিলাম বাসায় যাতে সিগারেট না খায়। আর পারলে সিগারেট টা যাতে ছেড়ে দেয় না হলে বেশিদিন একসাতে থাকা সম্ভব না ও হতে পারে। ওরা বাসার বেলকনিতে গিয়ে সিগারেট খেত । কিন্তু সিগারেটের যে দৌয়া রুমের মধ্যে আসত তা ও সহ্যহতো না।
ওদের খুব গালিদিতাম।
ওদের একজনের সামান্য শ্বাস কষ্ট ছিল আর সিগারেট পানের কারনে সম্যাটা দিন দিন বাড়তে থাকলো। গত ২৩শে মার্চ রাতে খাবার পর সবাই মিলে আগ্রাবাদ মোড়ে গেলাম চা খাওযার জন্য। চা খাওয়ার পর দুই বন্ধু তাদের দুজনের জন্য ২টা করে চার টা গোল্ডলিট সিগারেট নিল । দুটা সিগারেটে আগুন ধরিয়ে কথা বলতে বলতে বাসায় পৌচলাম।
বাসায় গিয়ে বাকি অনেক্ষন কথা বার্তা বলার পর বাকি দুটি সিগারট ও শেষ করলো।
বেচারা রাত ১টার পর থেকে শ্বাসকষ্ট পেতে লাগলো রাতে কোন প্রকারে গুমাতে পারলোনা । সাথে গলায় প্রচুর কপ । আমিও সুযোগ ফেলাম যা পারলাম গালমন্ধ করলাম । আর বললাম দে টাকা দেয় দু চার প্যাকেট সিগারেট নিয়া আমি একটা পাচায় দে আরএকটা মুখে দুই দিক দিয়া টান সব ঠিক হয়ে যাবে।
অনেক বকা বকির পর সে কথা দিল ২৬শে মার্চ স্বাধিনতা দিবস উপলক্ষে তারা সিগারটে খাওয়া ছেড়েদিবে। সাথে তার সিগাটে পাটনার অন্য বন্ধুকেও অনুরো্ধ করলো দোস্ত দুজনে সিগারেট খাওয়া ছেড়ি দিয়। দুজনেই রাজি হয়ে গেল ২৬ শে মার্চ সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিবে।
আমি ও উপস্থিক ঘোষনা দিলাম যদি তোমরা সিগারেট খাওয়া ছেড়িদিতে পার তাহলে আমি ২৬শে মার্চ রাতে একটা সিগারেট ধ্বংস করে আর কেক কেটে সিগারেটের আত্নহত্যা পালন করবো।
যেই বলা সেই কাজ সব বন্ধুদের দাওয়াত করাহলো।
বাসায় ৩০জনের একটা চোট খাটো পাটির আয়োরজন করলাম একটা ৩পাউন্ডের কেক আর একটা সিগারেট।
রাত ৯টায় আমাদের সকল বন্ধু মিলিত হয়ে দুই বন্ধুকে দিয়ে একটা সিগারেট কে পায়ের নিচে পৃষ্ট করে তার পর কেক কেটে সিগারেটের আত্নহত্যা দিবস পালন করলাম।
আমি চাই আস্তে আস্তে আমার সকল বন্ধু ধুমপান মুক্ত হোক।
আমার প্রিয় যেসব ব্লগার ভায়েরা ধুমপান করেন আশা করবো আপনারা চেষ্টা করবেন এই বাজে গন্ধের বস্তুটিকে ছুড়ে ফেলেদিতে।
ধন্যবাদ সকলকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।