আমি উঠে এসেছি সৎকারবিহীন
ক্লেদ,
রক্ত,
যন্ত্রণা।
এই তিনটি শব্দে আমি বাঁচবো;
বালিশে আঙ্গুল বুলিয়ে প্রতিরাতে
দেখবনা আলতো স্বপ্ন।
বরং দুঃস্বপ্নকে স্বাগত জানাছি;
সে এসে আমার চেতনায় সাজিয়ে দিক কয়েকসারি বৃষ...
যারা চেঁচিয়ে যাবে রক্তবিন্দু উপাখ্যান যখন,
আমার আর্তনাদ ছুঁয়ে অন্ধকারেরা দাঁড়ায় পাশে,
আর চোখের সামনে বাকি থাকে বিনিদ্র রাত।
দীর্ঘদিনের অনিদ্রা আমাকে শিখিয়েছে ঘৃণার স্বাদ তেতো আর যন্ত্রনার রঙ হলুদ; ধোঁয়ার অনর্থক লাস্যে ক্বচিৎ জেগে উঠতে পারে কিছু পায়রা শ্বদন্ত এবং নখর সহযোগে যকৃতের গভীরে; রাতের ক্ষুদ্ধ আঁধার গিলে নেয় তরল ক্লান্তি; আর অবচেতনে শব্দ ডাকে বাসি নিশ্বাস। রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঘেয়ো অভিযোগ থেঁতলে দিতে থাকে চুড়ান্তকাব্যকে।
আর এভাবেই আমার শব্দগুলো খুঁজছে রক্ত, ক্লেদ এবং যন্ত্রণার প্রলেপ।
পাঁচটা মিনিট বিকট রঙগুলো নেচে যায়;
সৌন্দর্যের বিপরীতে আমি খুঁজে যাচ্ছি কালো গন্ধ;
বৃষগুলো সার বেঁধে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে;
পাখা ঝাপ্টাছে অপেক্ষারত শয্যা;
সিগারেটের ধোঁয়ায় আমি এখন...
তুখোড় কথক।
29th July, 2007
(লেখকের কথাঃ এটা একটু পুরনো লেখা, ক্লাস লেকচার তোলার খাতা থেকে টুকরো যেসব কবিতা(!) টিকেছিল শেষ পর্যন্ত তার একটা। আমার বন্ধু আমি এবং আঁধার তার ব্লগে এটা ছেপে দিয়েছিল এই ধারণায় যে আমি লেখালেখির ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন এবং হয়ত কখনো ব্লগিং করব না। যাইহোক সে সাহিত্যচর্চা থেকে বিরতি নিয়েছে বেশ কিছুদিন, তার সমস্ত পোষ্ট সরিয়ে দিয়ে হোমপেজে ঝুলিয়ে রেখেছে "অবশেষে নির্বাণ"।
আবার লেখালেখি শুরু করুক এই আশায় তাকে উৎসর্গ করি এই অপরিণত কাব্যটা। )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।