তিব্বতের স্বাধীনতার দাবিতে গায়ে আগুন ধরিয়ে এভাবেই ভারতের পার্লামেন্টের বাইরে দৌড়াচ্ছিলেন জামফেল ইয়েশি (২৭)। তিনি ৫০ গজের মতো গিয়ে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেন নি। তারপরই মাটিয়ে পড়ে যান। আগুন নিভিয়ে তাকে নেয়া হয় নয়া দিল্লির এক হাসপাতালে। কিন্তু না, সেখানে ২ দিন জীবনের সঙ্গে লড়াই করে তিনি হেরে গেলেন।
চিকিৎসকরা আশার আলো দেখাতে পারলেন না। মৃত্যু হয়েছে ইয়েশির। তার এ মৃত্যুতে বিশ্বজুড়ে মানবতাবোধ সম্পন্ন মানুষের মনে আঁচ লেগেছে। দেশের স্বাধীনতার জন্য এভাবে হাসিমুখে মৃত্যুকে বরণ করতে পারে কয়জন! এ ঠিক যেন হাসিমুখে ফাঁসিতে ঝোলা সেই ক্ষুদিরাম। ইয়েশি তুমি মানুষের মনে, ইতিহাসের পাতায় বেঁচে রইবে চিরদিন।
২৯শে মার্চ এ নিয়ে দৈনিক মানবজমিনে যে রিপোর্ট ছাপা হয় তাতে বলা হয়েছে, ভারতে চীনা প্রেসিডেন্ট হু জিনতাওয়ের সফরের প্রতিবাদে ইয়েশি নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন গত সোমবার। ওইদিন ভারতীয় পার্লামেন্টের বাইরে তিব্বতের স্বাধীনতাপন্থি প্রায় ৬ শ তিব্বতী বিক্ষোভ করেন। এরই এক পর্যায়ে ইয়েশি গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। তার সারা গায়ে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। ২৮শে মার্চ ২০১২ নয়া দিল্লিতে চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও পৌঁছনোর মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে ইয়েশি মারা যান।
তার গায়ে আগুন জ্বলেছিল ২ মিনিটেরও কম সময়। কিন্তু তার বেশির ভাগ পোশাক পুড়ে যায়। তার চামড়া পুড়ে কালো হয়ে যায়। চিকিৎসকরা বলেছেন, তার শরীরের শতকরা ৯৮ ভাগ অংশ এভাবে পুড়ে গিয়েছে। গতকাল এ নিয়ে বিশ্বমিডিয়ায় ফলাও করে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।
এতে বলা হয়, ২০০৬ সালে তিব্বত ছেড়ে নয়া দিল্লিতে চলে আসেন ইয়েশি। সেখানেই বসবাস করতে থাকেন। ভারত, রাশিয়া, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকার একটি সম্মেলনে যোগ দিতে গতকাল হু জিনতাও ভারতে পৌঁছান। তার এ সফরের সময় তিব্বতীয়রা যাতে প্রতিবাদ বিক্ষাভ করতে না পারে সেজন্য ভারতীয় পুলিশ তিব্বত পট্টি ঘেরাও করে রাখে। আটক করে কয়েক শত তিব্বতীয়কে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।