প্রথম ইউনিকোড ভিত্তিক অনলাইন বাংলা স্পোর্টস পত্রিকা পাকিস্তানের ৫ রান কাটার আবেদন করলো বিসিবি
“আমি পাইলাম ইহাকে পাইলাম” না হৈমন্তি গল্পের অপুর কথা বলা হচ্ছে না। লিটল মাষ্টার শচীন টেন্ডুলকারের কথা বলা হচ্ছে। অপু হৈমন্তিকে পেয়ে যতটা খুশী হয়েছিলেন শচীন নিশ্চয় তারচেয়ে বেশী খুশী হয়েছেন। অপুর উপরতো আর ১২০ কোটি মানুষের চাপ ছিল না, মিডিয়ার চাপ ছিল না! পাকিস্তানের সাথে অসাধরণ জয়ের পর হোটেল প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁয়ে শচীন দ্যা টেলিগ্রাফের মুখোমুখি হয়েছিলেন। নিজের অনেক কথাই তিনি বলেছেন।
সেঞ্চুরী নিয়ে মানুষের আশার কথাও বলেছেন খোলাখুলি। সাক্ষাৎকারটি নিচে-
আপনি বলেছেন আপনি চাপমুক্ত..
শচীনঃ অবশ্যই..এক বছর আমি পারিনি…কিছু পরিবর্তন চাচ্ছিল জীবন। আমার পরিবারও চাপে ছিল।
নিজেকে এতদূরে আনার পর, পরবর্তীতে আর কি?
শচীনঃ ব্যাক্তিগতভাবে আমি কিছু মাইলষ্টোন অর্জন করেছি, কিন্তু এজন্য আমি ক্রিকেট খেলা শুরু করিনি। প্রথমদিকে আমার স্বপ্ন ছিল ভারতের হয়ে খেলে যাওয়া, শেষে এসে বিশ্বকাপ জেতার।
এই অর্জনটা অনেক পরে এসেছে। দেখুন আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠে বললেন আজকে সেই দিন আজকে আমি সেঞ্চুরী করবো। এটা সত্যিই ক্রিকেট না।
কিন্তু আর কিছুই প্রমাণ করার নেই। নিজের ভিতর কিভাবে নিজেই চ্যালেন্জ নেন?
শচীনঃ কিছু প্রমাণ করার জন্য ক্রিকেটকে নেইনি, ভারতের হয়ে ধারাবাহিকভাবে খেলে যাওয়া আমাকে প্রেরণা দেয়।
আমি নতুন কোন চ্যালেঞ্জ খুঁজি না। প্রেরণাই মূল।
অবশ্যই আছে যেমন স্যার ডন ব্রাডম্যান এর ব্যাটিং গড় ৯৯.৯৪, আপনার ১০০টি শতক….আপনিতো এগিয়ে গেছেন..
শচীনঃ (হেসে) আমি এটা নিয়ে কখনই ভাবিনি। আমি বিশ্বাস করি রেকর্ড গড়া হয় ভাঙার জন্য।
আজ থেকে কিছুদিন পরে নিজের শততম শতকটিকে কিভাবে দেখবেন?
শচীনঃ আমি আলাদা কিছু অনুভব করবো।
এখন মানুষ সেঞ্চুরীর জন্য আমাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে, অভিনন্দন জানাচ্ছে। এক বছর যাবত মানুষের সাথে সেঞ্চুরী নিয়ে আমি কথা বলিনি। এই সময় আমি এর থেকে বের হয় আসবো।
এটা এমন নয় যে আপনি ব্যাটিং খারাপ করছেন…
শচীনঃ কিন্তু মাত্র একটি সেঞ্চুরীই মানুষকে খুশী করেছে।
সাক্ষাতকারের বাকী অংশ পড়ুন এখানে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।