ভালবাস সবাই ভালবাসাকে এই গুমোট সময়ে অনেকের প্রথম পছন্দ কোমল পানীয়। তবে কোমল পানীয় কিন্তু কোমল নয়, এতে আছে অনেক ক্ষতিকর উপাদান। তাই গরমে কোমল পানীয় গ্রহণে সবাইকে খুব সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। অনেকে ওজন কমানোর জন্য ডায়েট ড্রিংকস খান। কিন্তু এ ডায়েট ড্রিংকসে চিনির বিকল্প হিসেবে আছে আস্পারটাম নামক উপাদান, যা মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর।
ব্রেন টিউমার, ক্যান্সার ইত্যাদির সমস্যা হতে পারে বলে অনেক দেশে ডায়েট পানীয় নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। উপরন্তু এসব কোমল পানীয় ইনসুলিন ও লেপটিন নামের দুটি হরমোন নিঃসরণ করে, যা মস্তিষ্ককে বেশি বেশি খাবার খেতে সংকেত দেয়। ফলে এই পানীয় খেলে ওজন কমার বদলে বেড়ে যেতে পারে। পরীক্ষায় দেখা যায়, ৫০০ গ্রামের কৌটাগুলো কার্বন, ১৭০ ক্যালরি সোডা এবং ১৫ চা চামচ চিনি ব্যবহার করে থাকে, যা শিশুর শরীরের জন্য মারাক ক্ষতিকর। শিশুদের অল্প বয়সে স্থূলতার জন্য কোল্ড ড্রিংকস অনেকাংশেই দায়ী।
এক গবেষণায় দেখা যায়, দিনে দু-একটা কোমল পানীয় গ্রহণ করার ফলে বিষণতা, ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখ, দাঁতের ক্ষয়রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। ইনসুলিনের আবিষ্কারক ডা. চার্লস বেস্টের মতে, যারা অত্যধিক কোমল পানীয় গ্রহণ করে থাকে, তাদেরও লিভার সিরোসিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কোমল পানীয়তে ক্যাফেইন ব্যবহারের ফলে তা গ্রহণকারীর উদ্বিগ্নতা, নার্ভাসনেস এবং সন্তান জন্মদানে অক্ষমতা দেখা দেয়। আমেরিকার ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. ফ্রান্সিসকো কন্টারাইজ বলেন, ক্যান্সার হলো একটি বৃক্ষের মতো আর অক্সিজেনবিহীন টিস্যু সেল হলো এর পৃষ্ঠপোষক। অত্যধিক কোমল পানীয় গ্রহণের ফলে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়।
ফলে ক্যান্সারের আশঙ্কা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। কোমল পানীয় দাঁতের ক্ষয় রোগ সৃষ্টি করে, মাঢ়িকে দুর্বল করে তোলে। এর প্রভাবে ডেন্টাল ক্যারিজ বা দাঁতে ক্ষয় রোগ দেখা দেয়। কিছু পানীয়তে (কোলা-জাতীয়) ফসফরিক এসিড থাকে, যা হাড় থেকে ক্যালসিয়াম বের করে। ফলে হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়, হাড় দুর্বল হয়ে যায়।
এতে আরও থাকে সোডিয়াম বেনয়েট, যা ডিএনএ ধ্বংস করে এবং বয়সের ছাপ বাড়ায়। এতে ক্ষতিকারক বিষ এবং কীটনাশক যেমন- লিনডেইন, ডিডিটি থাকে; ফলে নাড়ি ক্যান্সার হয় ও হজম প্রক্রিয়া নষ্ট হয়ে যায়। কোমল পানীয়তে কোনো পুষ্টি উপাদান না থাকায় এ পানীয় আমাদের দেহের বৃদ্ধিতে কোনো কাজে লাগে না। যারা ডায়েট করেন, ওজন কমাতে চান, হেলদি লাইফস্টাইল মানতে চান, তারা কোমল পানীয় বাদ দিয়ে সাধারণ পানি, ডাবের পানি অথবা চিনি ছাড়া ফলের জুস খান এবং নিজেকে বাঁচান। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।